ভারতীয় চলচ্চিত্রের প্রথম মহিলা মহাতারকাঃ কানন দেবী - তমালিকা ঘোষাল ব্যানার্জী

 


পরের বাড়িতে বাসন মেজে, পরিচারিকার কাজ করে, কঠিন সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে একসময়ে বেঁচে থাকতে হয়েছিল তাঁকে। পরবর্তীকালে তিনিই হয়ে উঠেছিলেন বাংলা চলচ্চিত্রের ও সঙ্গীতের সম্রাজ্ঞী। স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ তাঁকে বলেছিলেন– '‘কী সুন্দর মুখ তোমার! গান করো? তাহলে একবার শান্তিনিকেতনে এসে গান শুনিও আমায়।’' তিনি ভারতীয় চলচ্চিত্রের প্রখ্যাত অভিনেত্রী, অনন্য কণ্ঠশিল্পী ও চলচ্চিত্র পরিচালক কাননবালা দেবী। এই জুলাই মাসেই ইহজগৎ ছেড়ে অমৃতলোক যাত্রা করেছিলেন তিনি। ১৭ই জুলাই তাঁর প্রয়াণদিবস। কানন দেবীর প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের উদ্দেশ্যে রইল তাঁর জীবনের ওঠাপড়ার নানা কাহিনী যা রয়ে গেছে লোকচক্ষুর অন্তরালে। তাঁর জীবনসংগ্রাম যেকোনো মানুষকে অনুপ্রেরণা দেওয়ার ক্ষমতা রাখে

 

জন্ম ও অভিনয়জীবন :

 

ছোট্ট কাননের জীবন শুরুই হয়েছিল দুখের গাথা দিয়ে। ১৯১৬ সালে জন্ম তাঁর। পিতা রতনচন্দ্র দাস, মাতা রাজবালা দেবী। রতনবাবু ছিলেন মার্চেন্ট অফিসের কর্মী। সাথে একটা ছোট গয়নার দোকানও ছিল। কিন্তু সেই সঙ্গে তাঁর ছিল মদ্যপান ও রেসের মাঠে টাকা ওড়ানোর নেশা। বাজারে প্রচুর ঋণ রেখে তিনি ইহলোক ত্যাগ করলেন। ওদিকে রাজবালা দেবী রতনচন্দ্রের বিবাহিতা স্ত্রী ছিলেন না। সেই কারণে তিনি ও তাঁর মেয়ে সমাজের কাছ থেকে অপমান ও অসম্মান কম কিছু পাননি। রতনবাবু মারা যাওয়ার পর পেটের ভাত জোগাড় করাও দুঃসাধ্য হয়ে ওঠে। অগত্যা রাজবালা দেবী কন্যাসহ এক আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয়ভিক্ষা চাইলেন

 

সেই আত্মীয়রাও এই সুযোগে কড়ায় গন্ডায় বুঝে নিতে ছাড়লো না। তৎক্ষণাৎ বাড়ির পরিচারিকা ও রাঁধুনিকে কাজ থেকে ছাড়িয়ে দিল। মা-মেয়ের নতুন জীবন শুরু হলো হাড়ভাঙা খাটুনি দিয়ে। এমনই একদিন রাজবালা দেবীর হাত থেকে একটা চায়ের প্লেট পড়ে ভেঙে গেল। বাড়িসুদ্ধ লোক অপমান করার কোনো ফাঁক বাকি রাখলো না। আর থাকতে পারলেন না তিনি। এসে উঠলেন হাওড়ার ঘোলাডাঙা পল্লীর এক হতশ্রী ভাড়াবাড়িতে। পল্লী অখ্যাত হলেও কাননের সামনে সঙ্গীতের এক বিরাট জানলা খুলে দিয়েছিলেন ভোলানাথ নামক সেখানকার এক মধ্যবয়সী গানপাগল মানুষ। অতুলপ্রসাদী থেকে মীরার ভজন গেয়ে শোনাতেন ভোলানাথ। কখনও লালনের গান শোভা পেত তাঁর গলায়। ছোট থেকে কানন এমনিতেই সঙ্গীতপ্রেমী ছিলেন। ভোলানাথের গান তাঁকে আরো উৎসাহ যোগাতো

 

কিন্তু অন্নসংস্থান তো করতে হবে! বেঁচে থাকার জন্য টাকার দরকার। আর সেই বাঁচার অবলম্বন হিসেবে বেছে নিতে হলো অভিনয়কে। পাড়ার ‘কাকাবাবু’ তুলসী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সূত্রে ম্যাডান থিয়েটারে ‘জয়দেব’ চলচ্চিত্রে রাধার চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ মিললো। পরিচালক জ্যোতিষ বন্দ্যোপাধ্যায়। কাননের পারিশ্রমিক ৫ টাকা। অথচ পাওয়ার কথা ছিল ২৫ টাকা! বাকি টাকাটা ‘মিডলম্যান’রা নিয়ে নিয়েছে। তবে পারিশ্রমিকে বঞ্চনা হলেও এই সময়ে ‘দাদু’ জ্যোতিষবাবু কিশোরী কাননকে দীক্ষা দিয়েছিলেন চলচ্চিত্রের প্রথম পাঠের। একেবারে প্রথম দিনের শুটিং। আয়না আর রিফ্লেক্টর দিয়ে আলো ফেলা হচ্ছে। চড়া আলোয় কুঁকড়ে গেলেন কানন। বললেন, "আমি পারব না।" সঙ্গে কান্না। কতোই বা বয়স তখন কাননের, ১০ বছর। মৃদু ভর্ৎসনা করে জ্যোতিষবাবু বললেন, "ছি! অত ঘাবড়াতে নেই।" চোখের জল মুছে অভিনয়ের জন্য প্রস্তুত হলো কানন

 



এই প্রসঙ্গে আরেকটি ঘটনা বিশেষভাবে উল্লেখ্য। একদিনের কথা। শুটিং ফ্লোর তৈরি। লাইট, ক্যামেরা, কৃষ্ণ – সকলে প্রস্তুত। কিন্তু রাধা কোথায়! তাকেই তো খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এমনসময় প্রোডাকশনের এক কর্মী চেঁচিয়ে উঠলো, "ওই তো!" রাধা নিশ্চিন্তে ঘুমোচ্ছে পেয়ারা গাছের ডালে। তাকে নামিয়েই পরিচালক জ্যোতিষবাবুর সটান থাপ্পড়। থাপ্পড়টা ‘শিক্ষা’র জন্য হলেও ছোট্ট কানন মনে মনে ভারি দুঃখ পেয়েছিল। শেষে কিনা দাদুও মারল তাকে! বাড়ি ফেরার পর অভিমানে চোখের জলে দু'গাল ভেসে গিয়েছিল তার

 

সেই ঘটনা ছিল ১৯২৬ সালের। এরপর ১৯২৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ইন্ডিয়ান সিনেমা আর্টস প্রযোজিত এবং কালীপ্রসাদ ঘোষ পরিচালিত নির্বাক ছবি ‘শঙ্করাচার্য’-তে কানন অভিনয় করেন। ১৯৩১ সালে প্রথম সবাক বাংলা ছায়াছবি ‘জামাইষষ্ঠী’ মুক্তি পায়। ১৯৩৭ সালে দেবকী বসু পরিচালিত 'বিদ্যাপতি' ছবিতে অভিনয় করে খ্যাতির শীর্ষে উঠে আসেন কাননবালা। এই বছরেই মুক্তিপ্রাপ্ত 'মুক্তি' ছবির মাধ্যমে তিনি প্রথম সারির নায়িকা হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেন। পরবর্তীতে ধীরে ধীরে ম্যাডান থিয়েটার, রাধা ফিল্মস প্রভৃতি পথ পেরিয়ে কাননদেবী যোগ দিলেন বিখ্যাত নিউ থিয়েটার্সে। ‘মা’, ‘মানময়ী গার্লস স্কুল’, ‘খুনি কৌন’, ‘বিদ্যাপতি’ প্রভৃতি সিনেমায় কাননদেবীর অভিনয়ের প্রশংসা লোকের মুখে মুখে ঘুরতে লাগলো

 

১৯৪১ সালে কাননদেবী নিউ থিয়েটার্স ছেড়ে নিজের পছন্দমত ছবিতে অভিনয় শুরু করেন। ১৯৪২ সালে প্রমথেশ বড়ুয়া পরিচালিত 'শেষ উত্তর' ও তার হিন্দী 'জবাব' ছবিতে তিনি বিশেষ সাফল্য পান। বিশেষ করে তাঁর 'তুফান মেল' গানটি তাঁকে অভিনেত্রীর পাশাপাশি গায়িকা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে। ১৯৪৩ সাল থেকে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত হিন্দি বাংলা মিলিয়ে অনেকগুলো ছবিতে অভিনয় করেছিলেন তিনি। ১৯৪৮ সালে তিনি 'শ্রীমতী পিকচার্স' প্রতিষ্ঠা করেন এবং এই প্রতিষ্ঠানের ব্যানারে চলচ্চিত্র পরিচালনা ও প্রযোজনার দিকে মন দেন। এইসময় কানন দেবী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস অবলম্বনে চলচ্চিত্র তৈরিতে মনোযোগী হন। ১৯৫৯ সালে তিনি শেষবারের মতো অভিনয় করেন 'ইন্দ্রনাথ, শ্রীকান্ত ও অন্নদা দিদি' চলচ্চিত্রে

 

সঙ্গীতজীবন :

 

অভিনয়ের সাথে সঙ্গীতের উপর যথেষ্ট দখল ছিল কানন দেবীর। খ্যাতির শীর্ষে পৌঁছেও ভুলে যাননি ভোলাদার কথা। আত্মজীবনীতে অকপটভাবে স্বীকার করেছিলেন, তাঁর সঙ্গীতের হাতেখড়ি হয়েছিল ভোলাদার হাত ধরেই। পরবর্তীকালে ওস্তাদ আল্লারাখা, পঙ্কজ মল্লিক, ভীষ্মদেব চট্টোপাধ্যায়, আখতারী বাই, ধীরেন্দ্রচন্দ্র মিত্র, দিলীপ রায়, নজরুল ইসলামের মতো মহান শিল্পীদের কাছে গান শিখেছিলেন তিনি। একদা কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁকে শান্তিনিকেতনে গিয়ে গান শোনানোর অনুরোধ করেন। সে অনুরোধ রাখতে না পারার আক্ষেপ চিরকাল রয়ে গিয়েছিল কানন দেবীর

 

চলচ্চিত্র জগতে কানন দেবীর প্রথম গান রেকর্ডিং হয় ‘মানময়ী গার্লস স্কুল’ ছবিতে। এই প্রসঙ্গে একখানি ঘটনার কথা বলা যাক। ‘বিদ্যাপতি’ ছবির গানের রেকর্ডিং হবে, গান গাইবেন কানন। রাইবাবু অর্থাৎ রাইচাঁদ বড়াল বললেন, "মাত্র চারটে চান্স দেব।" তবে তার আর দরকার হল না, দু'টো চান্সেই পাশ করলেন কানন। এবারের ছবির নাম ‘মুক্তি’, সঙ্গীত পরিচালক পঙ্কজ মল্লিক। তাঁর তত্ত্বাবধানেই কানন এই প্রথম সিনেমায় গাইলেন রবীন্দ্রসঙ্গীত। বাঙালির হৃদয় জয় করল সে গান। তাঁর কণ্ঠে ‘আজ সবার রঙে রঙ মিশাতে হবে’, ‘সেই ভালো সেই ভালো’, ‘আমি বনফুল গো’, ‘কুঁচবরণ রাজকন্যার মেঘবরণ কেশ’, ‘প্রণাম তোমায় ঘনশ্যাম’ প্রভৃতি গান দিকে দিকে জনপ্রিয় হল। পঙ্কজবাবু কাননদেবী সম্পর্কে মূল্যায়ন করলেন, "ফার্স্ট সিঙ্গিং স্টার অব নিউ থিয়েটার্স"

 

বিবাহ :

 

কাননবালার প্রেম ও বৈবাহিক জীবন চলচ্চিত্রের কাহিনী থেকে কোনো অংশে কম ছিল না। তাঁর প্রথম স্বামী ছিলেন অশোক মৈত্র। মৈত্র পরিবার ছিল আভিজাত্যপূর্ণ, সম্ভ্রান্ত এবং বনেদী। তখন অশোক মৈত্র অক্সফোর্ড ফেরত। দেশে ফিরে কবিগুরুর বিশ্বভারতীতে পড়ানো শুরু করেছেন। রাইফেল হাতে পাকা শিকারি অশোক। একসময় তিনি কাননবালার প্রেমে পড়লেন। এক মজলিশে বন্ধুদের বললেন, ‘‘এখন এই সন্ধ্যায় চাওয়া-পাওয়ার কী-ই বা বাকি রইল, শুধু কাননকে পাশে পাওয়া ছাড়া।’’ সঙ্গীসাথীরা বন্ধুর এই বাসনাটুকু বাকি রাখতে চায়নি। তাই ওঁকে প্রায় বেহুঁশ অবস্থায় বৌবাজার পল্লীর কাপালিতলা লেনে কাননের বাড়ির দোরগোড়ায় ফেলে চম্পট দেয় তারা

 

ভোরবেলায় ঘুম থেকে উঠে সুদর্শন, সুবেশ ও নিদ্রিত এই পুরুষটিকে বাড়ির বাইরে শুয়ে থাকতে দেখে যারপরনাই আশ্চর্য্য হয়ে যান কানন। আধো ঘুমের মধ্যে চোখ মেলে নায়িকাকে দেখে অশোকের মনে হয়েছিল স্বপ্নেই আছেন। কানন জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ‘‘আপনি কে? কেমন করে এখানে আসা হল?’’ অশোক তখন চোখ বন্ধ রেখেই বলেছিলেন, ‘‘চলে যান, স্বপ্ন ভাঙবেন না। আমি এখন কাননবালার সঙ্গে আছি।’’ বলা বাহুল্য, সেই থেকে অশোক-কাননের প্রেম শুরু। এদিকে অশোকের পিতা ব্রাহ্মসমাজের দোর্দন্ডপ্রতাপ নেতা ও সিটি কলেজের অধ্যক্ষ হেরম্বচন্দ্র মৈত্র। জীবনের শেষদিন অবধি কাননের সঙ্গে পুত্রের বিবাহ মেনে নেননি হেরম্বচন্দ্র। তাই ওঁর জীবিতকালে অশোক ও কাননের সম্পর্ক থাকলেও বিয়ে হয়নি। অবশেষে তাঁর মৃত্যুর পর কাননকে সাদরে গ্রহণ করেছিলেন অশোকের মা কুসুমকুমারী দেবী। অশোক মৈত্রের সাথে কাননের বিবাহ হয়েছিল ১৯৪০ সালের ডিসেম্বর মাসে। অশোকের বয়স যখন ছত্রিশ, কাননের পঁচিশ

 

 

তবে এই বিবাহ দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। পাঁচবছর পর অশোক ও কাননের বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায়। এরপর শুরু হয় কাননবালার নতুন জীবন। এক ভদ্র, উচ্চমনা ও সুপুরুষ হরিদাস ভট্টাচার্য আসেন তাঁর জীবনে। সোনালি ফ্রেমের চশমা ও কাঁচাপাকা চুলের সুন্দর মুখের অধিকারী হরিদাস ভট্টাচার্য নিজেই ছিলেন এক স্বনামধন্য ব্যক্তি। ১৯৪৯ সালে কাননবালার সঙ্গে বিবাহের সময় তিনি ক্যাপ্টেন হরিদাস ভট্টাচার্য। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল ডঃ কৈলাসনাথ কাটজুর এডিসি। তবে শেষদিন অবধি অবশ্য হরিদাস ও কানন একসঙ্গে থাকতে পারেননি, ছাড়াছাড়ি হয়ে গিয়েছিল। যদিও হরিদাসের সঙ্গে ৪০ বছরের বিবাহিত জীবন কাটিয়েছিলেন কানন। ১৯৪৯ থেকে ১৯৮৯ পর্যন্ত

 

পুরস্কার ও স্বীকৃতি :

 

ভারতীয় চলচ্চিত্রের সর্বকালের সেরা নায়িকাদের মধ্যে অন্যতম কাননবালা দেবী প্রথম বাঙালি অভিনেত্রী হিসেবে ১৯৭৭ সালে প্রথম দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার অর্জন করেন। ১৯৬৮ সালে তিনি পদ্মশ্রী সম্মাননা পান। ১৯৯০ সালে সিনে সেন্ট্রাল কর্তৃক হীরালাল সেন পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৯১ সালে কানন দেবী ‘ইন্দিরা গান্ধী স্মৃতি পুরস্কার’ পান। ভারতীয় তথ্য সম্প্রচার দফতর ২০১১ সালে কানন দেবীর নামে পোস্টাল স্ট্যাম্প বের করে

  

ভারতীয় চলচ্চিত্রের এক অসামান্যা গুণবতী ব্যাক্তিত্বময়ী অভিনেত্রী ছিলেন কানন দেবী। অতি সাধারণ অবস্থা থেকে ভারতীয় চলচ্চিত্রে কিংবদন্তি গায়িকা ও নায়িকা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। তাঁর জীবনসংগ্রামের কাহিনী তিনি বর্ণনা করেছিলেন আত্মজীবনী "সবারে আমি নমি" (১৯৭৩) গ্রন্থে। নিজের জীবনে প্রতিনিয়ত সংগ্রাম ছিল বলেই হয়তো তিনি অন্যের লড়াইকে অনেকখানি মূল্য দিতেন এবং সেই কারণেই দুঃস্থ ও অবসরপ্রাপ্ত অভিনেত্রীদের জন্যে আমৃত্যু তাঁর চিন্তাভাবনা কখনও থামেনি। কানন দেবী তৈরি করেছিলেন ‘মহিলা শিল্পী মহল’, সাহায্য করেছেন বহু শিল্পীকে। উনিশ শতকের প্রথম বাঙালী মহাতারকা কানন দেবী ১৯৯২ সালের ১৭ই জুলাই কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর স্মৃতির প্রতি জানাই বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন