চরিত্র বর্ণিল হলে মুহূর্তেই ডিগবাজি দেবার জন্য তড়পায় কৈ মাছ
লোভের শিকড় ধরিত্রীর গর্ভে মুষ্ঠাঘাত করে না ভেবে আগামী
আত্নমগ্ন উই দস্তাবেজ কেটে ঢিবি তৈরি করে অহোরাত্র
পরিপার্শ্ব ভুলে স্বার্থের শৃঙ্খলে বন্দী অজান্তেই
জাগতিক ধর্ম দুর্বলের গলা কাটে তুচ্ছ অছিলায়
পাখির উদরে সমুদ্রের ঢেউ ধুয়ে ফেলে স্বৈর
বাজের মাথায় চাটি মারে ফিঙ্গে কে না জানে সেটা
বেহিসাবে পেট ফেটে বাইরে আসে মুঠোবদ্ধ হাত
লঙ্কার চরিত্র রাবণ তৈরিতে রাম থাকে বনবাসে
জনতা প্রত্যাশা মরে যেতে দেখে মুচকি হাসে ফের
পাথর উল্টানো থামে না মুহূর্ত
নৌকা জলে আনতে গুণ টানে ঘামে ভেজা গায়ে
বর্ণিল চরিত্র মশল্লা লাগিয়ে মহীয়ান করে নব্য স্বৈরাচারে
জনতার ঘাম সিঁড়ি হয়ে শুটকি হতে থাকে আজীবন
পান্তায় মরিচ কমে এলে গিলে খায় দীর্ঘশ্বাস
নালিশের স্থান সর্বকালে থাকে ধরাছোঁয়ার বাইরে
মৌজে থাকে নিত্য রঙের মানুষ ভোল পাল্টে রেখে
কমে না কাদার ভ্যাঙানো গাঁয়ের ডানে কিংবা বামে
গদি শাসকের ভাগ্য পাল্টে দেয় একশ' আশি ডিগ্রী
আমজনতা হতে থাকে নিষ্পেষিত পূর্বের মতোই।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন