পরিচালক – জে.এস. নন্দিনী
শ্রেষ্ঠাংশে – নবীন চন্দ্র,
শ্রীকৃষ্ণ দয়াল, কান্না রবি, মালিনী জীবরত্নম, সুনয়না, কুমারবেল, হারিনী সুন্দরাজন, সেম্মালার আন্নাম, মিশা ঘোষাল
ঘন জঙ্গল পরিবেষ্টিত এক গ্রাম। সেখানে বসবাস করে সরল সাদাসিধে গ্রামবাসী। গতে বাঁধা নির্ঝঞ্ঝাট নিস্তরঙ্গ তাদের জীবন। হঠাৎই সেই গ্রামে একের পর এক গ্রামবাসীর অস্বাভাবিকভাবে প্রাণ যেতে থাকে। মৃত্যুর পর তাদের দেহ মাকড়সার জালের মতো ঘন জালে আবৃত। পুলিশের ধারণা খুন। কিন্তু গ্রামবাসীদের বিশ্বাস, স্বয়ং বনদেবতা এই কাণ্ড ঘটাচ্ছেন। কেউ কেউ নাকি তাঁকে চাক্ষুষ দর্শনও করেছে। সত্যিই কি তাই? কিন্তু এই মানুষগুলোর মৃত্যুর কারণ কী?
জবাব খুঁজতে গ্রামে আবির্ভাব হয় দুঁদে পুলিশ অফিসার ইন্সপেক্টর ঋষির। তার সামনে দু'টো লড়াই। নিজের অতীতের সঙ্গে এবং অজানা রহস্যে ঘেরা এই খুনগুলোর সঙ্গে। লৌকিক অলৌকিক উপকথার সে ধার ধারে না। তার মন লজিক খোঁজে। তারই সহকর্মীদের মধ্যে কেউ কেউ নাকি ঘন জঙ্গলের মধ্যে বনদেবতার দেখা পেয়েছে। কিন্তু ইন্সপেক্টর ঋষি বনদেবতার অস্তিত্বই মানতে নারাজ। শেষপর্যন্ত ঋষির কপালে কি বনদেবতার দর্শন জুটবে! নাকি দেবতার নামের আড়ালে মনুষ্যসৃষ্ট কোনো দুষ্টচক্র ফাঁস হবে!
উত্তর রয়েছে আমাজন প্রাইমে উপলব্ধ "ইন্সপেক্টর ঋষি" সিরিজের পরতে পরতে। ২০২৪-এর ২৯শে মার্চ মুক্তি পাওয়া এই সিরিজটিতে আছে দশখানি পর্ব। তামিল ভাষায় মুক্তি পেলেও হিন্দি, তেলেগু, মালায়ালাম ও কানাড়া এই চারটি ভাষায় ডাবিং করা হয়েছে। তাই এটি দেখতে কোনো সমস্যায় পড়তে হবে না। ইন্সপেক্টর ঋষির ভূমিকায় পাওয়া যায় নবীন চন্দ্রকে যাঁর অভিনয় সত্যিই নজর কাড়ে। ছোট বড় যেকোনো চরিত্রে সহ-অভিনেতারাও যথাযথ।
সিরিজটির কাহিনী প্রসঙ্গে বলতে গেলে, এটির মাধ্যমে অত্যন্ত বিচক্ষণতার সঙ্গে আমাদের সকলের জন্য একটি বার্তা দেওয়া হয়েছে যা আজকের দিনে ভীষণভাবে প্রাসঙ্গিক। তবে কাহিনী ভালো হলেও বেশ কিছু সময় সিরিজটি গতি হারিয়েছে বলে মনে হয়। মোটের উপর সিরিজটিকে খারাপ বলা চলে না। তবে শেষের দিকে একখানি বড় ভুল চোখে পড়ে যেটির উল্লেখ করলে স্পয়লার দেওয়া হয়ে যাবে। সেকারণে সেই কাজ থেকে বিরত থাকাই শ্রেয় বলে মনে করছি। আমার বিশ্বাস, সেই ভুলটি সহজেই আপনাদের নজরে পড়ে যাবে। তবে তার জন্য অ্যামাজন প্রাইমে দেখে ফেলতে হবে রহস্য রোমাঞ্চ সিরিজ "ইন্সপেক্টর ঋষি"।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন