দিগন্তের ওপারে থেমে যাওয়া আলো আজ
ম্লান, স্তিমিতপ্রায়। সেখানে নেই শহুরে দালানবাড়ি।
প্রকৃতির উন্মুক্ত আকাশের গায়ে,প্রজাপতির
নীল, হলুদ রঙের গভীরে ডুবে যায় সমুদ্রের জল।
মেঘবাড়িতে ঘুরে বেড়ায় এলোমেলো লম্বা চুলের
জীবন্ত পাহাড়। কালো মেঘের আড়াল হতে,
মুচকি হাসি দিয়ে অঝোরে ঝরে পড়ে বৃষ্টিরা।
সবুজ বনানীর পায়ের তলায় ভিজে যাওয়া মাটি,
সারারাত তাই নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারেনি ওরা।
ভোরের নরম আলোয় ওরা নামে চোখের পাতায়।
এই পথ ধরেই বোধহয় স্বপ্ন হয়ে এলো–
অসহায় ভাবনাগুলো। আজও বিক্রি হয়
অনেক অল্প দামে চাষীদের সোনার ফসল।
চন্দ্রালোকিত স্বর্ণাভ মাঠ কুয়াশার চাদরে ঢাকা।
বনফুলের পরাগ মেখে ঘুমিয়ে গেছে, ওরা কাজ
করে চলে সকাল থেকে সন্ধ্যা;রাত্রির অবসানে।
সারমেয়দের অসহ্য চিৎকারে ভয় জেগে ওঠে অন্ধকার ঠেলে।
কি চায় ওরা? বোধহয় অধিকারের লড়াই।
ঘাসফুলের মতো পদদলিত হয়েও আবার মাথা তুলে
দাঁড়াবে; সেইসব মাত্রাহীন, ছিন্নমূল মানুষের দল।
অপেক্ষা করবো মৃত্যুর পরেও ওদের সোনালী ভোরের।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন