দীঘায় সমুদ্রের ঢেউ দেখতে দেখতে বেশ অনেকটা সময় কাটলো। মন খারাপের কটা দিন একাই কাটাছে, ফোনটাও বন্ধ রেখেছি। চাইছি না কেউ আমার খোঁজ নিক। জলের উথাল পাথাল ঢেউ গুলো পাড়ে এসে ভাঙছে আবার ফিরে যাচ্ছে। সেদিকে তাকিয়ে বালি নিয়ে খেলতে খেলতে বেশ কাটলো দুপুরটা । মন টা তখনও জলের মতোই অশান্ত। আমিও ভাবছি এবার হোটেলে ফিরবো। অনেক ক্ষণ থেকে দেখছি বেলুন নিয়ে একটা বাচ্চা বসে আছে। আর কোনো মানুষ ওর পাশ দিয়ে যেতে দেখলেই বায়না করছে। বেলুন কিনতে বলছে।
এদিকে সন্ধ্যা নামছে। সমুদ্রের রঙ সোনালী হয়ে রয়েছে, আস্তে আস্তে সূর্য জলের তলায় তলিয়ে যাচ্ছে। আমিও উঠলাম। বালিতে বসে সারা গায়ে বালি লেগে গেছে, ঝাড়তে ঝাড়তেই রাস্তায় উঠে এলাম। ততক্ষণে বাচ্চা টা আমার কাছে এগিয়ে এসেছে বললো, বেলুন নাওনা গো, আমি বল্লাম কি করবো বেলুন নিয়ে, ও বললো বাচ্চা কে দিও, আমি বল্লাম বাচ্চা তো বড় হয়ে গেছে। একটু ভেবে বললো নাও না গো একটা বেলুন, না হলে আজও খেতে পাবো না, সকাল থেকে বসে আছি একটা মাত্র বিক্রি হয়েছে। মুখটা নিচু করে নিলো। আমি ওর গালে হাত দিয়ে আদর করে বল্লাম আয় আমার সাথে, হাত ধরে নিয়ে এলাম একটা কেক পেস্ট্রির দোকানে , পেট ভরে খাইয়ে হাতে কিছু টাকা আর খাবার দিয়ে বল্লাম বাড়ি যা, ও আমার হাতে সব বেলুন গুলো দিয়ে বলল নাও, না হলে মা মারবে বলবে চুরি করেছি আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে কিছু বলবো তার আগেই দেখলাম ও ছুট লাগালো। বেলুন গুলো কে ছেড়ে দিলাম আকাশে।
খুব সুন্দর
উত্তরমুছুনধন্যবাদ
মুছুনএকটি মন্তব্য পোস্ট করুন