থিয়েটার পাড়ায় শক্তি একটা প্রসিদ্ধ নাম। যাত্রাপালায় তাঁর সেই রাবণের চরিত্রের হাসি থিয়েটারেও বিখ্যাত। অভিনয়শৈলী কখন যে প্রেমশৈলীতে বদলে গেল তা শক্তির অগোচরে ছিল। ললিতাকে মঞ্চে দেখেই ভালো লাগে তাঁর। দীর্ঘদিন প্রেমপর্ব চলার পর মেগা সিরিয়ালের ডাইরেক্টরের সাথে সম্পর্কে জড়ানোর কথা শক্তি জানতে পারে।
মাঝে কেটে গেছে বেশ কয়েক বছর। সম্প্রতি আলাপ হয় জুঁইয়ের সাথে। কথায় কথায় শক্তির অভিনয় নিয়ে
সে খিল্লি করলেও শক্তির অভিনয়ের ভুল - ঠিক সে নিখুঁত ভাবে বর্ণনা দেয়। মেয়ের নামে হোমডেলিভারী চালানো এই মহিলা বেশ সাহসী।
মেরুদণ্ড সোজা রেখে একদিন স্বামীর ঘর ছেড়েছিল জুঁই।
দীর্ঘদিন খুন্তীর ছ্যাঁকা অবজ্ঞা করে সহ্যের বাঁধ ভেঙেছিল
সেদিন, যেদিন নিজের বর ঘরে লোক ঢুকিয়ে দিল। কোর্ট মামলায় জুঁইয়ের কাছে মেয়ে থাকলেও মেয়ে বরাবর জুঁইকে খারাপ মহিলা
ভেবে এসেছে। শক্তির ব্যাপারেও ব্যতিক্রম
হলনা। হিংস্র বাঘিনীর মতন একদিন মুনিয়া, জুঁই ও শক্তির উপর ঝাঁপিয়ে পড়ল। সময় বদলে যায় মুনিয়া
বোঝে মায়ের ক্ষতবিক্ষত জীবনে একজন বন্ধুর খুব প্রয়োজন।
শক্তির থিয়েটার পাড়ার শো । প্রথম সারিতে জুঁই ও মুনিয়া। ললিতা আজ অতিথি। পালা শেষে ললিতা আলাপ
করতে এলে শক্তি মুনিয়াকে দেখিয়ে বলে ওঠে, “আলাপ করিয়ে দি, আমাদের জীবনের একমাত্র অবলম্বন আমার
মেয়ে মুনিয়ার সাথে।“ চারজনের চোখেই আজ জল ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন