-- বাবার হাঁপানিটা খুব বেড়েছে।
-- হ্যাঁ।
-- ভাবছি আজ অফিস থেকে ফিরে একবার ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাব।
-- না না, তার দরকার নেই। ডাক্তারের কাছে গেলেই অনেক খরচ। তার চেয়ে তুমি ফেরার পথে বাসকপাতা এন। তুলসীর সঙ্গে বেটে দেব।
--আর দেখেছ মায়ের শরীরের অবস্থাও তো ভালো নয়। একটু দুধের ব্যবস্থা করলে কেমন হয়?
-- ধূৎ ! যতো পয়সা খরচের চিন্তা তোমার। ওসব তোমায় অতো দেখতে হবে না। তুমি বেড়িয়ে যাওতো! বুড়ো বুড়ির পিছনে অতো খরচ করে কি পাবে? কিচ্ছু লাভ নেই। ওরা আর ক’দিন পৃথিবীতে থাকবে বল তো? থেকেই বা আর কি লাভ? কি আর করবে? সবাই তো মরবে একদিন। না কি? আগে গেলে ওনারও লাভ, আর আমাদেরও।
-- সে কি? কি বলছো তুমি? বাবা, মা তো? ওরাইতো আমাদের ছেলে মেয়েকে মানুষ করে দিল।
-- হ্যাঁ। তাতে হয়েছেটা কি? ওরা কি বসে বসে খেত?
-- তোমার মায়া মমতা বলে কিছু নেই ?
-- তোমার তো বেশী, তাই আজ এই অবস্থা। কই আমার দিকে তাকিয়েছ কোনোদিন? কিরকম হয়ে গেছি সংসারের কাজ করে করে?
-- কেন কাজের লোকই তো সব কাজ করে?
-- ওহঃ তার মানে আমি বসে খাই? ঘুরে এসে দেখো আমি ক’দিন বিউটিপার্লারে যাই, আর অন্য বউগুলো মাসে ক'বার করে যায়?
-- বুঝেছি, আমি চললাম।
-- হ্যাঁ যাও। যাওয়ার সময় এসির লোকটাকে বলে যেও সার্ভিসিং করে দেওয়ার জন্য।
-- কেন ওটা তো ঠিকই আছে।
-- আছে। তবে ভালো রাখার জন্য সার্ভিসিংটাও জরুরী।
-- সে কি?
-- সে কি নয়। ওয়াশিং মেশিনটাও বিগড়েছে। ওটাও সারাতে হবে।
-- পুরনো হয়ে গেছে ফেলে দাও। সারিয়ে কি কাজে আসবে? ওটা অনেকদিনের। আর কতদিন চলবে? একদিন তো ফেলে দিতেই হবে? না কি? চিরস্থায়ী কোন কিছুই নয়। চিরকাল সব সুবিধা পাওয়া যায় না। এবার রিটায়ার করবো, এবার খরচ কমাও। কাজের লোকও ছাড়িয়ে দেব। তুমি চোখ খুলে দিয়েছ। খরচ কমাতেই হবে। পুরোনো সব হঠাও ...
-- সে কি!!! তার মানেটা কি?
-- সে কি নয় এটাই ঠিক। মানের মানে …
চিত্র সৌজন্যঃ আন্তর্জাল
শুভকামনা রইল সবার জন্য। পত্রিকা দীর্ঘজীবী হোক।
উত্তরমুছুনএকটি মন্তব্য পোস্ট করুন