এই প্রথম দেবশংকর একা একা রকক্লাইম্বিং-এ এসেছে। বারবার বন্ধুদের কাছে "ঢ্যাঁড়শ" কথাটা শুনে একদিন প্রতিজ্ঞাই করে ফেলল। এবার একটা ক্লাইম্বিং নিজে করে তার ভিডিও বানিয়ে পাঠিয়ে দেবে। মাউন্টেনিয়ারিং ক্লাবটার কথা দেবশংকরই প্রথম সবাইকে জানায়। রবীন্দ্র সরোবরের কাছের এই ক্লাবটার কথা পাড়ার এক দাদার কাছ থেকে শুনেছিল। ওর এই লাইনে বিরাট নাম। বেশ কিছু এক্সপিডিশনও করেছে। একদিন ওর বাড়িতে গিয়ে পাহাড়ে ওঠার যন্ত্রপাতির নামগুলোও জেনে এসেছিল। কিন্তু কাকে বলবে ভেবে উঠতে পারছিল না। শেষে কলেজের কয়েকজন বন্ধুকে নিজের বিদ্যে জাহির করে বলে ফেলল। সদ্য কলেজে ভর্তি হয়েছে। সবাই নতুন কিছু করতে চাইছে। দেবশংকর বাধ্য হয়ে একদিন ওদের নিয়ে ক্লাবে মেম্বারশিপ নেওয়ার জন্য চলে এল। কোন একজন মেম্বারের অনুমতি দরকার হয় জেনে পাড়ার দেবুদার নামটা বলে দিল।
কিছুদিন পড়ে একটা রকক্লাইম্বিং-এর ট্রেনিং হবে শুনে দেবশংকর বন্ধুদের সঙ্গে বেরিয়ে পড়ল। থিয়োরী আর প্র্যাক্টিকালের যে অনেক ফারাক তা প্রথম দিনেই বুঝতে পেরে গেল। যথারীতি নতুন নামও তৈরী হয়ে গেল।
পরের দিকে আরও ট্রেনিং হলেও দেবশংকর ঠিক সুবিধা করে উঠতে পারছিল না। শেষে একদিন কাউকে না বলে রোপ ক্যারাবিনার এসব ইস্যু করে বেড়িয়ে পড়ল।
বড় রকফেসটাকে টার্গেট করে একটু দূরে ভিডিও ক্যামেরাটা সেট করে, একটু প্র্যাকটিস করে নেওয়ার জন্য কয়েকটা হ্যান্ডহোল ধরে উঠতে লাগল। সড়গড় হয়ে যেতে ক্যামেরাটা চালু করে দিয়ে রোপ কোমরে বেঁধে উঠতে শুরু করে দিল। নিশিন্তে কিছুটা উঠে সাহস পেয়ে গেল। পেছন ফিরে ক্যামেরাটা দেখতে গিয়ে হাতটা ফসকে গেল।
নাহ! এইতো আবার ধরে ফেলেছে। কি হালকা লাগছে। বাকি ফেসটা অনায়াসেই উঠে পড়ে একটা তৃপ্তির হাসি হাসল। এবার ভিডিওটা দেখিয়ে বলে দেব "ঢ্যাঁড়শ" কে!
কিন্তু
নিচে ওর মত দেখতে কে পড়ে আছে !!!!!
চিত্র সৌজন্যঃ আন্তর্জাল
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন