বিশাল লম্বা-চওড়া একটা গেট যা কেবল চাকা ঘুরিয়ে আটকানো আছে। আমি সহজেই চাকা ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ফাঁক দিয়ে ভেতরে ঢুকে পড়লাম । ওহ্ , কী সুন্দর ! এজন্যই থরে থরে পৃথিবী থেকে পৃথক করার এত সমীকরণ। যার হালহকিকৎ আমি সবটুকু উদ্ধার করতে ব্যর্থ হওয়ায় রহস্যেই ডুবে যাই। কিন্তু এসব কার ওপর চাপাব? তখনই মনের দরজা ফুঁড়ে বেরিয়ে এল - ঈশ্বর।
হ্যাঁ, এই লোকটাকে মানায় ভালো। বেশ নিশ্চিত হলাম এই ভেবে যে সত্যি এনার নামে যেসব কর্মকাণ্ড চাপানো আছে তার বিন্দুমাত্র আবিষ্কার করা আজও কারও ক্ষমতা হয়নি। অন্তত আমার এসব নিয়ে মাতলামো না করলে চলবে ।
তারপর যেতে যেতে গিয়ে দেখি আবার একটা গেট কলাপসেবল , টানাটানির পর টানাটানি , তালাটা ঝোলানো। কেউ নেই কখনও নেই এ দুনিয়ায় - অগত্যা নিজেই ঠেলাঠেলি , কসরৎ , ঠাণ্ডা পানি , গরম জল - ঘেমে নেয়ে খুলেই ফেললাম। দু’দণ্ড বসে জিরোলাম।তখনই দেখলাম দু’জন ধেয়ে এল, ‘রে রে’ করে। ধমকাল চমকাল, এখানে কোনো সময় নেই কেবলই শমন। দেখলাম, বিচিত্র কাজ আর কাজ, রঙে রঙে ছয়লাপ, মাপ-জোক তো দারুন, তাকে সীমাবদ্ধ করা যায় না। কত যে বৈচিত্র্য আর অজানা, অচেনা, অমানা দিগদর্শন যা কেবল আমাকে ভাবিয়ে তোলে, নির্বাক করে দেয়। শত শত বাঁক, শাখা-প্রশাখা, পাতায় পাতায় বাহার - আমি কোন দিকে যাব? শেকড়ের সন্ধান কেউ কি জানে?
একজন বললে - ওপরে ওঠার পথ ক'জনই জানে।
আমি তরতরিয়ে ছুটলাম । আমার দুদিকে অসংখ্য পসরা আর প্রসারিত হাত। মুহূর্মুহু হাতছানি আর আকর্ষণ। সামনে অদৃশ্য প্রাচীরওয়ালা দরজা। যার তালা নেই, চাবি নেই, দারোয়ান নেই, পাল্লা নেই। আমি চিৎকার করলাম, মাথা খুঁড়লাম, নতজানু হলাম, প্রতিশ্রুতি দিলাম। শুধু শুনলাম - ওপারে রূপকথার দেশ। অনাবিষ্কৃত রহস্য। আজও কেউ তার নাগাল পায়নি। যে যায় সে যায়ই ।
বেশ অন্যরকম একটা লেখা
উত্তরমুছুনএকটি মন্তব্য পোস্ট করুন