অব্ধিজার সামনেই তার অনেক সাধের খুঁজে এনে যত্ন করে রাখা সৌখিন কাচের মূর্তিটা মাটিতে পড়ে ঝন ঝন শব্দে ভেঙে গেল। ও শুধু বসে দেখল চুপ করে। একটুও আর্তনাদ করল না। উঠে যাবার ব্যস্ততা দেখাল না। চমকেও উঠল না। শুধু স্থির হয়ে বসে রইল। বসে বসে দেখল, ওর সামনে ওর সযত্নে রাখা শখের মূর্তিটা কেমন করে মাটিতে পড়ল, আওয়াজ তুলল ঝন ঝননন্ –। কাচগুলো, যেগুলো একটু আগেই একসঙ্গে জুড়ে থেকে একটা সুন্দর মূর্তির অবয়ব দিয়েছিল, যাকে দেখে প্রতিটা অতিথি তারিফ করত, তারিফ করত ওর পছন্দের, তারিফ করত ওর শিল্পবোধের, তা এক মুহুর্তের মধ্যে শুধু কিছু খণ্ড খণ্ড কাচের টুকরোয় পরিণত হল। যাকে আর কোন মতেই জোড়া লাগানো যাবে না বা জুড়ে আগের মত সুন্দর শিল্পসৃষ্টিকে ফেরত আনা যাবে না। মূর্তিটি ছিল এক যুগলের রোমাণ্টিক এক বন্ধনের মুহুর্তের স্তব্ধীকৃত অবস্থা।
না। কোনও তলই খুঁজে পাচ্ছে না ভাবনার। সেগুলো গভীর জলে পড়ে যাওয়া পাথরের মত নেমেও চলেছে অতল গভীরতার দিকে।
একটু আগেই ওর কাছে একটা ফোন এসেছে।
অণুগল্প হিসেবে সুন্দর হয়েছে...তবে মাটিতে পড়ে ভেঙে গেল এটা একটু কেমন লেগেছে, মেঝেতে পড়ে ভেঙে গেল লেখা হলে বোধ হয় আরও বেশি ঠিকঠাক হত।
উত্তরমুছুনআপনার মতামত আমাদের কাছে মূল্যবান। ধন্যবাদ
মুছুনএকটি মন্তব্য পোস্ট করুন