বসন্তবাবুর অর্থ প্রতিপত্তি কম
নয়। তিনি বেশ বোঝেন সুযোগসন্ধানীরা তাদের আখের গোছানোর জন্য তাকে তোয়াজ করে।
জ্ঞানীগুণী ব্যক্তিদের সমীহ আদায় করতে না পারলে আর অর্থ প্রতিপত্তিতে কি হবে?
এক মোসাহেব বলল, দাদা, সামনের মাসে এক
মহাকবি সম্মেলন। যদি ওই কবিদের...
- বেশ কী করতে হবে বলো?
কিচ্ছু না ... ওরা তো বিদ্বান লোক, ওদের সঙ্গে লক্ষ্মীর আড়ি। বলছিলাম কী...
বলতে হবে না, ওদেরকে এক লাখ
টাকা দিয়ে দাও।
মহাকবিদের মাঝখানে বসন্তবাবুকে ধোপদুরস্ত
ধুতি-পাঞ্জাবিতে যেন আলাদা করাই যাচ্ছিল না।
কবিদের কবিতা পড়ার মাঝখানে বসন্তবাবু হাততালি দিয়ে বসেন। সভায় হাসির খোয়ারা,
সঙ্গে হাততালি। বসন্তবাবু বুঝলেন সমঝদার তো কম নয়। তিনি উপস্থিত সকলের জন্য
মাথাপিছু পাঁচ হাজার টাকা ঘোষনা করে দিলেন। হাততালি থামতে পাঁচ মিনিট সময় লাগলো।
সকলের অনুরোধে তিনি একটা কবিতাও লিখে ফেললেন।
স্ক্রু ড্রাইভার ঠকঠক
হাতুড়ি মার্কা ঝকঝক
কান ধরে মারো টান
গলা ছেড়ে গাও গান।
বসন্তবাবুর কবিতার বই বেরোলো।
ব্ল্যাঙ্ক চেকে নির্বাচকদের বিবেক নিলাম হলো। দেশের সেরা কবির
পুরস্কার এখন বসন্তবাবুর ঝোলায়।
চিত্র সৌজন্যঃ আন্তরজাল থেকে সংগৃহীত
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন