গরিবের আদিবাসী ছেলে
দুরন্তপনায় করে খেলাধুলো ছোটে
এদিক ওদিক দুষ্টু যে ভারি,
বাবা তার চাষ করে মাঠে
সারাদিন খেটে খেটে বেলা কাটে
ছেলে তার দুরন্ত হলে হবে কি
মেধাবী যে ভারী, লেখা তার
সুন্দর হাতে কলমের খোঁচায়
খাতায় খাতায় ভরে ওঠে সেজে!
সে যে গরিবের আদিবাসী ছেলে।
মা তার খেটে মরে বেলা কাটে
জোটে না যে ভাত থাকে খালি পেটে
সে যে গরিবের আদিবাসী ছেলে
কখনো সকালে খেয়ে এক মুঠো পান্তা
নুন পেঁয়াজ আর দিয়ে ধানি লঙ্কা
পিঠে নিয়ে, লাইলনের বাজারের ব্যাগে
পুরনো খাতা পেন আর ছেঁড়া বই
শীর্ণ পায়ে জীর্ণ চটি দিয়ে সে তৈরী
সে যে গরিবের আদিবাসী ছেলে।
প্রাথমিক স্কুলে যায় পায়ে হেঁটে বহুদূরে
যতটুকু পড়াশোনা স্কুলেই কেবল জোটে
বাড়িতে বাড়ির কাজ আরো কত শত শত
ধান মাটি কাটা, ধান ঝাড়া, মুটে বওয়া
আর খেলাধুলা লুটোপুটি একমুঠো হাসি
সে যে গরিবের আদিবাসী ছেলে
কোচিং টিউশনের নেই যে বালাই, সে যে
হাজার বছরের বঞ্চিত আদিবাসী ছেলে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন