প্রিয়তমা,
এখন রাত্রি গভীর। এখনও আমি বিনিদ্র।
একটু আগে ফিরেছি টেন্ট-এ
মর্টার সেল-এর চুম্বন এড়িয়ে বেঁচেছি,
মৃত্যু ফিরে গেলেও বিছিয়ে দিয়েছে আতঙ্ক।
আমার তো এসব নিয়েই নিত্য খেলা!
এখন জ্যোৎস্নায় ডুবছে রাত্রি
মায়াবী আলোয় স্তব্ধ আমি আর
সীমান্তের কাঁটা তারে হাত ধরে আছে
দু'পাশের অপেক্ষার বিমুগ্ধতা।
ঘুমহীন আমার দৃষ্টি আগলে তুমিও
লুকিয়ে আছো সময়ের অলক্ষ্যে।
ঘড়ি বেয়ে চলা টিক টিক শব্দে
একা তুমি প্রিয়তমা আঁধারের ঠিকানায়
নিভৃতে কুড়িয়ে নেবে এক অ-শূন্য প্রাপ্তি।
তোমার এসব নিয়েই আলোর রাত খুঁজি
কালো ক্যানভাসে শুধুই এঁকে যাই ভোর
সেই নিস্তব্ধ দৌড়ের ঘোর কাটতে চায় না -
আমি শেষে হারিয়ে যাই
সমুদ্র হয়ে আছড়ে পড়া বোবা কান্নায়।
একদিন উড়ে যাওয়া এ চিঠি
ঠিক ছুঁয়ে পাবে ওই স্পর্শের হাত,
চেনা এক গন্ধে ভরবে তোমার হৃদয়-বিতান
আর থরথর কম্পনে আমায় দেখবে তুমি
খন্ডিত পৃথিবীর দেহের মিলনে -
একরাশ লজ্জায় লুকোবে রূপসী অনন্যা।
আবার ফুল হয়ে ফুটবে আগামীর অনুরাগ
ব্যাকুল হয়ে তুমি সাজবে গোলাপের কাননে
ত্বরিত প্রত্যয়ে সেদিনেই থেমে যাবে
বারুদের বৃষ্টি - সীমান্তে উঠবে নতুনের সূর্য
মানুষের মুক্তির প্রতীক্ষায়।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন