অমরত্ব জানে সরলা ধরিত্রী - বিকাশ চন্দ



ব্রাত্য সময়ে মধ্য রাতের পথিক খুঁজেছিল

ভাঙ্গা পাঁচিলের গায়ে লেপ্টে নিষিদ্ধ আলোর বিলাপ।

কলঙ্কিত খড়্গের ধার চেনে না আত্মার বসবাস,

উপেক্ষিত চাঁদের বলয়ে মরা শরীর বাঁচে নিঃশেষে

আনাড়ি সংসার দড়ি বেঁধে টানে জন্ম নাড়ি।।

আমাদের আত্মার শেকড় বাকড়

 

একই সাথে শুয়ে আছে মানুষ ও ঈশ্বরের ধুলোপথ।

স্বপ্নগুলো উড়ে যাচ্ছিল ফুটপাত থেকে থেকেঝরা পালক

শূন্য বুকের পাখিদের রক্তাক্ত বুকে পিঠে উড়ে যায় আলো।।

কখনো বন্ধন আবেগ নেই ছিলনা স্পর্শ সুখ শরীরে শিরায়;

সোনালী মাকড়সার ফাঁদে জড়িয়ে প্রাণের উত্তাপ শরীর সাজায়।

 

জন্মদাতা জানেনা তার প্রিয় জাতকের অনন্ত প্রশান্তি,

বটের ছায়া শুয়ে থাকে একা জানে সহনশীল দূর্বাদল।

স্রোতবতী নদী টানে জল জোয়ার ভাটায় আবহমান।।

হাতের উষ্ণতা ছুঁয়ে বলেছিল আত্মস্থ করো রক্তের বন্ধন

বলতো কোথায় আমাদের অমরত্ব জানে সচলা ধরিত্রী।

 

1 মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন