অন্তর্দ্বন্দ্ব - মিলি ঘোষ




প্রকৃতি তার আপন নিয়মেই ধীরে ধীরে শান্ত হল। তবুও বাতাসের কান ফাটানো শোঁ শোঁ রণহুঙ্কার বেশ ক'দিন তাড়া করে বেড়াল কার্তিককে। চোখ বুঝলেই মনে হয়, নদীটা যেন এগিয়ে এসে রাক্ষুসে হাসিতে ফেটে পড়ছে। দু'হাত দিয়ে কান চাপে কার্তিক। এই মৃত্যু পুরীতে আর ওর ভালো লাগে না। কিন্তু, কোথায় যাবে কার্তিক ?

প্রান্তিক মানুষের আর কী বা চাহিদা। প্রকৃতির খামখেয়ালিপনার সঙ্গে লড়ে যাওয়াই ওদের জীবন। কিন্তু বছর ষোলোর কার্তিকের ভাবনা-চিন্তা অন্য দিকে মোর নেয়। কলকাতায় পালিয়ে যাবার পরিকল্পনা মাথার মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে কিছু দিন ধরেই। বাবা মা যে ওর এই ইচ্ছায় সায় দেবে না, সে কার্তিক ভালোই জানে। গেলে, না জানিয়েই যেতে হবে। কার্তিকের দৃঢ় বিশ্বাস, কলকাতায় গিয়ে যা হয় একটা কাজ ও ঠিক জুটিয়ে নেবে


বাবা মধু আনতে বনের ভিতরে গেলে এক সময় কার্তিকের রাতের ঘুম উড়ে যেত। ভয়টা অমূলক নয়। প্রতি বছর মৌয়ালদের কেউ না কেউ বাঘের পেটে যায়। তাই বাবা না ফেরা পর্যন্ত ভয় কাঁটা হয়ে থাকত কার্তিক। আজ সেই কার্তিকই বাবার জঙ্গলে যাওয়ার অপেক্ষায় দিন গুনছে। যাবার দিন ঠিক হতেই মৌয়ালদের মধ্যে তোড়জোড় শুরু হয়ে যায়। সেই সঙ্গে কার্তিকও নিজেকে মানসিক ভাবে প্রস্তুত করতে থাকে।

সুযোগ পেয়েই একদিন ভোর রাতে বেরিয়ে পড়ল সে। দূরে বনের মাথায় তখন হালকা আবিরের রেখা। হাতে সামান্য কিছু টাকা। শেফালি যে কৌটোতে টাকা রাখে, সেখান থেকে কিছুটা আগের রাতেই সরিয়ে রেখেছিল। বেরোনোর সময় একবার মায়ের দিকে তাকিয়েছিল কার্তিক। শেফালি তখন ঘুমে অচেতন। 

শিয়ালদায় ট্রেন ঢুকতেই সহযাত্রীদের সঙ্গে উঠে দাঁড়াল কার্তিক। এই প্রথম সে কলকাতার মাটিতে একা পা রাখল। কোনদিকে যাবে বোঝার আগেই জনস্রোতে ভেসে চলল কার্তিক। ধাক্কা খেতে খেতেই চলে গেল গেটের কাছে। বাইরে বেরিয়ে কার্তিকের চোখে অপার বিস্ময়। এদিক ওদিক দেখতে লাগল ও। এই সকালেও এত ভিড় এখানে!

কার্তিক বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখল ব্যস্ত শহরের প্রভাতের রূপ। তারপর রাস্তার এক পাশ দিয়ে হাঁটতে শুরু করল। কলকাতার সকাল আর ওদের গ্রামের সকালের মধ্যে আকাশ পাতাল তফাৎ। তবু কার্তিক এখানে প্রাণের স্পন্দন পেল। চারপাশের লোকজনকে দেখছে আর ভাবছে কার্তিক, এ শহর কত স্বাধীন! এখানে পাখির মতোই ওকে খুঁটে খেতে হবে। আবার পাখির মতোই এ'ডালে ও'ডালে লাফিয়ে বেড়াতে পারবে। তবে উড়তে কি পারবে ? এখানে তো দিগন্ত বিস্তৃত ঘন নীল আকাশ নেই। কার্তিক অবশ্য খুবই শক্ত ধাতুতে গড়া ছেলে। নিজের মা বাবা'কে ছেড়ে, এত দিনের চেনা গ্রামকে ছেড়ে প্রায় অজানা শহরে কার্তিক কিন্তু ডানা মেলতে আসেনি।

এক অনিশ্চিত জীবন এখন ওর সামনে। মাথার ওপর ছাতা ধরার একটি লোকও এখানে নেই। তবু কার্তিকের মনে এখন অপার পুলক। জন্মাবধি ও এত খুশি আর কখনও হয়নি। কার্তিকের মনে হলো, যেভাবেই হোক কলকাতাতেই ওকে থাকতে হবে। এ শহর যেন ওকে ফিরিয়ে না দেয়

দুরমুশ করা চেহারা কার্তিকের। গড়পরতা বাঙালির থেকে একটু বেশিই শক্তিশালী। সহজে ক্লান্তও হয় না। কায়িক পরিশ্রমের কাজ ও সহজেই উতরে দিতে পারে। তবু কাজ পায় না কার্তিক। শিয়ালদা স্টেশনে রাত কাটিয়ে সকাল হলেই কাজের খোঁজে বেরিয়ে পরে। হাতের টাকাও তো শেষ হতে চলেছে। তবে কি ফিরেই যেতে হবে নিজের গ্রামে কার্তিককে ?
কার্তিকদের তো উন্নাসিকতা নেই। কাজ একটা হলেই হলো। তাই সময় একটু লাগলেও অবশেষে পেল কাজ কার্তিক। ফুটপাথের একটা ভাতের হোটেলে থালা গ্লাস থেকে শুরু করে বড়ো বড়ো হাঁড়ি কড়া মাজা, বেঞ্চ পরিস্কার করে খদ্দেরদের খেতে দেওয়া, সকাল সকাল এসে তরকারি কুটে দেওয়া এই হলো কার্তিকের কাজ। বিকেলের দিকে ভিড় কমলে আবার কার্তিক রাতের রান্নার জন্য সব্জি কুটতে বসে। মাস গেলে হোটেলের মালিক তপন, পাঁচশো টাকা দেয় কার্তিকের হাতে। ওতে যে কিছুই হবে না, কলকাতায় কদিন থেকেই ও বুঝে গেছে। তবে ওই হোটেলেই কার্তিক দু'বেলা খায়। পয়সা লাগে না। বাকি কর্মীরাও তাই। কিন্তু কার্তিককে তপন টাকাটা বাকিদের থেকে কম দেয়। তপন হিসেবে পাকা। গ্রামের ছেলের খাই বেশি। ভাত অন্যদের থেকে ও বেশিই খায়। তাই নামমাত্র টাকা দিয়ে পুষিয়ে নেয় ও। কার্তিক অবশ্য এতেই খুশি। সকালের রুটি খাওয়ার খরচা ছাড়া বাকিটা ওর থেকেই যায়

শহরটাকে যেমন কার্তিক ভালোবাসছে, তেমনি ভেতরে ভেতরে একটা ভয়ও কাজ করছে। স্টেশনে ঘুমোয়, এই টাকা ও কোথায় রাখবে ? মালিককে একদিন বলেওছে সে'কথা। কার্তিকের প্রতি একটা মায়াও পরে গেছে আর ছেলেটা যে সৎ, তা এতদিনে তপন বুঝে গেছে।
   

কার্তিকের সমস্যার কথা শুনে বলেছে তপন, "ঠিক আছে। রাখতে পারিস আমার কাছে। তবে রোজ দোকান বন্ধ করার আগে টাকা গুণে তারপর দিবি আমাকে।" 

সেই থেকে টাকার ব্যাগ মালিকের কাছেই গচ্ছিত রাখে কার্তিক। সকালে রুটি খাওয়ার টাকাটা কার্তিক শুধু নিজের কাছে রেখে দেয়

ছেলেকে না পেয়ে পাগল প্রায় অবস্থা তখন সনাতন আর শেফালির। ও'দিকটায় বাঘের উপদ্রব খুব একটা নেই। তবে কুমির ওঁৎ পেতে থাকে। ছেলে কুমিরের পেটে গেছে ধরে নিয়েই নাওয়া খাওয়া বন্ধ করেছে শেফালি। জাল ফেলে চিংড়ি ধরে রোজ বাবুদের পাড়ায় বেচতে যেত শেফালি। কম তো দূর না। হেঁটে যাতায়াত করতে কষ্ট হওয়ারই কথা। কিন্তু কাজকে ওরা ভয় পায় না। কার্তিককে না পেয়ে সে কাজেও ভাটা পড়েছে আজকাল। মনের সঙ্গে শরীরেও ঝিম ধরেছে।

সন্ধ্যা নামার একটু আগে সিঁদুর রঙা আকাশের দিগন্ত রেখার দিকে চেয়ে শেফালি ছেলের কথা ভাবে। সনাতন বুঝিয়েছে, গরিবের শোক মানায় না। আর কুমিরেই যে নিয়েছে তারও তো প্রমাণ নেই। আসলে আশা ছাড়তে পারেনি সনাতন। চারদিকে খোঁজখবর নিয়েছে। কলকাতা গিয়েও খোঁজখবর করেছে। কিন্তু এতবড়ো শহর। কীভাবে খুঁজবে কার্তিককে!

কার্তিককে দেখে তপনের বিশুর কথা মনে পরে। কয়েক বছর আগে সেও এসেছিল সুন্দরবন অঞ্চল থেকে। কার্তিকের মতোই পেটানো চেহারা। সহজ সরল, কর্মঠ আর নির্লোভ। ওকেও তপন সামান্য টাকায় সকাল থেকে রাত পর্যন্ত খাটিয়ে নিত। তারপর ঘূর্ণিঝড় আসবে খবর পেয়ে সেই যে ছেলেটা বাড়ি গেল, আর ফিরল না। ওর অবশ্য একটা মোবাইল ছিল। ঝড় থেমে যাবার পরেও বহুবার বিশুর নম্বরে চেষ্টা করেও কোনও সাড়া পায়নি তপন।

বিশু বলে গেছিল, "আমি ফিরব তপনদা। তুমি চিন্তা কোরো না।"

কিন্তু ফিরল কই ? ক্ষয় ক্ষতির মাত্রা বিশুদের পরিবারে কতটা আঘাত হেনেছিল, কিছুই জানতে পারেনি তপন। জানলেও কি পাশে দাঁড়াত ? ওর দরকার বিশুকে। বিশু ওর তুরুপের তাস।
বিশুর অভাব মেটাতে পারল না অন্য ছেলেরা। রাগ হত তপনের বিশুর মুখ মনে পড়লেই। তবে, অনুতাপও ছিল।

মাঝেমাঝে ভাবত, "ছেলেটাকে কম পয়সা দিয়ে ঠকালাম। ওকে কিছু বাড়তি টাকা দিয়ে দিলে হতো। কী বিপদের মধ্যে আছে কে জানে!"

কিন্তু বছর ঘুরতে না ঘুরতে তপন আবার সেই আগের মানুষ। বিশুর স্মৃতি মন থেকে প্রায় মুছেই ফেলল। নিত্যদিনের ব্যবসায় মানুষ তো কম দেখল না। দোকানের কর্মচারীদের প্রত্যেকের জন্য ভিন্ন ভিন্ন লাগাম থাকে তপনের হাতে। কার্তিককে তপন তাই এক কথায় লুফে নিয়েছে। এ যেন বিশুর'ই দ্বিতীয় সংস্করনকিন্তু আবার ঝড়ের পূর্বাভাসে তপনের কপালে চিন্তার ভাঁজ।

তপন ক'দিন ধরে কিছুটা মেজাজ নিয়েই চলছে। অন্য ছেলেরা যাতে নিজেদের মধ্যে বেশি কথা না বলে, সে'জন্য একটা আপাত কঠোর আবহাওয়া তৈরি করে রাখল। আর তীক্ষ্ণ নজর রইল কার্তিকের ওপর। প্রান্তিক এলাকা থেকে এখানে যারা কাজ করতে আসে, চট করে তারা বাড়ি যাবার নাম করে না। কিন্তু প্রকৃতি তার ধ্বংসলীলা চালাবে আর ছেলে, বাবা মা'কে ফেলে কলকাতায় বসে থাকবে, তা তো হয় না। তাই ঝড়ের আগাম বার্তা পেলে ওরা সব কিছু ফেলে ছুটে যায়। কী বলে আটকাবে কার্তিক'কে বুঝে উঠতে পারছিল না তপন। তবে আটকাতে হবেই। কার্তিক বিশুদের মতো ছেলে থাকলে ব্যবসা তরতর করে মই বেয়ে উঠতে থাকে। বিশু মই সরিয়ে চলে গেছে। কার্তিকও কি তবে ...... নাহ্, নরমে গরমে যেভাবে হোক কার্তিক'কে ধরে রাখতেই হবে

কলকাতায় এসে থেকে কার্তিক খোশ মেজাজে আছে। মাঝেমাঝে বাড়ির জন্য মন যে খারাপ হয় না, তা নয়। তবে, ওর চোখে স্বপ্ন অনেক। একদিন তপনের মতো একটা হোটেল খুলবে। আজকাল কার্তিক রান্নাবান্নাতেও হাত পাকিয়েছে। তপন অবশ্য সে'জন্য ওর মাইনে একটু বাড়িয়ে দিয়েছে। প্রোমোশন হলে যা হয়। তবে খুব বেশি রান্নার দিকে ওকে ঠেলে না তপন। কাজ শিখে গেলে কে আর পড়ে থাকে। টাকা পয়সা জমিয়ে সবাই স্বাধীন ব্যবসায় নাম লেখায়। কার্তিক'কে কম মাইনে দেবার এটাও একটা কারণ। দোকান খুললেই তো হলো না। সেজন্য পুঁজি দরকার। সে'রকম পুঁজি হতে কার্তিকের ঢের দেরি। তপনের প্ল্যান যাই থাক, কার্তিকের স্বপ্ন দেখতে অসুবিধা কোথায়। রাতে চোখ বুজে কার্তিক, যে আশার জাল বুনে চলে তাই আবার ঘুরে আসে ঘুমের মধ্যে। ব্যবসা দাঁড় করিয়ে একটা বাড়ি ভাড়া নেবে। মা বাবাকে নিয়ে এসে রাখবে। আর তাঁদের কাজ করতে দেবে না। এমন শত শত সুখনিদ্রায় রাত পার করে সকালে উঠে তপনের দোকানে আবার সব্জি কুটতে গেছে কার্তিক। বেঞ্চ পরিষ্কার করেছে। বাসন মেজে খদ্দেরদের থালায় করে ভাত সাজিয়ে দিয়েছে


ঘূর্ণিঝড় আসবে, এ খবর কার্তিকও পেয়েছে। এবারে কিন্তু কার্তিকের মনে কোনও আতঙ্ক বাসা বাঁধল না। সে এখন নিরাপদ। অবিরাম ছুটে চলা এক শহর ওকে আশ্রয় দিয়েছে। যেখানে দিবারাত্র মানুষের হল্লা। গাড়ির শব্দ, ধুলো, ধোঁয়ায় মেশা দূষিত বাতাস মানুষের নিশ্বাসে প্রশ্বাসে। কিন্তু প্রকৃতির রোষ কী জিনিস, এ শহর জানে না।

ট্রেনের গমগম ভারি শব্দের মাদকতায় কার্তিকের এখন ভালোই ঘুম হয়। নদীর খলখল শব্দ, পাতাদের শন শন নিশিডাক ঢাকা পড়ে গেছে ব্যস্ত শহরের কোলাহলে। ভুল করেও কোনওদিন উন্মত্ত প্রকৃতির ছবি স্বপ্নে ফিরে আসে না, ওর ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে। শ্বাস ফেলে ভাবে কার্তিক, কলকাতায় আর যাই হোক, প্রাণ হাতে নিয়ে বসে থাকতে হয় না।

তবু, মন বড়ো উচাটন আজ। বাবা মায়ের পাশে এই দুর্যোগের দিনে না থেকে নিজের স্বার্থে পালিয়ে বেড়াচ্ছে সে ? নিজের আরামটুকু'ই সব ? নাহ্, আর ভাবতে পারছে না। দু'হাত দিয়ে মাথার চুল খামচে বসে রইল কার্তিক

ঝড় বৃষ্টির কিছুটা প্রভাব কলকাতাতেও পড়েছে। দোকান ভেসে বা উড়ে যাবার ভয় তপনের নেই। কোথায় কে মরল, কার ঘর ভাঙল, তা দিয়ে তপনের কী! প্রতি বছর মে জুন মাসের দিকে একটা করে বড়ো ঝড় আসেই। মন্দ লাগে না তপনের। সিদ্ধ হয়ে যাওয়া গরমটা তো কমেঘরে বাইরে আগুনের হলকায় হোটেল চালানো দুরুহ হয়ে ওঠে। তাই অতি গরমে ঝড় জল তপনের কাছে তৃষ্ণার শান্তি। ঠান্ডা ঠান্ডা আবহাওয়ায় আরাম করে শুয়েও আজ ঘুমোতে পারছে না তপন কিছুতেই। এমন তো হয় না কখনও। উঠে মুখে ঘাড়ে খানিকটা জল দিয়ে এল তপন। মা, স্ত্রী, দুই ছেলেমেয়ে অঘোরে ঘুমোচ্ছে। সেদিকে একবার দেখে নিয়ে খুব আসতে টিভি অন করল তপন। খবরের চ্যানেলগুলোতে দেখাচ্ছে বিধ্বস্ত সুন্দরবনের কদর্য রূপ। প্রকৃতি কীভাবে চাবুক চালিয়েছে ওই সমস্ত জায়গায়। যে মানুষগুলো  মহাপ্রলয়ের সঙ্গে পিঠে পিঠ দিয়ে যুঝে যাচ্ছে, এরা কি সবাই বিশু কার্তিকদের মা ? বাবা ? আর দেখতে চাইল না তপন। টিভি বন্ধ করে দিল।

মালিক কর্মচারী দু'জনেই অন্তর্দ্বন্দ্বের শিকার। কার্তিক জানে, দেশে একবার গেলে বাবা আর তাকে ফিরতে দেবে না। মনের মধ্যে গড়ে তোলা ভবিষ্যতের যাবতীয় পরিকল্পনা চুরমার হয়ে যাবে। তাই বলে এত বড়ো বিপর্যের সময় ....  কী করবে কার্তিক ? বলবে তপন কে ? ছুটি চাইবে ?

আর তপন ? সে কি সব বুঝেও মুখ ফিরিয়ে থাকবে ? না কি সকাল হলে কার্তিক'কে ডেকে বলবে, "তুই বাড়ি চলে যা কার্তিক। সঙ্গে এই টাকাগুলো রাখ।"

প্রতিটি মানুষের মধ্যে দুটো সত্ত্বা থাকে। একটি প্রকট  হলে অন্যটি আত্মগোপন করে। মানুষের জঙ্গলে লড়াই করে বেঁচে থাকা হাজারো তপন হাজারো কার্তিক তাই চরম বিপদেও সিদ্ধান্ত নিতে পারে না তাদের কোন সত্ত্বাটিকে পাথর চাপা দিয়ে কোনটিকে প্রকট করা উচিত




Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন