রেখে যাবার মত কিছুই নেই–
অভিশপ্ত ভবিষ্যৎ।
ধ্বংসের পথে জানি আমরা, তবু আশা রাখি।
একটা নিস্তব্ধ মধ্যরাত বিদ্রূপ করে আমায়।
সে হাসে পৃথিবীর অশনি দেখে...
জীবিত আছি, তবু দংশকে খেয়ে চলেছে আঙুলগুলি,
শব্দ এবং ছন্দ আলজিভ পর্যন্ত এসে থেমে যাচ্ছে।
ওরা এতদিন সাহসী যোদ্ধার মত বল ছিল–
অথচ আশ্চর্য, আজকাল মুখেও কীটের অনবরত হাঁটাচলা,
ওদের দখলদারি আমার শরীর জুড়ে ।
বাক্যালাপ থেকে ছুটে আসছে উপমার রাহাজানি।
চোখের সামনে আমার শব্দদের বাস্তুহারা হতে দেখছি।
স্লোগানের ভিতরে আরেক স্লোগান–
কানে এসে বলছে আত্মঘাতী হবার কথা!
নিষিদ্ধ হোক শ্বাস নেওয়া ,
হাতদুটো হোক শক্তিহীন ,
কারণ আমার অক্ষর কুরে খাচ্ছে অন্য জীবিতজন।
প্রতিবাদ শুধু প্রথা হয়ে গেছে,
ভাষা থেকে উচ্চারিত হওয়া কলরব মানচিত্রে জ্বালাচ্ছে আগুন।
যদি অন্ধ করে দিতে পারতাম সারা দেহকে,
যাতে কোনোদিন ফুটে না ওঠে স্তন।
শবের মতো মালায় ঢেকে রাখা যেত শরীরী তাপ,
বিশ্বাসঘাতক হতনা মেয়েজীবন।
অসাধারণ ভাবনার প্রকাশ। ভীষণভাবে প্রাসঙ্গিক।
উত্তরমুছুনএকটি মন্তব্য পোস্ট করুন