রাত ন’টায় আদিত্যর মোবাইলে একটা ফোন এল। বসার ঘরে টিভি চলছিল। সে ফোন ধরতে পাশের ঘরে উঠে গেল। ফিরে আসতে পারমিতা বলল, “কে ফোন করেছিল?”
“অফিসের ফোন।”
ক’দিন রাত ঠিক ন’টার সময় আদিত্যর মোবাইলে ফোন আসছে। সন্দেহ হল পারমিতার। সুযোগ পেয়ে গোপনে কললিস্ট চেক করে দেখল, সবগুলো এ সেনগুপ্ত-র কাছ থেকে এসেছে। পরদিন ফোন আসতে পারমিতা পাশের ঘরে দরজার কাছে কান পাতল। বুঝতে পারল, প্রয়োজন ততটা নয়, যতটা আলাপচারিতার জন্য। বেরিয়ে আসতে বলল, “এ সেনগুপ্ত ফোন করেছিল?”
“হ্যাঁ। তুমি কী করে জানলে?”
“গতকাল তোমার ফোনটা ঘাঁটতে গিয়ে
কললিস্ট দেখলাম, তাই বলছি। আচ্ছা, এ সেনগুপ্তের পুরো নাম কিগো?”
“ওটা জেনে তোমার কী হবে? তুমি কী চিনবে তাকে?”
“চিনব না। এমনিতে দরকারও নেই।
কিন্তু হঠাৎ হয়তো ফোন করে কোনদিন তোমার কথা জানতে চাইল। তাই জেনে রাখতে চাইছি।”
“তোমার নম্বর সে জানবে কী করে যে
তোমাকে ফোন করবে?”
“আমাকে নয়, তোমার ফোন হয়তো বাড়িতে পড়ে থেকে গেল। তখন ফোন এলে উত্তর দিতে হবে তো। আচ্ছা, পুরো নাম জানাতে তোমার কী অসুবিধা?”
বিতর্ক এড়াতে আদিত্য জানাল, “অর্ণব সেনগুপ্ত।”
পারমিতা আর প্রশ্ন না করলেও পুরোপুরি বিশ্বাস করল না। পরদিন আদিত্যর স্নানের সময় অর্নবের নম্বরে রিং করল। ওপ্রান্তে মহিলা কন্ঠ, “এসময়ে তুমি হঠাৎ ফোন করলে কেন, আদিত্যদা?”
পারমিতা ফোন না ধরে কেটে দিল। সন্ধ্যায় অফিস থেকে ফিরে চা খেতে খেতে আদিত্য বলল, “তুমি কী আজ আমার ফোন থেকে কাউকে ফোন করেছিলে?”
“কেন বলতো?”
“আমার ফোন থেকে আজ সকালে এ সেনগুপ্তর
নম্বরে একটা ফোন গিয়েছিল। তবে যেই করুক সে ফোন ধরে নি, কেটে দিয়েছে।”
“আসলে ভুলবশত কল করা হয়ে
গিয়েছিল। তাতেই জানতে পারলাম, আজকাল মেয়েদের নামও 'অর্ণব' হয়।”
খুব সরল সাধারণ নিত্য নৈমিত্তিক গল্প...
উত্তরমুছুনধন্যবাদ
মুছুনভালো গল্প
উত্তরমুছুনএকটি মন্তব্য পোস্ট করুন