কাল রাত থেকে মেজাজ ভালো নেই ওর। অভাবের সংসারে একমাত্র শান্তির জায়গা বিল্লু ওস্তাদের দেশি মালের ঠেক। সেখানেই মাঝে মাঝে যায় সে। কাল বোধহয় একটু বেশিই ঢেলেছিল গলায়। মাঝরাতে বাড়ি ফিরতেই ফুরফুরে মেজাজটা নিমেষে তেতো হয়ে গিয়েছিল লক্ষ্মীর চিৎকার আর কান্নাকাটির জেরে। মেজাজ ঠিক রাখতে না পেরে সেও দিয়েছিল কয়েক ঘা। এগুলো তো নিত্যদিনের অশান্তি। তবে তার নেশাগ্রস্ত চোখেও যেটা খারাপ লেগেছিল সেটা হল তার পাঁচ বছরের মেয়ে আশার ভয়গ্রস্ত চোখে দুয়ার ধরে দাঁড়িয়ে থাকা। সেটাই ভাবছিল ও এখন।
চমক ভেঙে
হরেন দেখে যে গোপাল জেলে ওর দিকে তাকিয়ে আছে।
- বেরুব নি তো সাত সক্কালবেলা
করতিসিটা কী ? ব্যাটাচ্ছেলে
মুন্নাটা এলিই ভাসি পড়ব অনে । তা তুমার মাইয়ার কুনও খপর পেলে ?
- কই আর পেলুম ? কার হাত ধরি যে মাইয়াটা বেইরে
গেল কে জানে ? থানায় গেলি
কুনও পাত্তাই দেয় নাকো। দোষটা আমারই বুইলি । মালের নেশা সব্বনেশে । রোজ রোজ সংসারে
ঝামেলাই মাইয়াটারে আর ঘরে থাকতি দিলে নে। ওই তোর মুন্না এয়ে গেছে। পরে কতা হবে রে।
হরেন বিড়িটা
ধরানোর জন্য কোঁচড় থেকে দেশলাইটা বার করছিল। তার হাত থেকে বাক্সটা মাটিতে পড়ে গেল।
বাতাসে কী একটা বাজে গন্ধ পাচ্ছে ও ?
দারুণ একটা লেখা...
উত্তরমুছুনধন্যবাদ
মুছুনএকটি মন্তব্য পোস্ট করুন