পড়ন্ত বিকেলের একফালি রোদ মেয়েটার মুখে,
শূন্য দুই চোখ জানলা দিয়ে এক চিলতে আকাশ দেখে।
মায়ের মুখ মনে পড়েনা, ভাইয়ের মুখটা আবছা,
বাবার আদরে বেড়ে ওঠা শৈশব আজকে হয়েছে ঝাপসা।
কতই বা তার বয়স হবে ষোলো হয়তো বা সতেরো,
আট বাই ছয়ের ছোট্ট ঘরে একটা চৌকি আর কুঁজো।
ভুলতে পারেনি অপহৃত হয়ে জন্মদিনে হারিয়ে যাওয়া,
অনেক লোকের লালসা মিটিয়ে এই নরকেতে আসা।
সকাল থেকে দুপুর পেরোয় এগিয়ে আসে কালো রাত,
মনে অব্যক্ত গ্লানি, শরীর জুড়ে নখ আর দাঁতের দাগ।
সময়ের সাথে বয়স বেড়েছে, থেমে আছে শুধু মন,
সন্ধ্যে হলেই রঙ্গীন দুনিয়া; বোবা কান্না ভরা জীবন।
জীবনটা তার খাঁচায় বন্দী, ডানা ছেঁটে ফেলা পাখি।
উড়তে চাইলেও ওড়া যায়না, বেঁচে থাকাটাই ফাঁকি।
সুযোগ পেলেই ছাদে চলে যায় মেঘ ভেসে যাওয়া দেখে,
প্রসারিত করে দুই হাত তার উড়ে যেতে চায় সাথে।
নিজের নামটা কবে ভুলে গেছে; ভুলে গেছে পরিচয়,
যন্ত্রনাময় এ জীবন ছেড়ে মেঘবালিকা কি হওয়া যায়?
বেশ ভালো লাগল।
উত্তরমুছুনএকটি মন্তব্য পোস্ট করুন