বলতে পারো সত্যি করে ঈশ্বর কাকে বলে?
ভিন্ন ধর্মে ভিন্ন রকম ঈশ্বর ডেকে চলে!
এক এক সাজে এক এক ভাবে ঈশ্বর শুনি আছে-
আপন ধর্মে ঈশ্বর নাকি শাশ্বত নিজ কাছে!
প্রশ্ন যখন উঠলই তবে উত্তর দিতে হয়,
ঈশ্বর আর অবিনশ্বর ভিন্ন সত্ত্বা নয়।
ঈশ্বর হলো সেই শক্তি মন প্রাণ দিয়ে যাকে-
চরম বিপদে মানবজাতি একাগ্রচিত্তে ডাকে।
অসীম ক্ষতিতে ঈশ্বর হলো সেই মহাপ্রকাশ-
এক লহমায় মানুষ যাকে করবে অবিশ্বাস!
ঈশ্বর হলো সেই যাঁর কাছে প্রয়োজন মতো তার,
মানবজাতি স্বার্থের জেরে চাইবেই প্রতিকার।
স্বার্থসিদ্ধি না হলেই তবে ঈশ্বর সেই হায়!
যাবতীয় যত ক্ষোভ যার প্রতি উগরিয়ে দেওয়া যায়।
মানবের জ্ঞান হঠাৎ করেই সীমিত যেখানে আজ-
ঈশ্বরকে সে হস্তান্তরে সঁপে দেয় সব কাজ;
ঈশ্বর হলো অদেখা সেই মহাজাগতিক রূপ,
যেই শক্তির সত্যতা আজ সৃষ্টির প্রতিরূপ!
জাগতিক রূপে ঈশ্বর হলো সেই মহা অধ্যায়-
মানুষ যাকে মানুষেরই মাঝে কেবলই খুঁজতে চায়;
শক্তি, মূর্তি, মানব অথবা চির অবিনশ্বর-
শান্তির শেষ পরাকাষ্ঠার নাম হলো ঈশ্বর।।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন