বর্ণনা করো দেহসৌষ্ঠব আমার-
শৈল্পিক ভাব ফুটে ওঠে নাকি তাতে ,
আহা! আহা! করে বিস্মিত হয় বিশ্ব-
খ্যাতির চূড়া ধরা দেয় এক রাতে।
বুক, পিঠ, পেট, উরু, নিতম্ব, ওষ্ঠ,
নিখুঁতভাবে ফুটে ওঠে সেই শিল্পে;
সত্তা তোমার উচ্চতা লাভ করবেই!
যুগ যুগ ধরে সৃষ্টির প্রকল্পে।
এরকমই তো হওয়ার কথা তাই না?
এটাই সঠিক, বিরোধ করলে সে ভুল;
তুমিই আবার এক আঙ্গিকে ভাববে-
"দেবীর হাতে মানায় কেবল ত্রিশূল ।"
এই কারণেই বর্ণনাতীত মানবী-
'চোখের আরাম' হয়ে যায় এক নিমেষে!
"অমুকের সে তমুক" বলতে দ্বিধা নেই,
পরিচয় তার এর বেশি কি যায় আসে?
হয়তো বা আজ পরিচিতি দিয়ে ফেললেই-
পরমুহূর্তে শৈল্পিক সেই সত্তা,
গুলিয়ে করছে মাথার ভিতর তোলপাড়?
তবে ভুলে যাও তার পরিচয় অগত্যা।
এইভাবেই তো অভ্যস্ত আমরা!
বাহবা দিতে নিজেরাও থাকি মগ্ন,
স্ত্রী অধিকারের ভাষণ দেয় যে বক্তা-
তার মনেই কি হয়ে আছি চির নগ্ন?!
ভাবো সমাজ, ভাবতে শেখো এইবার,
চুড়ি এখন উভলিঙ্গের সজ্জা;
আমার একার ভূষণ কিন্তু নয় সে-
মানবজাতির সভ্যতা হলো লজ্জা।
তাই এবার আমরা যুক্তিতর্ক উড়িয়ে-
যদি তোমাদেরই নিয়ে প্রকাশ্যে রচি শিল্প?
আগুন তখন সামাল দিতে পারবে?!
দগ্ধ হওয়ার খুঁজে নিও বিকল্প।।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন