আকাশের দিকে চোখ তুলতেই চমকে গেল পল্লবী। সদর দরজার পাশে লাল বেদি দিয়ে ঘেরা কৃষ্ণচূড়া গাছটা। কিন্তু এরকম হাড়গিলে দশা কেন! বৈশাখ পড়তে চলল, অথচ ফুল? গেল কোথায় সব? এবাড়িতে বউ হয়ে ঢোকার পর থেকে আজ পর্যন্ত এরকম ফুলহীন আকাশ কখনো দেখতে হয়নি তাকে। শ্বশুরবাড়ির এজমালি সম্পত্তি গাছটা এখন প্রায় বারোয়ারি হওয়ার জোগাড়। তাতে ফুলের কি? সাঁইত্রিশ বছর গাছটাকে দেখে আসছে পল্লবী। বসন্ত ফুরবার আগেই গাছে কুঁড়ি চলে আসে। রোদের তেজ বাড়তে না বাড়তেই গোটা গাছটা লালে লাল হয়ে নীল আকাশে লালিমা ছড়িয়ে দেয়। আকাশের সঙ্গে বাড়িটাও চিত্রময় হয়ে ওঠে।
বৈশাখেই বিয়ে হয়েছিল পল্লবীর। লাল হয়ে রাস্তা দিয়ে তরুবরের সঙ্গে পায়ে হেঁটে
শ্বশুরবাড়ি ঢুকেছিল সে। কয়েকদিন পর এক চুপচাপ দুপুরবেলায় তরুবর আচমকা পল্লবীর
খোঁপায় একটা কৃষ্ণচূড়া গুঁজে দিয়ে বলেছিল, “তুমিই আমার চূড়া!”
“যাহ্! বড়রা কি দেখলে কী বলবেন?”
কৃষ্ণচূড়ার মতন লাল হয়ে গিয়েছিল পল্লবীর সারা শরীর। একটা ভালোলাগা শিরশিরিয়ে
উঠেছিল। চার-পাঁচটা পাপড়ি ঘোমটা মাথায় বৃন্তের সঙ্গে লেগে থাকে সবসময়। শত ঝড়
ঝঞ্ঝাতেও বৃন্তচ্যুত হয় না। আকাশের সমস্ত তেজকে দমিয়ে দিয়ে পৃথিবীকে রাঙিয়ে রাখে।
সেই শুরু। খোঁপায় কৃষ্ণচূড়ার বাহার একদিনের জন্যও বন্ধ হয় নি। প্রতি বিকেলে গা
ধোয়ার পর জামদানী বা মটকায় নিজেকে মুড়ে, কৃষ্ণচূড়ায় রাঙিয়ে চায়ের কাপটি নিয়ে লাল বেদির ওপর
বসে পাড়া পড়শির খবর নেওয়া পল্লবীর দীর্ঘদিনের অভ্যেস।
“কিরে শিমুল!তোর মেয়ে কি পড়াশুনা
ছেড়ে দিয়েছে?শুনলাম এবার অঙ্কে ফেল করেছে। ও
তো আমার কিঞ্জলের বয়সি।”
“হ্যাঁ বড়মা! তবে ফেল ও করেনি? ওর এবার নাইন হল।”
“আমার কিঞ্জল এবার মাধ্যমিকে
স্টার পেয়েছে। এরপর জয়েন্ট দেবে।”
“তুমি রত্নগর্ভা বড়মা। শেকড়
দেখতে হবে তো।”
শিমুলের পর পলাশ আসে।
“হ্যাঁরে পলাশ, তোর ছেলের কাজের কি হল?”
“কই আর হচ্ছে বড়মা? তবে চেষ্টা করছে।”
“আমার নবাঙ্কুর এমবিএতে টপ করেছে। ফাস্ট
হয়েছে রে। ফাস্ট। বড় বড় কোম্পানি ওকে ধরে টানাটানি করছে। লাখের ওপর সব মাইনে। ওদিকে
মউল বলে দিয়েছে ভাই, জয়েন করলে ভাল কোম্পানিতেই
করবি। মেয়ে জামাই আমার দুই ছেলেকে আগলে রাখে একেবারে।”
“ঘর দেখতে হবে বড়মা। কত ভাগ্য
তোমার। এই মুকিতে কি আগাছা জন্মাবে? অমৃত ফলই ফলবে মা। একি আমাদের মতন নাকি! যাও বা হচ্ছে,তাও আবার সব ভুশুরি।”
কৃষ্ণচূড়ার আগুনে শিমুল পলাশের মুখ পুড়ে যায়। পালিয়ে বাঁচে তারা।
এখন পল্লবীর বয়স বেড়েছে। সাজের ঘটা কমেছে তার। তবু কৃষ্ণচূড়া কমেনি। সকাল থেকে
বিকেল সূর্যের আলোতে ফুলগুলো সব তেলচকচকে করে। শিমুল পলাশ এখনো আসে। পল্লবীর চোখে
চোখ রাখে। সুন্দরী আসে। “ভালো আছো বড়মা”- বলে বাড়ির ভেতর ঢুকে যায়।
সুন্দরী এবাড়ির দীর্ঘদিনের কাজের লোক। সুন্দরীর এখন অনেক চাপ। বেশি কথা বলার সময়
নেই ওর। পল্লবী চায়ে চুমুক দেয়। চায়ের কাপের গরম তেজ চোখমুখ কে আরো ধারালো করে
তোলে। অপেক্ষা করে সে। কখন কৃষ্ণচূড়া বাতাসে দোল খাবে। পল্লবীর সারা শরীরে খুনসুটি
করবে। নিত্যদিনের ব্যাপার। খোঁপায় কৃষ্ণচূড়া ছাড়া পল্লবীকে এখনো কেউ দেখেনি।
কিন্তু এবার কি যে হল! পাতা আছে। পাখি আছে। আলো আছে। কৃষ্ণচূড়া নেই। আনমনা হয়
পল্লবী। তরুবরের পায়ের আওয়াজ শুনতে পায় না। কাপের চা জুড়িয়ে যায়। আলো কমে আসে।
সেদিনও কৃষ্ণচূড়া ফুটেছিল। বেদিটার ওপর শুয়ে লাল হয়ে যাওয়া গাছটার ফাঁকেফাঁকে
আকাশ দেখছিল পল্লবী। আকাশ থেকে লাল ফোঁটাগুলো পল্লবীর সারা শরীরকে
ভালবাসায় বুলিয়ে দিচ্ছিল। আচমকা নজর গেল মেয়েটার দিকে। মৌরি। সুন্দরীর মেয়ে। একরত্তি
একটা। সারাদিন পল্লবীর চারপাশে ঘুরঘুর করে। রাগে রি রি করে তার। সেই মেয়েটা। কি
করছে বেদীর ওপর? শিউরে উঠল পল্লবী। মাকড়সার
জালের মতন বেদিটার সারা শরীরে ফাটল ধরেছে। মৌরি সেই ফাটল থেকে একটা একটা করে
কৃষ্ণচূড়া কুড়িয়ে কোঁচর ভর্তি করছে। অনেক। রাশি রাশি। ঐটুকু
কোল লালে লাল হয়ে উঠেছে।
“অ্যাই!কি করছিস তুই?ফুল কি করবি?”
“বা রে! ফুল দিয়ে মানুষ কি করে?তুমি জান না বুঝি?”
মেয়েটার ঔদ্ধত্য দেখে অবাক হয় পল্লবী।
“কি করে শুনি?”
“সাজাবো।”
“কাকে সাজাবি?”
“নিজেকে! মালা করব। পরব। মাথায়
গুঁজবো। ময়ূরের পেখমের মতন।”
কি আস্পর্ধা মেয়েটার! স্তম্ভিত হয় পল্লবী।
“বা রে! তুমি খোঁপায় পরেছ। তোমাকে কি
সুন্দর লাগছে। আমিও পরব। আমাকেও ভালো লাগবে।”
“না। তোকে ভালো লাগবে না। ও ফুল
আমার। দে। দিয়ে দে বলছি?”
আজ পর্যন্ত কৃষ্ণচূড়ার অধিকার কেউ দাবী করেনি। অথচ ওইটুকু একটা মেয়ে! ও এসেছে ফুলের
ভাগ নিতে!
“না না বড়মা। এই ফুল আমার। কাউকে
দেব না।”
রুখে দাড়ালো মৌরি।
ছুটে এল অনেকে। কিঞ্জল,নবাঙ্কুর,তমালিকা,সপ্তপর্ণা,সুন্দরি - সবাই এলো।
“কি হচ্ছে মা? ছেলেমানুষি করছ কেন?”
“কি করবে বলো। তোমার মায়ের প্রথম
প্রেম তো ঐ কৃষ্ণচূড়া। অন্য কেউ তো ওনার মনই পায় না।”
“বুড়ো বয়সে ভীমরতি আর কি।”
“তুমিই হচ্ছ যত নষ্টের গোঁড়া।”
কিঞ্জলের বিরক্তি,তমালিকা,সপ্তপর্ণার টিপ্পনি,তরুবরের নীরবতা-সবকিছুকেই
স্তব্ধ করে দেয় নবাঙ্কুর।
“তুমিই হচ্ছ যত নষ্টের গোঁড়া।”
হুঁশ ফেরে পল্লবীর। গাছের গোঁড়ার ফাটলগুলো বেশ চওড়া। পিঁপড়ের দল গাছটাকে
কুরেকুরে খাচ্ছে। সন্ধ্যে নেমে গেছে অনেকক্ষণ। ফুলহীন গাছটা কালো ঝোপের মতন হয়ে
আছে। গোঁড়ার ফাটলগুলো বেদি থেকে নেমে বাড়ির ভেতর ঢুকে পড়েছে। বাড়ির অলিন্দটাকে
দুটো বুকের খাঁচা তৈরি করে দিয়েছে। শুধু মেরুদণ্ডের জায়গায় একরাশ খনিজ অন্ধকার,নেমে গেছে অনেক গভীরে। বাস্তুসাপটাও
সেই গভীরতায় কোথায় যেন হাড়িয়ে গেছে।ফনা তুলে তাকাতেই চায়না। তবুও তো কৃষ্ণচূড়া
ছিল। এবার যে কি হল!
দরজায় একটা ছায়া পড়ল। সপ্তপর্ণা। কিঞ্জলের বউ। কাছে আসতেই শাড়ির রঙটা চিনতে
পারল পল্লবী। সপ্তপর্ণা বড়ই শান্ত,নিঃশব্দ। ওর অস্তিত্ব শরীর দিয়ে বোঝা যায়না। কিন্তু
আজ ওর পরনের শাড়িটা ওকে শাব্দিক করে তুলেছে। সারা শাড়ি শুধু লাল। লাল আর লাল। গাছটার
সমস্ত কৃষ্ণচূড়া শাড়িতে খসে পড়েছে।
“শাড়িটা তো বেশ। কিনলে?”
“কিনিনি তো! পেয়েছি।”
সপ্তপর্ণা প্রশ্নের মাপ অনুযায়ী উত্তর তৈরি করে। বেশ কয়েক বছর হল পল্লবীর কাছে
সপ্তপর্ণার কোনো প্রশ্ন নেই। আছে শুধু উত্তর। তাও মাপ মত।
“কে দিলো? কিঞ্জল?”
সপ্তপর্ণা শাশুড়ির দিকে তাকিয়ে আলতো হেঁসে ঘরে ঢুকে গেল। হাসিটাও তার হিসেবের
বাইরে নয়। সহজে খরচ করতে চায় না। তবে আজ যেটুকু খরচ করল তার
ছটায় পল্লবী বারান্দার ফাটলের অনেকটা গভীর দেখতে পেল। কিঞ্জল এখন অনেক কিছুই
লুকিয়ে রাখে মায়ের কাছ থেকে। নিজেকেও। পল্লবীও তো নিজেকে ছেলে বৌমাদের কাছ থেকে ভুলিয়ে
দুরপিয়াসী হতে পারে। তাতে হয়ত কাছে আসার তৃষ্ণাটা বাড়ত। কিন্তু সপ্তপর্ণার মাপা
হাসিটা মিলিয়ে যেতে পল্লবী শ্রান্ত হয়ে পড়ল। ভুলে থাকার সমস্ত শক্তি সে
হারিয়ে ফেলে। শরীর আর সাথ দেয় না। থাকার মধ্যে কৃষ্ণচূড়াটা-এতদিনকার মিতালি! সেও
তাকে ভুলে গেল? সপ্তপর্ণার শাড়িটা! মৌরি! এইভাবে রাঙিয়ে দিতে হয়?
পল্লবী ফাটলের কালো গহ্বরে উঁকি মারল। কিছুই কি দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না? পলকহীন টকটকে দুটো সম্মোহনী
চোখ! লকলকে সেই জিভটা-অমৃতলোভে যা দ্বিখণ্ডিত! এক ফোঁটা গরল যা গোটা পরিবার কে
আচ্ছন্ন করে ফেলবে!
নাহ! কেউ কোথাও নেই। এত অন্ধকার সহ্য করতে না পেরে কোথায় লুকিয়েছে,কে জানে!
নবাঙ্কুরের ঘর থেকে একটা ধাতব শব্দ এল কানে। প্রচণ্ড।গম্ভীর। পল্লবীর মন সচকিত
হয়ে ওঠে। তমালিকা যেন বন্যার জল। কমতেই চায় না। আবার সবকিছুকে ধুয়েমুছে পরিস্কার করে দেয়। পল্লবীর শরীরটা শক্ত হতে থাকে।
“শুয়ে পড়ো।”
তরুবর ঘুমোয়নি। ওর শরীরটাও কি পল্লবীর মতন শক্ত হয়ে উঠেছে। তরুবর পল্লবীকে আর
কৃষ্ণচূড়ায় সাজিয়ে দেয়না।
“ওরা যে…….”
“ওরা নতুন কিছু নাটক করছে না। ওরা
অতীতের ধারাবাহিকতাকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে।”
“তাই বলে প্রতিদিন ঝগড়া?”
“এর মধ্যেই ওরা আত্মবিনোদনের
উপায় খুঁজে পায়।”
“এত চিৎকার করে কি আনন্দ পায়?”
“হয়ত কর্মক্ষমতা কমে যাচ্ছে। একটু চিৎকার করে নিজেদের
উত্তেজিত করছে। যাতে কাল থেকে আবার পূর্ণ উদ্যমে কাজে লাগতে পারে।”
“বারণ করলে শুনবে না?”
“ওদের নৌকা এখন অন্য ঘাটে বাঁধা।
তুমি যেতে পারবে না। শুয়ে পড়ো।”
পল্লবী শুয়ে পড়ল। সেই লাল বেদি। ওপরে সেই কালো আকাশ। নিচে মাকড়সা জালের মত গাছটা। ফোঁটাফোঁটা কৃষ্ণচূড়া
ঝরে পড়ছে পল্লবীর ওপর। কৃষ্ণচূড়ার আলতো ছোঁয়ায় ভরে যাচ্ছে পল্লবীর সারা শরীর। সারা
মন। ভুলে যাচ্ছে সে সবকিছু। মাপা হাসি, চিৎকার,নবাঙ্কুর,কিঞ্জল-সবকিছু। সবকিছু ঢাকা পড়ে যাচ্ছে কৃষ্ণচূড়ার
তলায়।
কিন্তু ওটা কে?
ফুলে ঢাকা আর একটা শরীর। সমস্ত ফুল পুরোপুরি নিজের করে নিতে চাইছে। পল্লবীর
বুকের ভিতর কিছু একটা আটকে গেছে মনে হয়। ফুলে ঢাকা শরীরটা ধীরে ধীরে উঠে দাঁড়ালো। মুখ
থেকে ফুলের আস্তরণ সরে গেল।
মৌরী! আবার! সেই মেয়েটা! সুন্দরীর মেয়েটা। সুন্দরী বাড়ি বাড়ি কাজ করে। কৃষ্ণচূড়ায়
ঢাকা মেয়েটা চোখ মেলে তাকালো। এগিয়ে এলো। দুহাত বাড়িয়ে দিল পল্লবীর দিকে। হাত জুড়ে
শুধুই কৃষ্ণচূড়া।
“কৃষ্ণচূড়া নেবে বড়মা?”
ধড়মড়িয়ে উঠে বসল পল্লবী। বুকের ভেতর বড়ই উথাল পাথাল। ধড়াস ধড়াস শব্দ। উঠে বসে
তরুবরও। পল্লবীর মেঘের মতন গম্ভীর রূপ তার বড় চেনা।
“কি হল তোমার? সবাই তো এখন নীরবে। তোমার চোখে
শান্তি নেই কেন?”
“বনমালী কে খবর পাঠাও।”
পল্লবী এখন স্থির,অচঞ্চল। কাউকে সে জানতে দেবেনা।
কাউকে না। গাছটার কথা। ফুলের কথা। ফুলে ঢাকা মেয়েটার কথা। পল্লবী গাছটার দিকে ভাল
করে চাইল। সকালের আলো এসে পড়েছে গাছটার গায়ে। বড় শূন্য। সারিসারি পিঁপড়েগুলো গাছটার
গায়ে খেলা করে বেড়াচ্ছে। পল্লবী প্রাণপণে খোঁজার চেষ্টা করল।
শুধু একটা কৃষ্ণচূড়া!
“বড়মা।”
মৌরী দাঁড়িয়ে আছে ঘরের সামনে। হাতে একটা প্যাকেট। পরনে নতুন জামা।
এই রঙ তার বড়ই চেনা। প্রতিদিন সে এই রঙ দেখেছে। সারা
শরীর, মন দিয়ে সে এই রঙের স্বাদ নিয়ে
এসেছে। এই রঙ দিয়েই সে নিজেকে রাঙিয়েছে।
“কী রে, কী ব্যাপার? সকাল বেলায়?”
“আজ যে নববর্ষ। বছরের প্রথম দিন।
তোমাকে প্রণাম করতে এলাম গো।”
“তোর হাতে ওটা কি?”
“লাড্ডু। মিঠাই। দ্যাখো, অনেকগুলো।”
“কে দিলো?”
“বড় বউদি চারটে দিয়েছে। আর
মেজবউদি ছ’টা দিয়েছে। এই দ্যাখো, মা আমাকে
নতুন জামা কিনে দিয়েছে। কি সুন্দর না?”
পল্লবীর আর সহ্য হচ্ছে না। নিজের ওপর তীব্র শ্লেষে ফেটে পড়তে চাইছে।
“মৌরি, তুই একটু দাঁড়া।”
ঘরে ঢুকেই লাড্ডুর থালাটা হাতে তুলে নিল পল্লবী। এক থালা লাড্ডু। নিজের হাতে
তৈরি। কিঞ্জল,নবাঙ্কুরের খুব প্রিয়। বাইরে
এসে থালাটা উপুড় করে ঢেলে দিল মৌরির প্যাকেটের মধ্যে।
“নে মৌরী। আজ তোর দিন। তোরই জিত
হল।”
ঠিক তখনই বনমালীর চকচকে কুঠারটা কৃষ্ণচূড়া গাছটার ওপর ঝলসে উঠল। কাঠের
টুকরোগুলো বেদির চারদিকে ফোয়ারার মতন ছড়িয়ে পড়ল। বনমালীর হাতে খুব
জোর। গাছটা কাটতে খুব বেশি সময় লাগবে না ওর।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন