পল্লবের সাথে বিকালের অবসর
সময়টা কাটাই। সহজ-সরল মানুষ, অনেকটা আলাভোলা। কোনদিন দুজনে এক কাপ করে চা খাই, কোনদিন একটি করে চিতই পিঠা খাই নানা পদের ভর্তা দিয়ে।
পাঁচ-দশ টাকায় শরীর গরম।
নানা গল্প করি। কথা বলতে খরচ
হলে অত কথা বলতাম না। জ্ঞান দিই তাকে সারাক্ষণ। ঘিলুছাড়া মানুষ পেলে সবাই-ই জ্ঞান
দেয়। শোনেই কেবল, মনে হয় না সেসব
কথা সে কানে রাখে। তবে তার ভালো চাই বলে কথাগুলো বলি। একসাথে ঘুরি-ফিরি, কেউ তাকে ঠকালে খারাপ লাগে। তার ভালো চাই, তাই তাকে জ্ঞান দিই। কিন্তু সে ঠকেই যায়, তবুও খাটা-খাটি করে গরুর মতো, মোষের মতো। গরু আর মোষ খাটতে পারে, কিন্তু মাথার ভেতর বুদ্ধিটুকুও নেই বলে পরিশ্রমের দাম
পায় না।
ওদিকে পল্লব যার কাজ করে দেয়
তাকে পেয়েই আমি তাকে যেসব জ্ঞানের কথা বলেছি সব বলে দিল। বুদ্ধিহীন তো এসব করবেই।
কাজ করে দেয়, সারাটা দিন কাজ
করে দেয়। দিন শেষে পরিশ্রমের যে দাম, তা তো সে পায় না, দেখলেই খারাপ
লাগে। যার ভালো চায়, তার খারাপ দেখলে
খারাপ লাগে।
নজর চাচা আমাকে পেয়ে গরম দিল।
আর যেন কুবুদ্ধি পল্লবকে না দেই জানিয়ে দিল। ভালো বুদ্ধিও কুবুদ্ধি হয়ে যায়
অপাত্রে বিলালে। পল্লব বিকালে আর আমার সাথে ঘোরে না। কাজের বিনিময়ে টাকা পেলে
মানুষ তার সান্নিধ্যেই থাকবে, ফ্রিতে জ্ঞান বিলালে তার সাথে থাকবে না।
আত্মার সম্পর্কগুলো হেরে যায়
আর্থিক সম্পর্কগুলোর কাছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন