ছিটকে পড়েছে, না কেউ ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছে বুঝতে না পারলেও উঠে দাঁড়াল রোকন। সামনে
তাকিয়ে দেখতে পেল ট্রেনের কামরার হ্যান্ডেল ধরে দাঁড়িয়ে থাকা লোকটা ওর দিকে তাকিয়ে
বিদ্রুপের হাসি হাসছে। এর মানে ওই লোকটাই ওকে ধাক্কা মেরেছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না!
তার আগে দেখতে হবে টিকিটটা আছে কিনা। পকেট থেকে মানিব্যাগ বের করে দেখতে পেল যথাস্থানে
আছে টিকিট। ও দৌড়াতে শুরু করলো ট্রেনে চড়ার জন্য। ট্রেনের গতির সাথে কুলিয়ে উঠছে না
ও, ট্রেনের গতি বাড়ছে; ও পড়ছে পিছিয়ে। শেষ বগিটায় হলেও উঠতে হবে ওকে। দৌড়ের গতি বাড়িয়ে
দিল। এখন লাফ না দিলে মিস করবে ট্রেনটা। লাফ দিল রোকন। শেষ বগিটার একমাত্র দরজার হ্যান্ডেল
ধরে ঝুলতেই গতি কমতে থাকল ট্রেনের। প্লাটফর্মের ও মাথায় থেমে গেল ট্রেন। রোকন অবাক!
ট্রেন থামলো কেন! দরজার কাছে এসে হ্যান্ডেল ধরে বাইরে তাকিয়ে থ হয়ে গেল! শুধু ওর বগিটা
থেমে আছে, পুরো ট্রেন চলে গেছে অনেক দূর! এ কেমন কাণ্ড!
রোকনের মেজাজ খারাপ হতে থাকলো। ও বগি থেকে নেমে এগিয়ে গেল স্টেশন মাস্টারের কক্ষের
দিকে। দরজায় প্রহরী না থাকায় ঢুকে গেল সরাসরি। স্টেশন মাস্টার নিজ চেয়ারে বসে স্মার্ট
ফোনে কী যেন ঘাঁটাঘাঁটি করছেন। রোকনকে একবার দেখে ফের মোবাইল ফোনে দৃষ্টি নিবদ্ধ করে
বললেন, ‘কী সাহায্য করতে পারি মিস্টার?’
রোকন বললো, ‘ট্রেনটা শেষ বগিটা রেখে চলে গেল স্টেশন মাস্টার সাহেব!’
স্টেশন মাস্টার ওভাবে থেকেই বললেন, ‘ঐ বগিটায় সমস্যা দেখা দিয়েছিলো; তাই রেখে দিতে হয়েছে।‘
‘ওটায় আমি চড়েছিলাম।‘
এবার স্টেশন মাস্টার রোকনের দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘এত বগি থাকতে আপনি শেষ বগিটায় উঠলেন কেন? কী আশ্চর্য!’
সাধে
কী আর উঠেছিলাম স্টেশন মাস্টার সাহেব!
‘মানে?’
‘আমার টিকিট ছিল ‘ঙ’ বগির। উঠবার সময় একজন আমাকে ধাক্কা দেওয়ায় দরজা থেকে ছিটকে পড়ে
গেলাম প্লাটফর্মে। উঠতে উঠতেই দেখি ট্রেনের সব বগি চলে গেছে সামনে। ঊর্ধ্বশ্বাসে দৌড়ে
কোনোমতে উঠেছিলাম শেষ বগিটায়।‘
‘সো স্যাড! আপনার টিকিটটা দেখি মিস্টার।‘
রোকন মানিব্যাগ থেকে টিকিটটা বের করে স্টেশন মাস্টারের বাড়ানো হাতে দিল। স্টেশন মাস্টার টিকিটের ভাঁজ খুলে একবার দেখে নির্ণিমেষে তাকিয়ে রইলেন রোকনের দিকে।
স্টেশন মাস্টার ওভাবে তাকিয়ে থাকায় অস্বস্তি দূর করার জন্য রোকন অন্যদিকে দৃষ্টি সরিয়ে বলল, ‘ওভাবে তাকিয়ে আছেন কেন স্টেশন মাস্টার সাহেব?’
তথাকথিত ট্রেনের টিকিটটা রোকনের চোখের সামনে নাড়িয়ে স্টেশন মাস্টার বললেন, ‘এটাকে টিকিট বলছেন আপনি মিস্টার? এটা টিকিট হয় কিভাবে! এটাতে না আছে বগির নম্বর, না আছে সিট নম্বর! ব্ল্যাঙ্ক টিকিট এটা!'
'কী বলছেন!’ বলে রোকন স্টেশন মাস্টারের হাত থেকে টিকিটটা নিয়ে তাকিয়ে হতভম্ব হয়ে গেল। স্টেশন মাস্টার ঠিক কথাই বলেছেন। কিন্তু এটা হলো কিভাবে? স্টেশন মাস্টারের দিকে তাকিয়ে বললো, ‘এটা কী করে হলো! গতকাল আমি নিজে এসে কাউণ্টার থেকে টিকিট করেছি!’
‘কী নাম আপনার মিস্টার?’
‘রোকন হায়দার।‘
‘আমি ভেরিফাই করে দেখছি। আপনি বসেন।‘
এতক্ষণ রোকন দাঁড়িয়েই কথা বলছিল। এবার রোকন বসল। স্টেশন মাস্টার কম্পিউটার ঘাঁটছেন। একটু পরে বললেন, ‘রোকন হায়দার নামে গতকাল কেউ টিকিট নেয় নি। এবং আজকের ‘ঙ’ বগিতে রোকন হায়দার নামে কোনো যাত্রীও নেই। এই দেখেন।‘
স্টেশন মাস্টার কম্পিউটারের পর্দাটা রোকনের দিকে ঘুরিয়ে দিলেন। রোকন মনোযোগ দিয়ে কম্পিউটারের পর্দায় দেখল। স্টেশন মাস্টারের কথাই সত্য। কিন্তু..
তখন স্টেশন মাস্টার কম্পিউটারের পর্দা নিজের দিকে ঘোরাতে ঘোরাতে বললেন, ‘আপনি নিশ্চয়ই হেলুসিনেশনে আছেন। এ অবস্থায় কোথাও যাওয়া ঠিক না। তাছাড়া আজ ময়মনসিংহ যাবার আর কোনো ট্রেন নেই। আগামীকালের টিকিট কেটে নিয়ে যেতে পারেন। আমি টিকিট কেটে দিচ্ছি।‘
হতভম্ব ভাব না কাটলেও রোকন বললো, ‘তাই দিন স্টেশন মাস্টার সাহেব।‘
টিকিট নিয়ে প্লাটফর্মের বাইরে এল রোকন। একটা অটোতে চড়ে গাইটাল যেতে বলল। গাইটাল হর্টিকালচারাল গার্ডেনের উত্তর দিকে ওর অ্যাপার্টমেণ্ট। তৃতীয় তলায় উঠে উত্তর দিকের অ্যাপার্টমেণ্টের কলবেল দিল টিপে।
দরজা খুলে এক মধ্যবয়সী ভদ্রমহিলা জিজ্ঞেস করলেন, ‘কে আপনি? কাকে চান?’
রোকন বিস্মিত হয়ে বলল, ‘কে আমি মানে? আমি এই অ্যাপার্টমেণ্টের মালিক! আপনি কে আমাকে অ্যাপার্টমেণ্টে ঢুকতে না দিয়ে দরজা আগলে দাঁড়িয়ে আছেন?’
ভদ্রমহিলা ততোধিক আশ্চর্য হয়ে বললেন, কোথাকার কে আপনি এই অ্যাপার্টমেণ্টের মালিক বলছেন! এই অ্যাপার্টমেণ্টেটা আমরা কিনেছি কুড়ি বছর হল।
তখন ভদ্রমহিলার স্বামী হেদায়েত হাসান এসে দরজা পুরো খুলে দিয়ে বললেন, ‘কোথাও আপনার ভুল হচ্ছে ভাই সাহেব। এই অ্যাপার্টমেণ্টটা নির্মাণের পরপরই আমরা ক্রয় করি। কাজেই আপনি কখনো এটার মালিক হতে পারেন না!’
রোকন বললো, ‘আমার ব্যাগটা গেলো কোথায়! ওটায় আমার এনআইডি আছে। এনআইডিতে আমার অ্যাড্রেস হিসেবে এই অ্যাপার্টমেণ্ট ভবনের নাম ও নম্বর দেওয়া আছে।‘
‘এখন আপনি কোত্থেকে এসেছেন ভাই সাহেব?’
‘রেলস্টেশন থেকে।‘
‘তাহলে ব্যাগটা ভুলে ওখানেই রেখে এসেছেন হয়তো বা।‘
আর কিছু না বলে রোকন নেমে এল নিচে। ইজিবাইকে চলে এল ফের রেলস্টেশনে। স্টেশন মাস্টারকে ব্যাগের কথা বললে স্টেশনমাস্টার বললেন ওর হাতে কোনো ব্যাগ ছিল না। তাহলে ব্যাগটা কি ট্রেনেই রয়ে গেছে?
সিসিটিভিতে ওকে ট্রেনে চড়তে বা ট্রেনের আশেপাশে দেখা গেল না; তবে থেমে যাবার পরে শেষ বগিটা থেকে ওকে নামতে দেখা গেছে। এই বিভ্রান্ত লোকটার ঝামেলা থেকে মুক্তি পাবার জন্য ষ্টেশন মাস্টার থানায় জানালেন।
থানা থেকে এক সাব-ইন্সপেক্টর এসে রোকনকে নিয়ে গেল থানায়। রোকন বসে আছে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার খাসকামরায়। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর আহসান রিভলভিং চেয়ারে হেলান দিয়ে স্মার্ট মোবাইলে নিমগ্ন। ওঁকে দেখে মনেই হচ্ছে না যে সামনে একজন বিভ্রান্ত লোক বসে আছে, লোকটাকে ওরাই এনেছে রেলস্টেশন থেকে। রোকনেরও যেন কোনো তাড়া নেই, পুরোপুরি নিরুদ্বিগ্ন। ও তাকিয়ে আছে টেবিলের উপর রাখা একটি পিতলের পুতুলের দিকে। পিতলের পুতুলটা একটি অর্ধনগ্ন বালকের। একটা মাছি এসে রোকনের নাকের ডগায় বসলে ওর ভঙ্গ হলো ধ্যান। খুব ধীরে নিঃশব্দে দুই হাত দুই দিকে এগিয়ে এনে এক থাপ্পড়ে মেরে ফেললো মাছিটাকে। বিরল কৃতিত্ব!
থাপ্পড়ের শব্দে ইন্সপেক্টর আহসানেরও মনোযোগ ভঙ্গ হল। আহসান রোকনের দিকে বিরক্তি নিয়ে তাকালে রোকন মৃত মাছিটাকে ফেলল টেবিলের উপর। আহসান সামান্য উঁকি দিয়ে মৃত মাছিটাকে দেখে বিস্মিত হয়ে বললেন, ‘এক থাপ্পড়ে মাছিটা মেরে ফেললেন! এক্সেলেণ্ট!’
রোকন কিছু না বলে মৃত মাছিটাকে একবার দেখে মুখ টিপে হাসলো।
আহসান ফের বললেন, ‘আপনি কে? কী কাজে এসেছেন?’
রোকন বললো, ‘আমি কিশোরগঞ্জ রেলস্টেশনে স্টেশনমাস্টারের রুমে নিজেকে খুঁজছিলাম, তখন এই থানার একজন অফিসার আমাকে নিয়ে এসেছেন।‘
‘নিজকে খুঁজছিলেন মানে? খুলে বলুন তো ঘটনা কী?’
রোকনের কাছ থেকে আজকের ঘটে যাওয়া ঘটনা শোনার পরে ইন্সপেক্টর আহসান বললেন, ‘ঘটনাটা বেশ আশ্চর্যের! আপনার এনআইডি নম্বর মনে আছে?’
‘এত লম্বা নম্বর মনে থাকে না!’
ইন্সপেক্টর আহসান মনে মনে বললেন, ‘এই আজবকে ঘাড়ে নেওয়া ঠিক হবে না! বেভুল শালা! ওকে সোসাল ডিপার্টমেন্টে চালান করে দেই!’
ইন্সপেক্টর আহসান নিজে জেলা সমাজসেবা কর্মকর্তাকে ডেকে এনে রোকনকে হস্তান্তর করে বললেন, ‘উনার সমস্যাটা আপনাদের জুরসডিকশানে পড়ে। উনাকে ভবঘুরে সেন্টারে রেখে নির্বাচন অফিসে খোঁজ নিয়ে উনাকে আইডেণ্টিফাই করুন। আমার মনে হয় উনি সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। নিশ্চয়ই উনার ফ্যামিলি মেম্বাররা উনাকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন। ‘
জেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা জুনায়েদ চৌধুরীর সামনে বসে আছে রোকন। রোকন তাকিয়ে আছে নিচের দিকে; কোনো কিছু দেখছে না। জুনায়েদ চৌধুরী তাকিয়ে আছেন রোকনের দিকে; তাকিয়ে থেকে রোকনকে লক্ষ্য করছেন। আস্তে ডাক দিলেন রোকনকে, ‘রোকন সাহেব!’
রোকন সাড়া দিল না বা ওর মাঝে কোনো পরিবর্তন এল না। এবার জোরে ডাক দিলে রোকন তাকালো ওঁর দিকে। তখন জুনায়েদ চৌধুরী জিজ্ঞেস করলেন, ‘কী ভাবছেন রোকন সাহেব?’
রোকন নিস্পৃহ স্বরে বললো,’কিছু ভাবছি না।‘
‘ফ্যামিলির কাউকে মনে পড়ে না আপনার?’
‘ফ্যামেলির কারোকে মনে পড়ে না আমার। আমার নামটাও মাঝে মাঝে মনে থাকে না।‘
জেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা বুঝতে পারলেন রোকনের সাথে কথা বলে কোনো তথ্য পাওয়া যাবে না। জেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে রোকন নামে অনুসন্ধান দিয়ে সতেরোজন রোকন পেলেন। রোকন নামের আগে বা পেছনে পদবী লাগানো; কিন্তু এই রোকনের চেহারার সাথে মেলে না। তাহলে কি এই রোকনের জাতীয় পরিচয় নম্বর নেই! তাহলে কিভাবে এই রোকনের পরিচিতি তথা ঠিকানা বের করতে পারবে? অফিসের সহকর্মীদের সাথে আলোচনা করে জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় রোকনের ছবি দিয়ে প্রাপ্তি বিজ্ঞপ্তি দিলেন।
পরদিন সকাল এগারোটায় এক পরিবার এলে জেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার অফিসে। সবাইকে উদ্বিগ্ন
দেখাচ্ছে। মোট তিনজন। পরিচয় দিল নিজেদের এভাবে: একজন রোকনের স্ত্রী এবং দু'জন ছেলে
ও মেয়ে। তারা যা জানালো তা এরকম –
এক
বছর আগে রোকন হায়দার সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। ওরা থাকে ময়মনসিংহ। গতকাল থেকে
নিখোঁজ হয়েছে। প্রথম জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরির সময় রোকন হায়দার বিদেশে ছিলেন। দেশে আসার
পরে আর উদ্যোগ নেয় নি। দুই মাস আগে ময়মনসিংহ থেকে কিশোরগঞ্জ আসার পথে এক বাস দূর্ঘটনায়
ঘটনাস্থলেই মারা যান রোকন হায়দার। খবর পেয়ে ওরা ঘটনাস্থলে এসে লাশ শনাক্ত করে।
জেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা জুনায়েদ চৌধুরী চা পান করছিলেন। বিষম খেয়ে কাশতে লাগলেন। এক ঢোক পানি পান করে কাশি থামিয়ে বিস্মিত কণ্ঠে বললেন, ‘কী বলছেন আপনারা! তাহলে এই রোকন কে? আপনাদের রোকনের কোনো যমজ ভাই না তো?’
মিসেস রোকন হায়দার বললেন,’ আমার জানামতে আমার প্রয়াত হাসব্যান্ডের কোনো যমজ ভাই ছিল না। ‘
‘ওর কোনো ফটো আছে আপনার কাছে স্যার?’
জুনায়েদ চৌধুরী বললেন,’ফটো আছে। এই দেখেন। ওকেও আনাচ্ছি। কিন্তু বিষয়টা খুব মিরাকল! আচ্ছা উনি কি সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন?’
‘না
তো?’
‘কিন্তু এই রোকন সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত। কিছুই মনে করতে পারছেন না, রোকন নামটা ছাড়া।‘
জুনায়েদ চৌধুরীর মোবাইল ফোনে রোকনের ছবি দেখে তিন জনই কেঁদে ফেললেন। মিসেস রোকন হায়দার মনে মনে বললেন, ‘তাহলে কি আমরা সেদিন ভুল লোককে শনাক্ত করলাম। আল্লাহ, যেন তাই হয়।‘
জুনায়েদ চৌধুরী ওদের দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘একটা বিষয় জানা দরকার।‘
‘কী বিষয় স্যার?’
‘আপনারা যে ওর আত্মীয়; অর্থাৎ আপনি যে ওর স্ত্রী তার কী প্রমাণ আছে আপনাদের কাছে? বিয়ের কাবিননামা নিয়ে এসেছেন।‘
মিসেস রোকন হায়দার বললেন, ‘জ্বি, কাবিননামা এনেছি এবং ওর সাম্প্রতিক ফটোও এনেছি।‘
জেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা জুনায়েদ চৌধুরী বিয়ের কাবিননামা ও সাম্প্রতিক অনেকগুলো ছবি দেখে নিশ্চিত হলেন যে এই রোকন এই পরিবারেরই লোক।
ইণ্টারকমে এক অফিসারকে বললেন রোকন হায়দারকে নিয়ে আসার জন্য। কিন্তু রোকন হায়দারকে ভবঘুরে কেন্দ্রের কোথাও পাওয়া গেলো না।
চিত্র সৌজন্যঃ আন্তর্জাল
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন