রান্নার ক্ষেত্রে কিছু ছোট খাটো বিষয়ে খেয়াল রাখলে পরিচিত রান্নাও নতুন স্বাদ পেয়ে যায়। যেমন -
- ভাতের চাল অন্তত তিন - চারবার ভালো করে চটকে ধুয়ে নিলে ভাত ঝুরঝুরে হওয়ার সাথে সাথে পুষ্টিগুণও বৃদ্ধি হয়।
- সাধারণ ভাতের চাল ভাত রান্নার আধা ঘণ্টা আগে ভিজিয়ে রেখে দিলেও পোলাও বা ফ্রায়েড রাইসের চাল ধোয়ার পরে জল ঝরিয়ে হালকা শুকিয়ে নিয়ে রান্না করলে পোলাও ও ফ্রায়েড রাইস সুন্দর ও ঝুরঝুরে হয়। ভাত আঠালো হওয়ার সুযোগ কমে যায়।
- পোলাও ও ফ্রায়েড রাইসের চাল ধোয়ার পরে জল ঝরিয়ে অল্প শুকনো করার পর ঘি, নুন, হলুদ ও গোটা গরম মশলা দিয়ে ভালো করে চটকে ঢাকা দিয়ে কমপক্ষে একঘন্টা রেখে দিলে ভাতের স্বাদ ও গন্ধ দুইই বেড়ে যায়।
- ডাল সিদ্ধ করার আগে ধুয়ে আধা ঘন্টা ভিজিয়ে রাখা জরুরী। ডাল সিদ্ধ করার সময় সঠিক পরিমাণে জলের সাথে নুন, হলুদ ও দুই তিন চামচ সর্ষে তেল মিশিয়ে সিদ্ধ করতে দিলে ডালের স্বাদ বৃদ্ধি পায়।
- রাজমা, কাবুলিছোলা বা অন্য যে কোনো বিনের দানা সিদ্ধ করার সময় নুন, হলুদ, তেলের সাথে স্বল্প পরিমাণে গোটা স্টার অ্যানিস ও গরম মশলা মিশিয়ে সিদ্ধ করলে অত্যন্ত সুবাসিত তরকারি রান্না হয়।
- রাজমা, কাবুলিছোলা, ছোলা, খোসাসহ মুগ বা মুসুর ডাল সহজে সিদ্ধ করতে হলে সিদ্ধ করার সময় এক চিমটে বেকিং সোডা মিশিয়ে দিলে স্বাদ বাড়বে, সহজে সিদ্ধও হয়ে যাবে।
- ভোগের খিচুড়ি রান্নার এক ঘন্টা আগে ভিজানো চাল ও ডালের জল সম্পূর্নভাবে ঝরিয়ে দু'চামচ ঘি, হলুদ, নুন, এক চামচ চিনি, কাঁচা লঙ্কা,আদা বাটা, জিরে গুঁড়ো ও ধনে গুঁড়ো মিশিয়ে খুব ভালো করে চটকে মেখে ঢাকা দিয়ে রাখলে খিচুড়ির থেকে সুন্দর সুগন্ধময় হয়।
- পায়েস, ক্ষীর বা এই ধরনের দুগ্ধজাত মিষ্টান্ন তৈরির সময় এক চিমটে নুন দিলে স্বাদ বৃদ্ধি পায়।
- যে কোনো ধরণের সর্ষে বাটার রান্না নামানোর আগে আঁচ বন্ধ করে দুই তিন চামচ কাঁচা সর্ষে তেল দিয়ে নামালে স্বাদ ও গন্ধ দুইই বেড়ে যাবে।
- যে কোনো ধরণের আদা বাটা দেওয়া ডাল রান্না নামানোর আগে আধা চামচ কাঁচা আদা বাটা মিশিয়ে নামালে স্বাদ দ্বিগুণ বৃদ্ধি পায়।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন