হে বৈশাখ
দহন জ্বালায় জ্বলিয়া দিবসে
শ্রান্ত কি তুমি রজনীর শেষে?
ঘুমায়োনা আর কাটিছে আঁধার
পঞ্চবিংশে পড়িবে যে এবার।
কত কাজ আজ আছে হেথা পড়ে
ভুলিছ কি তাহা বয়সের ভারে।
হে বৈশাখ
যাও ত্বরা আজ ঝড়ের ঘরেতে
কহ ধীরে তারে শান্ত রহিতে।
যাও প্রত্যুষে তপন আলয়ে
কহ জোড় হাতে অতি সবিনয়ে।
আসিবে তারাও সুমধুর প্রাতে
কোমল পরশে ফুলের সাজিতে।
হে বৈশাখ
শঙ্খধ্বনিতে জাগাও সবারে
ফুলের সুবাস দাও পবনেরে।
উঠিবে সকলে রাতবেশ ছেড়ে
পশিবে সে সুর কর্নকুহরে।
আজি কেহ আর রবে নাকো ঘরে
আসিবে সকলে সব কিছু ছেড়ে।
হে বৈশাখ
মৌন রয়োনা এ মোর মিনতি
সাথে রাখো শুধু আকুল আকুতি।
কহ কোকিলেরে ডাকিতে সবারে
তিষ্ঠ হইতে কহ চাতকেরে।
তৃষ্ণার জল আসিবে সুরেতে
একতারা নিয়ে কবি আছে মেতে।
হে বৈশাখ
বনতল আজ সুনিবিড় ছায়ে
বসে আছে সেজে পর্ণ বিছায়ে।
ভ্রমরেরা সুর তোলে গুঞ্জনে
গুরুদেব বুঝি গায় মনে মনে।
চল গান গাই তাঁর সুরে সুরে
তাঁহার আশিষ লাগে যেন শিরে।
সর্বজয়া পত্রিকার প্রত্যেক লেখক লেখিকার মান খুবই উঁচু। বেশ উন্নত মানের পত্রিকা।
উত্তরমুছুনএকটি মন্তব্য পোস্ট করুন