মরুভূমির_শিশির - ছন্দা দাম

 

এইসব ছাইপাশ কি রানছো...খামু না  অরুণ ভাতের থালাটা এক ধাক্কায় সরিয়ে রেখে উঠে দাঁড়ালো

অনিমার মুখটা কালো মেঘে ঢেকে গেল

“...কি রানমু কওত? ঘরে তো কিচ্ছুই নাই! যা আছিল...

ঝঙ্কার দিয়ে উঠলো অরুণ, “কি এক্কেরে রোজগারী বৌ, সারাটা দিন বাইরে থাইকা কি রাজত্ব কৈনা আনো শুনি! সুন্দর গতরে হাওয়া লাগাইয়া ফিরো, গালে পাউডার, ঠোঁটে লিপিস্টিক। আর রান্ধনের বেলায় লবডঙ্কা!“

অনিমার চোখে জল ভরে এল। সারাদিন সেলাই করে দুটো টাকা আনে ঘরে, একটু যদি শ্রী ফেরানো যায়। ভোরে উঠে সব রান্নাবান্না, ঘরদোর পরিষ্কার, মেয়েটার পরিচর্যা করে, স্বামীর জন্য ভাতের থালা সাজিয়ে, নাকে মুখে একমুঠো গুঁজে দৌড় দেয়

ঘরে ফিরে সবার আগে শিশুটিকে কোলে তুলে মাতৃত্ব উজার করে দেয়, তারপর ঝাঁপিয়ে পড়ে সংসার সমরাঙ্গনে

ফ্যাক্টরিতে কি একটা ঝামেলা চলছে অরুণের তাই মাথা ঠিক নেই, বাজার ও হচ্ছে না ঠিকঠাক। অনিমাই সব হিসেব করে চালিয়ে যাচ্ছেমানুষটার কত চিন্তা মাথায়, অনিমা ওর সারাদিনের ক্ষিদে তৃষ্ণা ভুলেই গেল। দুটো ডিমের একটা ভারি অমলেট বানিয়ে বরকে ডাকল, “কৈ গো আসো।“

না আমি খামু না তুমিই খাও।“

ইশ রে এত রাগ করতে আছে? এই নাও।“ অনিমা বরের মুখে অমলেট সহ একমুঠো ভাত গুঁজে দিল







Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন