বাজারে জনসমুদ্রের ভিড়
ঠেলে শরীরটাকে কোনক্রমে টেনে বের করে আনল লোকটা। চোখে মুখে যুদ্ধজয়ের তৃপ্তি।
বাইরে থেকে স্পর্শ করে ব্যাগের ভেতরটা একবার অনুভব করার চেষ্টা করে। আশ্বস্ত হয়ে
নিরাপদ দূরত্বে সরে দাঁড়িয়ে বৌকে একটা ফোন করে। ওপার থেকে তীক্ষ্ণ গলায়,
- কি গো বেঁচে আছো? ফোন কুঁই কুঁই করছে সারাক্ষণ। আমিতো ভাবলাম পূজোর বাজার করতে
গিয়ে মায়ের ভোগে চলে গেলে...
- শোনো, তোমার জন্য একটা খাসা
জামদানি আর একটা কুচকুচে জারদৌসি পেয়েছি। কতদিনের শখ তোমার, বাপের বাড়ি গিয়ে ভাইয়ের বৌদের এক্কেবারে তাক লাগিয়ে দেবে।
- রঙটা পছন্দ মতো পেয়েছো তো? নাকি বাছাবাছি করতে ভয়ে
হাত কাঁপছিল!
- আহ! কি যে বলো। শোন, মায়ের শাড়িটাও ভালো
পেয়েছি। ধনিয়াখালি তাঁত। অবশ্য একটু রেয়ন মেশানো, তা হোক। কিন্তু তোমাদের
শাশুড়ি বৌকে একসাথে খুব মানাবে গো।
- থাক থাক! আদিখ্যেতা পরে হবে। আগে বলো।
- মান্টির জন্য একজোড়া জিন্স আর টপ পেয়েছি। আজকাল সব
হালফ্যাশনের মেয়েরা পরছে দেখনি!
- তুমি আবার মেয়েদের এসব কোথায় পরতে দেখলে শুনি? আর আমার পচাই সোনার জন্য কি আনছো?
- উফ্! কি যে বলবো। ভিড়ের মাঝে তখন বার কতক "চোর
ঢুকেছে চোর ঢুকেছে" বলে গোলমাল বাঁধিয়ে দিয়েছি। সবাই যে যার জামা কাপড়ের
ব্যাগ সামলাচ্ছে। অমনি টুক করে ভদ্রলোকের মোবাইলটা পকেটে পুরে নিলাম। দিলাম ধড়াস
করে সুইচ অফ করে।
- বেশ করেছো। ছেলেটা কতদিন ধরে মোবাইল মোবাইল করে
বায়না করছিল।
প্রথম থেকেই গল্পটা অনুমান করতে পারছিলাম তাই ততটা ভালো লাগল না।
উত্তরমুছুনএকটি সৎ মতামতের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। গল্পের উনিশ বিশ আছে। কেউ একটু এগিয়ে কেউ একটু পিছিয়ে। আগামী দিনে আপনাকে আরোও ভালো গল্প শোনাতে পারবো এই আশা রাখি।
উত্তরমুছুনএকটি মন্তব্য পোস্ট করুন