দরজা - মাখনলাল প্রধান



বিশাল লম্বা-চওড়া একটা গেট যা কেবল চাকা ঘুরিয়ে আটকানো আছে।  আমি সহজেই চাকা ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ফাঁক দিয়ে ভেতরে ঢুকে পড়লাম । ওহ্ কী সুন্দর ! এজন্যই  থরে থরে পৃথিবী থেকে পৃথক করার এত সমীকরণ। যার হালহকিকৎ আমি সবটুকু উদ্ধার করতে ব‍্যর্থ হওয়ায় রহস‍্যেই ডুবে যাই।  কিন্তু এসব কার ওপর  চাপাব তখনই মনের দরজা ফুঁড়ে বেরিয়ে এল - ঈশ্বর।

হ্যাঁএই লোকটাকে মানায় ভালো। বেশ নিশ্চিত হলাম এই ভেবে যে সত্যি এনার নামে যেসব কর্মকাণ্ড  চাপানো আছে তার বিন্দুমাত্র আবিষ্কার করা আজও কারও ক্ষমতা হয়নি।  অন্তত আমার এসব নিয়ে মাতলামো না করলে চলবে 



তারপর যেতে যেতে গিয়ে দেখি আবার একটা গেট কলাপসেবল টানাটানির পর টানাটানি তালাটা ঝোলানো।  কেউ নেই কখনও নেই এ দুনিয়ায় - অগত্যা নিজেই ঠেলাঠেলি কসরৎ ঠাণ্ডা পানি গরম জল - ঘেমে নেয়ে খুলেই ফেললাম।  দুদণ্ড বসে জিরোলাম।তখনই দেখলাম দুজন ধেয়ে এল, রে রে করে।  ধমকাল চমকালএখানে কোনো সময় নেই কেবলই শমন।  দেখলামবিচিত্র কাজ আর কাজরঙে রঙে ছয়লাপমাপ-জোক তো দারুনতাকে সীমাবদ্ধ করা যায় না।  কত যে বৈচিত্র্য আর অজানাঅচেনা অমানা দিগদর্শন  যা কেবল আমাকে ভাবিয়ে তোলে নির্বাক করে দেয়।  শত শত বাঁকশাখা-প্রশাখাপাতায় পাতায় বাহার - আমি কোন দিকে যাবশেকড়ের সন্ধান কেউ কি জানে?
একজন বললে - ওপরে ওঠার পথ ক'জনই জানে


আমি তরতরিয়ে ছুটলাম ।  আমার দুদিকে অসংখ্য পসরা আর প্রসারিত হাত।  মুহূর্মুহু হাতছানি আর আকর্ষণ।  সামনে অদৃশ্য প্রাচীরওয়ালা দরজা।  যার তালা নেইচাবি নেইদারোয়ান নেইপাল্লা নেই। আমি চিৎকার করলামমাথা খুঁড়লামনতজানু হলামপ্রতিশ্রুতি দিলাম। শুধু শুনলাম - ওপারে রূপকথার দেশ।  অনাবিষ্কৃত রহস্য। আজও কেউ তার নাগাল পায়নি। যে যায় সে যায়ই 

 

1 মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন