গাছটার
একটা করে ডাল শাখা-প্রশাখাসহ কাটা হচ্ছে
আর
একটু একটু করে আকাশটা দেখা যাচ্ছে।
রেল
স্টেশন। ব্যস্ততার চরম। তবু পোকা মানুষগুলো
থামছে,
মাথা উঁচু করে দেখছে।
যে
মানুষটা গাছের ডালে উঠে হেলায় একটু একটু করে কেটে ফেলছে
এই
সব বিশাল মহীরুহ একটার পর একটা
হয়তো
পোকা মানুষগুলো অবাক হচ্ছে সেই মানুষটার
দক্ষতাতেও।
স্টেশন আধুনিক হচ্ছে।
যাত্রীদের
সুবিধা বাড়বে, বাড়বে আরাম।
গাছগুলোর
জন্য মাথার ওপর দেওয়া যাচ্ছিল না ছাউনি,
বৈদ্যুতিক
তারগুলোতে বিভ্রাট যাচ্ছিল বেড়ে।
এছাড়া
অগুন্তি পাখির বাসার যে নোংরা তাতে
চাকচিক্য
হারাচ্ছিল প্রস্তাবিত মডেল রেল স্টেশন।
অবশ্য
স্টেশন কতৃপক্ষের মতনই নিশ্চয়ই ভাবে না সবাই।
ওইসব
পোকা মানুষগুলোর মধ্যে কেউ কেউ
নিশ্চয়ই
গাছেদেরর শাখা-প্রশাখার দরুণ সৃষ্ট
মিঠে
সবুজ শীতল অন্ধকার পছন্দ করতো।
কেউ
কেউ পছন্দ করতো গাছেদের আত্মিক ছায়া;
কেউ
কেউ হয়তো চাইতো ওই সব অগুন্তি পাখির বাসায়
থাকা
পাখিদের গুঞ্জনে সৃষ্ট হোক শব্দদূষণ।
কেউ
কেউ নিশ্চয়ই চাইতো লোহা আর কংক্রিটের সমারোহে সবুজের অরাজকতা।
তবে
সেটা সংখ্যায় কম।
সেটা
অতীত।
সেইটা
নিয়ম নয়।
কর্তৃপক্ষও
নয়।
অগত্যা
গাছটার একটা একটা করে ডাল শাখা-প্রশাখাসহ কাটা হচ্ছে।
আর
একটু একটু করে বন্ধুহীন হচ্ছে আকাশটা।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন