ক্রমিক পতন - ভীষ্মদেব সূত্রধর

 


প্রত্যহ প্রাতে জানালার গ্রীলে বসে চড়ুই, গল্প করে বলে যায়

অধীনস্থ অট্টালিকার গারদের

কারা যেন এখন হয়ে উঠছে প্রভু

আমি বন্দুক তাক করে দেখি এ বুকের গর্তে কোন কামান

শেলের তাজা বারুদ পূর্বেই ভেদ করে আছে পৃষ্ঠ বরাবর

চড়ুইটা শুধু সকালেই আসে, সংসারে তার ভাঁড়ামোর দায়

নিঃসঙ্গ উদ্বেগী-ঠোঁটে কি নির্মোহ অধিকার

মাথায় টোকা মেরে সব বলবে না আঁতেল কোথাকার!

প্রভূত পাখির দালানে কোটরে জিম্মা খাদ্যভান্ডার

আমি ভেবেছিলাম তার দুঃখকে করবো ক্যামেরাবন্দি

গপ্প শোনাবো 'দস্যু বনহুর'।

ধীরে ধীরে ক্রমান্বয়ে স্খলিত বীর্যে প্রতিষ্ঠিত প্রভুর সাথে সন্ধি;

পীড়া পীড়া!

জানালা খুলিনি কিছুদিন

কলেজ আর ল্যাবে রাত দিন বিজ্ঞান প্রদর্শনীতে আড্ডা তর্ক

ঈশ্বর কিভাবে হয়ে ওঠে কাপুরুষ-

বেলা করে ঘরে ফিরি, জানালাটা খুলি, গ্রিলে দু'টো ঠ্যাং মরা চড়ুইয়ের

আটকে গেছিল কব্জায়,

আমি আমি হত্যা করিনি বিশ্বাস করুন -মুক্তি দিয়েছি।

আর অন্যভাবে কি করে দিতাম!

বন্ধ হলো কপাট, পতনের শব্দে ভূমিষ্ঠ হলাম, চড়ুই

সে মিশে গেছে মাটিতে। সৌধে তার ইট পাথরের দেয়াল।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন