আমি যে অনেক অনেক দূর..
যেতে চেয়েছিলাম, যেতে চাই
অথচ ঠিক যে কতটা দূর —
আমি কিন্তু নিজেই জানি না।
কখনও 'আল' এর পথ সর্পিল
যতদূর দু'চোখ যায়..
দু'পাশে ধান্য সবুজের মেলা,
কিংবা কখনও সবুজ ছাপিয়ে
ঢেউ তোলে সর্ষের ফুল —
কাঁচা হলুদের— বসন্ত বেলা।
কখনও রাঙামাটি পথে..
দু'পাশে মহুয়ার গন্ধে স্নাত
মুগ্ধ পলাশের রক্তিম আবেগ,
কখনও বা ছায়া ছায়া পথে —
অর্জুন, পিয়াল, জারুলের ভীড়ে
ঝরে পড়া অফুরান শাল-পল্লব।
কখনও বা সোঁদাগন্ধী মেঠো পথ
নদীটির গ্রামীণ কুল ঘেঁষে..
চলে যায় এঁকে বেঁকে ,
দূর — আরও বহুদূর থেকে
মেঘের শীতল সজল গন্ধ
ভেসে আসে সাগরের ডাকে।
কখনও পাকদন্ডী - উর্ধমুখী
গা ছমছম পাহাড়ী খাদ ঘেঁষে
ছেয়ে থাকা রডোডেনড্রন ফুলে,
পাশে রেখে দেবদারু-পাইন —
আর হিম-হিম ঘন কুয়াশারা
হারিয়ে যায় স্তব্ধ অন্তহীন নীলে।
কখনও বা দিশেহারা সেই পথে
ঘুরে - ফিরে কাজুবন, মিলে যায়
সৈকতে – ঝাউ বীথি তলে ,
উদ্বেল তরঙ্গ আর উত্তাল..
হাওয়ার মিছিল, সাঙ্গ হয় —
কুলহারা — অথৈ-অতলে।
হাজার বছর ধ'রে..
দূর - দূর..বহুদূর হেঁটে,
জানা আর হ'লো কই—অজানা
পথের - সেই শেষের ঠিকানা?
কত পথ যেতে হবে আরও
আমি যে তা নিজেও জানি না।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন