।।এক।।
কলা বাড়িয়ার মাঠে মজিতের একখানা ভুঁই আছে। ভুঁইখানা এক
বিঘা। ভুঁইখানা চষতে মজিত বড়্বিহানে মাঠে লাঙল নিয়ে এসেছে। সঙ্গে তার ছোট ভাই
কালামও আছে। দুই ভাই দু-খানা লাঙল নিয়ে এসেছে। কারণ, তাদের ভুঁইখানা চষে ডিহিতে
কাবাতুল্লা হাজির ভুঁইখানা চষতে হবে। কাবাতুল্লা হাজি কাল বিকেলে বাড়ি বয়ে এসে বলে
গেছে। মজিত তাই কালামকেও ডেকে নিয়ে এসেছে। দুই ভাই দু-খানা লাঙলে ভুঁই চষলে
তাড়াতাড়ি চষা হয়ে যাবে। জোহুরের আযানের আগে তাহলে তারা বাড়ি চলে আসতে পারবে। খুব
বেশি খাটনি হবে না। না হলে তার একার দিনমান লেগে যাবে। খাটনিও কম হবে না।
দুই ভাই ভুঁই চষতে শুরু করে। দুই ভাইয়েরই
বলদ দুটো ভালো। বুগদা। এক বছর হল দুই ভাই বেলডাঙার হাট থেকে কিনে এনেছে। ডিসিএম
ভাড়া করে। এক লাখ দশ হাজার টাকা জোড়া পড়েছে। দু'জোড়ায় দু'লাখ বিশ হাজার টাকা।
তাছাড়া পলি মাটি। ভুঁইয়ে মসুরি বোনা ছিল। ফলে ভুঁই চষতে তাদের ভালোই লাগে। মুঠি
ধরে বেশি চাপ না দিতেই লাঙলের ফলা মাটির ভিতর ঢুকে চলে গিয়ে ঘাসের জড় পড় সব উপড়ে
তুলে আনে। এঁটেল মাটি হলে চষতে যতটা সময় আর খাটনি হয় তার চাইতে অনেক কম সময় আর কম
খাটনিতে তাদের ভুঁই চষা হয়।
।। দুই।।
কাবাতুল্লা হাজির ভুঁই চষতে তারা এবার
ডিহিতে চলে আসে। এসে মাটিতে মজিত লোড়ির গুঁতা মেরে মাটি নরম হবে না কড়া হবে সেটা
পরখ করে দেখে নিয়ে ছোট ভাই কালামকে বলে- ভয় নাই রে কালাম, যেড্যা ভেবেচিনু সেড্যা লয়; মাটি লরম হবে। ভুঁই চষতে
ভালো লাগবে। চষতে শুরু কর।
দুই ভাই ভুঁই চষতে শুরু করে। দুই ভাইয়েরই
হাতে লোড়ি। গরু খলামি করলে পিঠে মারবে সাট। আগে কালাম। পিছে মজিত। দুই ভাই ভুঁই
চষতে চষতে কিছুটা চষা হতে কালাম বলে- ভাই, এ ঠাঁই খ্যান দেখ্যা আসো।
মজিত শুধায় - ক্যানে দেখ্যা আসবো?
কালাম বলে - এখেনে কী একটা জিনিস পুঁতা
আছে। মুনে হয়, গাছের জড় টড় হবে। গাছের জড় টড় ছাড়া এখেনে কী হবে? এখেনে কি আগে কুনু ঘরবাড়ি ছিল?
- ক্যানে, তোর নাঙল বাধ্যা গেলছিল
নাকি!
- হ্যাঁ। আর এ্যাকচিন হলে ফাল ভাঙ্গ্যা
যাতোক। ভাগ্য ভালো যে, সাতে সাতে মুঠিডা ধরে- যাইহোক, তুমি সাবধানে আসো।
-ঠিকাছে।
সাবধানে আসলেও মজিতের লাঙলের ফলা জিনিসটার
গায় লেগে যায়। আর অমনি খনাক্ করে আওয়াজ হয়। কোনও কাঁসার জিনিসে আঘাত লাগলে যে রকম
আওয়াজ হয়। ফলে জিনিসটার সামান্য অংশ আলগা হয়ে যায় এবং জিনিসটা কী দেখতে পাওয়া যায়।
মজিত জিনিসটা দেখে চিনতে পেরে যায়। একটা কাঁসার বোগ্ন্যা। মজিত কালামকে কিছু না
বলে তাড়াতাড়ি মাটি টেনে জিনিসটা ঢেকে দেয়। কালাম এসবের কিছুই খেয়াল করে না। আপন
মনে সে ভুঁই চষে যায়।
চাষটা উঠে গেলে মজিত লাঙল ছেড়ে দেয়।
নিমগাছের তলায় গিয়ে দাঁড়িয়ে বলে- ভুঁই আর চষবো না রে কালাম, উঠে আয়।
-ক্যানে? কালাম শুধায়।
- রোদে, গরমে আজ আর ভুঁই চষতে
ভাল্লাগছে না। খুব তিষ্যা লাগ্যাছে। বাড়ি যাইয়্যা পানি খাত্যে হবে। চল, বাড়ি যাই।
-বাকি যেখ্যানডা থাকচে সেখ্যানডা কী হবে?
-কাল য্যাখুন ত্যাখুন আস্যা আমি চষ্যে দিব।
তোখে আসতে হবে না।
বড় ভাই যখন বলছে কালাম কী বলবে! সে-ও লাঙল
ছেড়ে দেয়।
।। তিন।।
বাড়ি এসে মজিত ছেলেদের সামনে বিষয়টা নিয়ে
আলোচনা করে। মজিতের দুই ছেলে। লাল্টু ও মন্টু। লাল্টু বড়। মন্টু ছোট। কিন্তু বিয়ে
কারুরই হয়নি। ছেলে দুটো জোয়ান। গায়ে গতরে আছে। কব্জিতে ভীষণ জোর। ফলে মজিত ঢের
রাতে ছেলেদের সঙ্গে করে বেরিয়ে পড়ে। সঙ্গে একখানা কোদাল ও বস্তা নেয়। কোদালখানা
নেয় জায়গাটা খুঁড়ে জিনিসটা তোলার জন্য। আর বস্তাটা নেয় জিনিসটা ভরে বাড়ি আনার জন্য।
কিন্তু রাস্তা ধরে তারা হাঁটে না। রাস্তা
ধরে হাঁটলে সোজা এবং কাছে হবে তা-ও। কারণ, রাস্তা ধরে হাঁটলে কারও
চোখে যদি তারা পড়ে যায়। বলা তো যায় না। আজকাল রাস্তার ধারে কত বাড়ি। সব ভিতরপাড়া
থেকে উঠে আসা। সব বাড়িতেই যে হাগা-মুতার জায়গা আছে তা-ও না। বেশিরভাগ বাড়ির মানুষই
রাস্তার ধারে হাগা-মুতা করে। সেসব বাড়িগুলো থেকে যদি কোনও মানুষ উঠে তাদের দেখে
ফেলে হাঁক পাড়ে- কে যায় এত রাতে!
তখন যে তাদের বলতেই হবে- আমরা যাই। না
হলে যে চোর চোর করে চিল্লিয়ে, ধরা পড়ে তখন লোকের হাতে
প্রচুর মার খেতে হবে। লোকের মার ভীষণ খারাপ। মারের কোনো হিসেব নেই। কেউ দেখে মারে
না। নাক, মুখ, চোখ যে যেখানে পারে সে সেখানে মারে। আবার কথা বললেও
অসুবিধা। বিষয়টা জানাজানি হয়ে যাওয়ার ভয়। এসব জিনিস যত গোপন থাকে ততই ভালো।
যেকারণে তারা মাঠ মাঠ হাঁটা দেয়। আকাশের গ্রহ-নক্ষত্র ছাড়া কেউ দেখে না। কিন্তু
ওরা তো মানুষ নয়। মানুষ হলে ভয় ছিল।
।। চার।।
ভুঁইয়ে এসে খুব নীচু গলায় ছেলেরা মজিতকে
শুধায় - কুন জাগায় জিনিসডা দেখ্যাচো সেই জাগাডা তুমার মুনে আছে?
মজিত বলে - মুনে থাকবে না ক্যানে!
- মুনে আছে তো জাগাডা আমাধের দ্যাখাও!
মজিত জায়গাটা দেখায় - এই দ্যাক, এই জাগাডা। এখেনে খুঁড়, পাবি।
লাল্টু বিসমিল্লাহ বলে যেই ঝেড়ে কোপ মারে
জিনিসটার খনাক্ করে আওয়াজ হয়।
মজিত তখন বলে - আস্তে কোব মার! রাতের শব্দ
বাজে বেশি।
লাল্টু আস্তে কোপ মারে এবং কয়েক কোপ
মারতেই জিনিসটা বেরিয়ে পড়ে। বিয়েবাড়িতে আগে যে রকম তসলায় মাংস রান্না হতো ওইরকম
একটা তসলা। ঢাকনা দিয়ে মুখ ঢাকা এবং ঢাকনাটা আঠা দিয়ে লাগানো। ভিতরে কী আছে বাড়ি
নিয়ে এসে দেখবে। খোঁড়া জায়গাটা এরপর তারা বুজিয়ে দেয়। সকাল বেলায় মাঠে এসে কোনো
লোক যাতে বুঝতে না পারে, এখানে একটা তসলা পোঁতা ছিল।
।। পাঁচ।।
যেমন দিয়ে তারা ভুঁইয়ে এসেছিল তেমন দিয়ে
বাড়ি চলে আসে। এবারও আকাশের গ্রহ-নক্ষত্র ছাড়া কেউ দেখে না। বাড়ি এসে খুব সন্তর্পণে তারা জিনিসটা মাথা
থেকে নামায়। উসরায় না, ঘরের ভিতর। যাতে পাশের বাড়ির কোনো লোক দেখতে না পায়। আবার
যাতে নামাতে গিয়ে মাথা থেকে পড়ে না যায়। তাহলে খুব জোরে শব্দ হবে। সেই শব্দে পাশের
বাড়ির লোকদের ঘুম ভেঙে যাবে এবং 'কী হলো গো' বলে দেখতে চলে আসবে। তখনই সব জানাজানি হয়ে যাবে।
মাথা থেকে জিনিসটা নামানোর পর হ্যারিকেনের
দমটা একটু উসকে দিয়ে তারা দেখে, জিনিসটা একটা কাঁসার তসলা।
হেঁসোর নুকনা দিয়ে মুখের ঢাকনাটা খুলে ফেলে। ভিতরে প্রচুর কাঁচা টাকা আর সোনার
গহনা। সব ওপরে একটা পাথর। পাথরটা দেখতে পেপার ওয়েটের মতো। রং হালকা নীল। পাথরটা
থেকে আলো বের হয়। আলো দেখে তিন বাপুত আশ্চর্য হয়। এ কী! পাথোর থিক্যা আলো! এ রকম
পাথোর তারা জীবনে কুনুদিন চোখে দ্যাখে নি। এর নিচ্চয়ই কুনু মাহিত আছে। কী সেই
মাহিত?
সকালবেলায় মজিত আকবর বিশ্বাসের বাড়ি
যায় - চাচা, বাড়ি আচেন নাকি!
আকবর বিশ্বাস গাঁয়ের মোড়ল এবং প্রভাবশালী
ব্যক্তি। মজিতের ডাক শুনে তিনি বেরিয়ে আসেন - কী হল, বল।
মজিত বরোন্দ থেকে পাথরটা বের করে
দেখায় - চাচা, এড্যা কী জিনিস দ্যাখেন তো!
আকবর বিশ্বাস নেড়েচেড়ে দেখে বলেন - এটা তো
একটা পাথর।
-কী পাথর?
-তা তো আমি বলতে পারব না। তবে কী পাথর যদি
জানতেই হয় ইসলামপুরে চলে যা।
-কার কাছে?
-মোহনলালের কাছে। মোহনলাল মাড়োয়ারি মানুষ।
ওরা দেখলে চিনতে পারবে এবং নাম বলতে পারবে। ইসলামপুরে ওর আড়ত আছে। আড়তে বসে লরি
লরি পাট কিনে আর বাইরে চালান দেয়। আসল বাড়ি রাজস্থান। এখানে পাটের ব্যবসা করতে
এসেছে।
মজিত সেদিনই আড়তে চলে যায়। পাড়ার মসজিদ
থেকে আসরের নামাজ পড়ে যখন লোক বের হয়। গিয়ে দেখে, আড়তে বেশ লোক। এত লোকের
সামনে কি কোনও গোপনীয় কথা বলা যায়? মজিত তাই চুপটি করে আড়তের
বেঞ্চে বসে থাকে। সব লোক চলে যাওয়ার অপেক্ষা করে। কাউকে কোনো কথা বলে না। মোহনলালও
তাকে কিছু শুধায় না। পাটের হিসাব আর দালালদের টাকা মিটাতে ব্যস্ত থাকে। তার দিকে
তাকানোর সময় নেই। হিসাব শেষে যখন আর একটাও দালাল থাকে না সন্ধ্যাবেলায় মোহনলাল তখন
মজিতকে জিজ্ঞেস করে-তোমার কী খবর?।
মোহনলাল রাজস্থানি হলেও বাংলা মুলুকে থেকে
বাংলা ভাষাটা শিখেছে।
মজিত বলে - আপনার সাতে আমার কিছু কথা ছিল, বাবু।
-কী কথা, বলো।
মজিত অমনি বরোন্দ থেকে পাথরটা বের করে
দেখায় - এড্যা দ্যাখেন তো বাবু, কী জিনিস!
মোহনলাল দেখে জিজ্ঞেস করে - এটা কি তুমি
বেচবে? না শুধু দেখাতে এসেছ? বেচলে দাম বলো, আমি নেব।
মজিত বলে - আমি এ্যাক দাম লিব। এ্যাক দামে
আপনি যিতি লিতে রাজি থাকেন তাহিলে দাম বুলব। নচেৎ বুলবো না। ঘুরে বাড়ি লিয়ে চলে যাবো।
-ঠিক আছে, তোমার এক দাম বলো!
মজিত বলে - আমার এ্যাক দাম আঠারো হাজার
টাকা। আঠারো হাজার টাকার এ্যাক টাকা কম বুললে বেচবো না। কারণ, আমি মাঠে ভুঁই কিনছি। আঠারো হাজার টাকা কম পড়েছে। তাই, আঠারো হাজার টাকাই আমি লিব। লিলে টাকা দেন!.
মোহনলাল ফিক করে হেসে তখন আঠারো হাজার
টাকাই গুনে দেয় - এই নাও, আঠারো হাজার টাকা!
মজিত টাকা নিয়ে বাড়ি চলে আসে। আহা! কী
আনন্দ! কী আনন্দ!
।। ছয়।।
বাড়ি এসে মজিত রাতে শুয়ে ঘুমায়। টাকাগুলো
বালিশের তলায় রেখে। ঘুমাতে ঘুমাতে অনেক রাতের দিকে ঘুমের মধ্যে সে শুনতে
পায় - হ্যাঁ রে, পাওয়া ধন হারিয়ে দিলি! মাত্র আঠারো হাজার টাকায় জিনিসটা
বিক্রি করে দিলি! তোর মতো বোকা কেউ আছে? ওটা ধুয়ে যে পানিটা বের হবে
ওটার দামই আঠারো হাজার টাকা। আর তুই গোটা জিনিসটা আঠারো হাজার টাকায় বিক্রি করে
দিলি! এ তুই কী করলি রে, এ তুই কী করলি! ও জিনিস তুই আর পাবি না। যাকে দিয়ে এলি সে
নিয়ে উধাও। জিনিসটা তোর কাছে থাকলে তুই একটা বিরাট ধনী হয়ে যেতিস। তোকে ছোঁয়ার মতো
তোর গ্রামে কোনো লোক থাকত না। শুধু তোর গ্রামে কেন, আশপাশের কয়েকখানা গ্রামে
কেউ থাকত না। যাইহোক, তোর কাছে এখনও যা আছে সেগুলো বেচলেও তুই কোটিপতি। তবে তুই
সেগুলো একাই ভোগ করবি না। তিনভাগে ভাগ করবি। করে এক ভাগ দান করবি। এক ভাগ লোককে
খাইয়ে দিবি। আর এক ভাগ তোর নিজের জন্য রাখবি। ওই এক ভাগ নিয়েই তুই অনেক বড়লোক হতে
পারবি। দেখিস, এর ব্যতিক্রম না হয়। তারপরই মজিতের ঘুম ভেঙে যায়। হাত, পা ছুঁড়ে পাগলের মতো সে তখন শুধু ধাপড়ায় - হায়! আমি কী ভুল করনু! কী ভুল করনু!
।। সাত।।
এরপর মাসখানেক কেটে যায়। কিন্তু মজিত
জিনিসগুলো তিন ভাগ করে না। কে তিন ভাগ করতে যাবে? সবটাই সে নিজে ভোগ করবে।
ঘরের মেঝে খুঁড়ে জিনিসগুলো সব পুঁতে থোয়। তারপর বছরখানেক বাদে একদিন সে মেঝে খুঁড়ে
জিনিস গুলো তুলতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। আরেকখানা সে ভুঁই কিনবে। যে ভুঁইখানা আগে
কিনেছে তার পাশে। তিন ফসলি। ভালো ভুঁই। যার জন্য সে জিনিসগুলো তুলে বেচতে চায়।
কিন্তু সে ইচ্ছা তার পূরণ হয় না। জায়গাটায় কোদালের যেই কোপ মারে অমনি সে - আমার
বুক গেল, আমার প্যাট গেল ... করতে করতে ওখানে পড়ে যায় এবং মুখ দিয়ে
অনবরত রক্ত তুলতে থাকে। তা দেখে ছেলেরা খুব ভয় পেয়ে কাউকে কিছু না জানিয়ে
হাসপাতালে নিয়ে যায়।
হাসপাতালের ডিউটি রত ডাক্তার মনোরঞ্জন
সামন্ত তখন রোগী দেখে বলেন - অ্যাপেন্ডিক্স ফেটে গেছে। এক্ষুনি অপারেশন করতে হবে। বলা মাত্র তিনি রোগীকে ও.টি.তে নিয়ে গিয়ে অপারেশন শুরু করে দেন। কিন্তু অপারেশন সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই
রোগী মারা যায়। স্বামীর মতো একদিন রহিমা বিবিও। বাপ-মায়ের মতো একদিন লাল্টুও। তবে
লাল্টুর চলে যাওয়াটা বাপ-মায়ের মতো মুখ দিয়ে রক্ত তুলতে তুলতে নয়। অন্যরকম ভাবে।
প্রথমে সে জায়গাটা খুঁড়তে শুরু করে। জিনিসগুলো তখন নীচের দিকে নামতে শুরু করে। যত
খুঁড়ে তত নামে। যত খুঁড়ে তত নামে। তবু লাল্টু খোঁড়া বন্ধ করে না। সে বলে - পাতালে
গ্যালেও পাতাল থিক্যা তুলে আনবো। কতো নীচে নামতে পারিস নাম না! তারপর আমি দেকছি।
লাল্টুর জেদ ধরে যায়। জেদের বশে সে হুক হুক করে খুঁড়ে যায়। খুঁড়তে খুঁড়তে মাথার
ওপর খোঁড়া হলে দুই দিকের মাটি এসে ঢেকে যায়। মন্টু এসব দেখে সাহস করে আর ও ঘরে কোনও দিন ঢোকেনি। ঘরটা এখন তালাবন্ধ।
আরও ভালো হতে পারতো গল্পটা...বিষয়টা বেশ ভালো ছিলো...
উত্তরমুছুনএকটি মন্তব্য পোস্ট করুন