তখন ও সূর্য তার শাসানির দৃষ্টি শানায়নি। শাকের আঁটিগুলোর গায়ে তখনো শিশিরের পরশ মিলায়নি। তারা যেন উৎসর্গিত হওয়ার অপেক্ষায়।
লোকটি শাকগুলো নাড়াচাড়া করতে থাকলে কৃষক বলে, আহা আহা! কী করেন!
- সে কী কথা নেড়ে চেড়ে দেখবো না! ক্রেতার বিষ্ময় জিজ্ঞাসা।
- নিজের চোখকেও বিশ্বাস নেই!
- অতই যদি মায়া তাহলে বাজারে আনা কেন বাপু?
- আদর বিলাই কি অত্যাচারের আশা করে!
- এরপর নিশ্চয় দু'গুণ টাকা চেয়ে বসবে?
- ক্রেতার ক্ষমতার সঙ্গে বিক্রেতা আপোষ করলে তো ফসল ফলতে ভুলে যাবে। তারও তো পরিচর্যার দরকার হয়।
- ভুলে যাও কেন পৃথিবী দরাদরির রীতিতে চলে।
- তাই হবে বোধ হয়। না হলে রোজগেরে ছেলেটা মুখে লাথি মেরে চলে যাবে কেন। অথচ যতদিন রসদ ছিল ধূপ হয়ে গন্ধ দিয়েছি। তবুও দেখুন এই শাকগুলোতে সেই লালন সুখের রেণু লেগে আছে। বিক্রেতার কন্ঠে ক্ষোভ।
ক্রেতা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললেন, মন চায় না, তবুও গস্ত করতে হয়। তাই না?
কৃষক দীর্ঘশ্বাস ফেলে চোখ বন্ধ করলো। ক্রেতার বুকটা ভারী হয়ে উঠলো। তিনি মৃদুস্বরে বললেন, এমনটাই অধিকাংশের ভবিতব্য। তবুও কর্তব্য কর্মে অবহেলা মানায় না।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন