এখন ভাবি-
কত কী লেখার আছে,
জীবনের পরিসর কম নয়, তাই।
শিকেয় একের পর এক রাখা ছিল অনেক হাঁড়ি,
প্রতিটিতে অজস্র ঘটনা।
ভেঙে গেছে অধিকাংশ তার, কবেই আবার।
দুঃখ কিছু থাকলেও, ভালোই হয়েছে।
সব হাঁড়ি থেকে যদি কিছুও নিতাম পৃথিবীকে দিতে,
বটিতে শান দিত অনেকে।
অনেকে আবার বলা যায় না-
সেইসব দেখে অস্ফুটে দিত আশীর্বাদ।
কিছু দেখে নিজেই আমি
অপরাধবোধে আবার অপেক্ষায় থাকতাম।
ঈশ্বর কি শাস্তি দেন আমার বিস্মৃতির !
ভয়ঙ্কর কাজের চাপে, সত্যকে উৎখাত হতে
দেখেও যখন
কিছু না বলে প্রতিবাদী স্বরে,
নিজেই কিনতে গেছি প্রথমে দু'চাকা,
চার চাকা পরে।
তারপর অ্যাক্সিলেটরে পা রেখে যখন
জীবনের গতি বাড়িয়েছি
পরজরা কাচ তুলে সব কিছু দেখতে দেখতে
চিনে গেছে নিজেদের পথ।
এখন ভাবি-
শিকের ঐ হাঁড়িতে কি কিছু
ভালো মানুষের কথা, ভালো ঘটনা আদৌ ছিল না ?
ছিল তো বটেই।
আজকের চেয়ে অনেক বেশিই ছিল
লোভ যে তখনও এত পুণ্যশ্লোক মালসার ভোগ হয়নি।
আজ যখন বিশেষজ্ঞ একজন চোখের ছানিটা কাটছে
মনে মনে তাদের আমি প্রণাম করি-
আদিত্যবর্ণ ঐ মানুষগুলিকে, সময়ে চিনিনি বলে
নিজের ভুলে।
এখন ভাবি-
তাই বুঝি চোখের মাথাটা এত দ্রুত খেলাম।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন