মামাভাগ্নে - শিবানী কুন্ডু খাঁ


ফোন বেজে উঠলো। মণিময় নামটা ভেসে উঠলো স্ক্রিনে। একমুখ বিরক্তি। ধরলাম না। পাঁচ মিনিট পর আবারো বাজলো। চোখ বড় বড় হয়ে গেল। সকাল সকাল জ্বালাতন!

আরো পাঁচ মিনিট পর ফোনটা বেজে উঠলো। রান্নাঘর থেকে পাপিয়া লক্ষ্য করছিল এতক্ষণ। বেরিয়ে এসে বলল, “ধরছো না যে! সাতসকালে কে?”

- “মণিময়, আমার একমাত্র ভাগ্নে।”

জোর করে ধরে চিরতার জল খাইয়ে দেওয়ার মত অবস্থা হল পাপিয়ার। চোখে মুখে ঘৃণা বিরক্তি উৎকটভাবে ফুটে উঠল। গজগজ করতে করতে বলল, “যত্তসব!” পরক্ষণেই পাপিয়া বলল, “ফোনটা ধরি। টাকা চাইলে বা এখানে আসতে চাইলে মুখের উপর না বলে দেব।” আমি তাকালাম পাপিয়ার চোখের দিকে, “তোমার বুদ্ধির তারিফ করি এখনো। কিন্তু ...!” “পছন্দ হলো না তো?”, পাপিয়া ঝকঝকে মুখ তুলে ধরল।

মণিময়কে বলব, বিমান অফিসের কাজে দিন সাতেকের জন্য অন্য স্টেটে গেছে। তাই আমিও দিন দু’য়েকের জন্য বাপের বাড়ি চলে যাব।” মুখে এবার হাসি ফুটল আমার। বার কতক ঘাড় নেড়ে গম্ভীরভাবে ‘ঠিক ঠিক’ বললাম। বাছাধন এতেই কাত হয়ে যাবে। পাপিয়া ফোন ধরতেই মণিময় বলল, “কেজি চার কাড়াং ছাতু পেয়েছি। কাড়াং ছাতুর রাজা, ভারী সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর।”

পাপিয়া কথা বলতে পারল না খানিকক্ষণ।

সরল হাসিমাখা নম্রস্বর মণিময়ের। “বুঝতে পারছ না তো মামিমা? মাশরুম বলো তোমরা।”

পাপিয়া বলল, “হ্যাঁ, হ্যাঁ বুঝেছি এবার।” মণিময় বলল, “ন’টার বাসে পাঠাবো তোমাদের জন্য। একটু সময় বের করে নিয়ে নিও প্লিজ।”

পাপিয়া গদগদ ভাবে বলল, “তোমার মামা স্ট্যান্ডে অপেক্ষায় থাকবে।”


1 মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন