কিস্তিমাত - সুমিতা দাশগুপ্ত

ওমর খৈয়াম বলেছিলেন, দাবা খেলাকে উপহাস করবেন না। আপনি দিনের পর দিন ঘোড়া হারাবেন, হাতি মারবেন, রাণীদের আক্রমণ করবেন, তখন মানসিক স্বাস্থ্য বজায় রাখা কি সহজ?”

সত্যি কথা! কিন্তু, অপরদিকে যে কথাটি আরও সত্যি, তা হ’লো, মানসিক স্বাস্থ্য বজায় রাখতে দাবার জুড়ি নেই, কারণ, দাবা হলো মস্তিষ্কের জিমন্যাস্টিকস্।

দাবা একটি অতি প্রাচীন খেলা। বলা হয় আজ থেকে প্রায় দেড় হাজার বছর আগে দাবাখেলা প্রথম শুরু হয়েছিল ভারতবর্ষে। ধীরে ধীরে তা ছড়িয়ে পড়তে থাকে বিশ্বের অন্যান্য জায়গায়। এই নিয়ে বহু লোককথা প্রচলিত আছে। এর মধ্যে সর্বাধিক প্রচলিত গল্পটি হলো, রাবণকে যুদ্ধ থেকে বিরত রাখার জন্য, মন্দোদরী এই খেলার সূচনা করেন।

লোককথার বাইরে, তথ্য হিসেবে, ঐতিহাসিকরা যা বলে থাকেন তার মূলকথা হলো, খননকার্য চালানোর সময় সিন্ধু সভ্যতার নিদর্শন মাটির ছোট ছোট পুতুল, ঘোড়া ইত্যাদি একধরনের বোর্ড গেমেরই ইঙ্গিতবাহী।

 
সিন্ধু সভ্যতার লোথাল থেকে পাওয়া দাবার বোর্ড ও ঘুঁটি, ২৫০০ খি.পূ.

ওদিকে আবার প্রাচীন মিশরেও নাকি একই ধরনের একটি খেলার সন্ধান পাওয়া যায় বলে জনশ্রুতি আছে, কিন্তু সেটির সমর্থনে বিশদ তথ্য জানা যায় না।

ভারতে আধুনিক দাবা খেলা ঠিক কবে থেকে শুরু হয়েছিল বলা কঠিন, তবে বিশেষজ্ঞদের মতানুসারে, এই খেলাটি ষষ্ঠ শতাব্দীরও আগে গুপ্তযুগের আমল থেকে ভারতে প্রবর্তিত হয়। সেই সময়ে এটির নাম ছিল চতুরঙ্গ, কারণ তখন এই খেলাটিতে, হাতি ঘোড়া রথ ও সৈন্য এই চারটি মাত্র অংশ ছিল। প্রাচীন কালে যুদ্ধক্ষেত্রে পদাতিক, অশ্বারোহী, গজ ও রথী এই চার ধরনের সৈন্যসমাবেশ হতো। সেই সৈন্যসজ্জার নাম ছিল তুরঙ্গ। অক্ষ খেলায় ঘুঁটিও অনুরূপভাবে স্থাপন করা হতো, বলে এই খেলাটিকে চতুরঙ্গ নামে অভিহিত করা হতো। মতান্তরে ‘চতুর’ শব্দ থেকে চতুরঙ্গ নামটি এসেছে, যার অর্থ হল, বুদ্ধিমান। রণক্ষেত্রের মতোই এই খেলাতেও জেতার জন্য প্রখর বুদ্ধিমত্তার প্রয়োজন।

 চতুরঙ্গে মগ্ন রাধা কৃষ্ণ

চতুরঙ্গ খেলার, বিশদ নিয়মাবলী এখন আর সঠিকভাবে জানা যায় না, তবে এই খেলার মূল বৈশিষ্ট্যগুলি আধুনিক দাবার মতোই মোটামুটি ভাবে এক, বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা।

ইতিহাসের সূত্র অনুযায়ী, এই খেলাটি এরপর ভারতের বাইরে প্রথম পা রাখে পারস্যে। একসময়ে ভারতের সঙ্গে পারস্যের বানিজ্যিক সুসম্পর্ক ছিল। ছশো খ্রিস্টাব্দের একটি ফার্সি পান্ডুলিপি থেকে জানা যায় যে ভারতীয় উপমহাদেশের একজন দূত, রাজা প্রথম খসরোকে এই উপহারটি দিয়েছিলেন। মতান্তরে পারস্যের সঙ্গে ভারতের ব্যবসায়িক সুসম্পর্কের সুবাদেই খেলাটি সেখানে পৌঁছে যায় এবং খুব জনপ্রিয় হয়ে ওঠে, এবং এটির নতুন নামকরণ হয় শতরঞ্জ, মতান্তরে ‘শাহ-মাৎ’।

 ইরানের নিশাপুর থেকে প্রাপ্ত শতত্রঞ্জের ঘুঁটি, ১২শ শতাব্দী

পারস্যে আসার পর ‘শতরঞ্জ’ কিন্তু সেখানেই চুপচাপ বসে থাকে নি। অনতিবিলম্বে সেটি পাড়ি জমায় স্পেনে। স্পেনে তখন মুসলিম শাসন আমল। সেই কারণে খুব সহজেই পারস্য থেকে সেটি স্পেনে পৌঁছে যেতে পেরেছিল, তবে সেখানে গিয়ে তার নামটি আবার বদলে গিয়ে হয়ে যায় Xadrez. যাকে ইংরেজিতে ‘Ajedrez’ লেখা হয়।

মোটকথা, মুসলিম বিশ্বে এই খেলাটি একসময়ে বিপুল জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল এবং ইসলাম ধর্ম প্রচারের সঙ্গে সঙ্গে এই খেলাটি উত্তর আমেরিকা, ইওরোপ এবং লন্ডনসহ, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়তে থাকে।

প্রায় একই সময়ে, খেলাটি ভারত থেকে চিনেও পাড়ি দেয়। চিনারা এই খেলাটির নতুন নামকরণ করেন জিয়াংকি অথবা শিয়া চিং (XIANGQI) তবে, চিন দাবী করে, জিয়ানকি নাকি তাদেরই উদ্ভাবিত খেলা, এবং চিনই এটির উৎপত্তিস্থল, ভারত নয়। যদিও বিশেষজ্ঞরা তাদের এই দাবীর স্বপক্ষে যথেষ্ট প্রমাণ পান নি।

 জিয়াংকি খেলায় মগ্ন দুই বৃদ্ধ;

  মঙ্গোলিয়া থেকে প্রাপ্ত সং শাসনামলের জিয়াংকি ঘুঁটি

মোটকথা বিভিন্ন জাতি এই খেলাটির উদ্ভব নিয়ে নিজের নিজের দেশের পক্ষে জোরালো সওয়াল করলেও, গবেষকরা বহু গবেষণার পর, সেইসব দাবি নস্যাৎ করে দিয়ে, ভারতই যে দাবার উৎপত্তিস্থল, সেই ধারণাটিকেই মান্যতা দিয়েছেন, তবে কিনা আধুনিক দাবার সঙ্গে বহু শতাব্দী প্রাচীন দাবা খেলার নিয়মে যে বিস্তর ফারাক থাকবে সেকথা তো বলাই বাহুল্য।

দাবা খেলা ক্রমশ যতোই জনপ্রিয় হয়ে বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়তে থেকেছে, ততোই এটির নাম পরিবর্তন হতে হতে অবশেষে ইওরোপ এবং রাশিয়ায় এসে এটির নতুন এবং সর্বজনগ্রাহ্য নাম হয় ‘চেস’। শুধু নামেই নয়, খেলাটির নিয়মেও অনেক পরিবর্তন আসে। ইওরোপে আসার পরই দাবায় প্রথমবারের মতো যুক্ত হয় বিশপ এবং তারও পরে কুইন (রাণী), এবং ধীরে ধীরে এই ‘চেস’ ইউরোপীয়দের মাধ্যমেই বর্তমান বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে এবং জনপ্রিয় হয়।

দাবা দুজনের খেলা, বর্গাকৃতি বোর্ডে চৌষট্টিটি সাদা, কালো ঘর এবং প্রতিটি খেলোয়াড়ের জন্য মোট ষোলোটি করে গুটি থাকে। বর্তমানে বিশ্ব দাবা ফেডারেশনের নির্ধারিত নিয়ম কানুন মেনেই, এই খেলাটি খেলতে হয়।

বিভিন্ন সাহিত্যেও দাবা খেলার উল্লেখ মেলে। এই ব্যাপারে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো “এ্যলিস ইন ওয়ান্ডার ল্যান্ড।”

লুকিং থ্রু দ্য মিরর’ অধ্যায়ে, এক অভিনব দাবা খেলার কাহিনী আছে যা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে, বর্তমান যুগেও এক মজাদার দাবা খেলার আয়োজন করা হয়। উনিশ শো তিপ্পান্ন সালে, ভার্নন রায় ল্যান্ডস্কেপ পার্টন, দ্বারা, ‘এ্যালিস দাবা’ নামে এক ভিন্ন ধরনের খেলা উদ্ভাবিত হয়। এই দাবায় সাধারণ গুটির মতোই সমসংখ্যক গুটি নিয়ে খেলা হয়, কিন্তু খেলায় দুটি বোর্ড নিয়ে খেলতে হয়। শুরুতে একটি বোর্ডেই খেলা হয়, অপর বোর্ডটি খালি থাকে, কিন্তু প্রতিটি চালের পর গুটিটি কে অপর বোর্ডে স্থানান্তরিত করতে হয়। প্রতিপক্ষ সেই বোর্ডের গুটিটিকে উচ্ছেদ করতে পারে না। দুই বোর্ডের মধ্যে গুটি স্থানান্তরিত করার মজাকে, আয়নার মধ্যে দিয়ে এ্যালিসের যাত্রার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।

বিশ্বের প্রথম, নথিভুক্ত দাবার প্রতিযোগিতার অন্তিম পর্বের খেলা, ১৫৭৫ সাল। মাদ্রিদের স্পেনীয় রাজসভায় অনুষ্ঠিত এই প্রতিযোগিতায় রুই লোপেজকে হারিয়ে বিজেতা হন লেওনার্ডো দি বোনা।  চিত্রশিল্পী - লুইজি মুসিনি।

আমাদের এই বঙ্গভূমির, নজরুল, শরৎচন্দ্রসহ, প্রথিতযশা কবি সাহিত্যিকরাও, দাবাখেলায় কেউ পিছিয়ে ছিলেন না।

নজরুল ইসলাম এবং শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় পরষ্পরের সঙ্গে নিয়মিত দাবা খেলতেন।

কাজী নজরুল ইসলামের শিউলিমালা গল্পটিতে দাবা বিষয়ে তাঁর প্রখর জ্ঞানের নজির মেলে।

বিশ্বসাহিত্য থেকে শুরু করে চলচ্চিত্র, চিত্রশিল্প, প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই দাবাখেলার কালজয়ী, অবিস্মরণীয় উপস্থিতি। বেশ কিছু বিখ্যাত বিদেশী চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে, যেগুলিতে দাবাখেলাকে কেন্দ্র করে মানবচরিত্রের নানা অজানা সূক্ষ্ম দিক আচমকাই দর্শকদের বিমূঢ় করে ফেলে। চিত্রার্পিত দর্শকদের আজীবন বুঝি সেই ঘোর আর কাটে না, একটু অন্যভাবে বলা যায়, বুঝিবা তাঁরা কাটাতেও চান না।


একই ভাবে বেশ কিছু চিত্রশিল্পীর হাতে আঁকা ছবি, যুগ যুগান্ত ধরে দর্শকদের মন্ত্রমুগ্ধের মতো আকৃষ্ট করে রাখে। সেগুলির, সর্বাঙ্গীণ অন্তর্নিহিত অর্থ হৃদয়ঙ্গম করতে দর্শকরা অনেকখানি সময় ব্যয় করতে কুন্ঠিত হন না।

সাহিত্যেও, যে দাবা খেলার অনিবার্য উপস্থিতি থাকবে, তা তো বলাই বাহুল্য। মহাভারতের অজ্ঞাতবাস পর্বে যুধিষ্ঠির, বিরাট রাজার সঙ্গে নিয়মিত দাবা খেলতেন। অপরদিকে মুন্সি প্রেমচাঁদ আর সত্যজিৎ রায়ের যুগলবন্দী ‘শতরঞ্জ কি খিলাড়ি’, সাহিত্য এবং চলচ্চিত্রের এক উজ্জ্বল রত্ন।

দাবাখেলাকে অন্যান্য খেলার সঙ্গে এক সারিতে, বোধহয় স্থান দেওয়া যায় না। এই খেলায়, একাগ্রতা, প্রখর মনোযোগ, ধৈর্যশীলতার পাশাপাশি তীক্ষ্ণ বুদ্ধিমত্তারও প্রয়োজন।

দাবার আধুনিক প্রতিযোগিতা প্রথমবার শুরু হয় উনিশ শতকের শেষভাগে, যার জনক উইলিহেম স্টেইনজ এবং আয়োজক ছিলেন ব্রিটিশ দাবাড়ু, হাওয়ার্ড স্টাউনটন এবং সেবার চাম্পিয়ন হয়েছিলেন জার্মান খেলোয়াড় অ্যাডলফ অ্যান্ডারসেন।

প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে, মানুষের তৈরি যন্ত্রের সঙ্গে মোকাবেলা করতে দ্বৈরথে সামিল হন সোভিয়েত বংশোদ্ভূত গ্যারি কাসপারভ। তিনিই ছিলেন প্রথম বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়ন। অপ্রতিরোধ্য এই খেলোয়াড়টি, একটি প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে, একমাত্র সুপার কম্পিউটারের কাছে পরাজিত হন।

বাংলায় দাবা খেলার সূচনা আঠারোশো পঞ্চাশ খ্রিস্টাব্দে, ‘ক্যালকাটা চেস ক্লাব' গঠনের মধ্য দিয়ে। বিশ্ববিখ্যাত দাবাড়ু জন কখরান-এর প্রতিষ্ঠাতা। তৎকালীন বিখ্যাত বাঙালি দাবাড়ু মহেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় সেখানে নিয়মিত দাবা খেলতেন, তবে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন রুশ দাবাড়ু আলেখাইনের কলকাতায় এসে দাবাখেলায় অংশগ্রহণ, বাঙালির উদ্দীপনায় নতুন মাত্রা সংযোজন করে। তারপর স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে গড়ে ওঠে ওয়েস্ট বেঙ্গল চেস এ্যাসোসিয়েশন। শুরু হয় রাজ্য দাবা প্রতিযোগিতা। তখন থেকে বাঙালি এবং ভারতীয় দাবা খেলোয়াড়দের কৃতিত্বপূর্ণ জয়ের রেকর্ড জগতসভায় ভারতের নাম উজ্জ্বল করেছে, সে কথা তো সর্বজনবিদিত। বিশ্বনাথন আনন্দ থেকে শুরু করে দিব্যেন্দু বড়ুয়া, সূর্যশেখর গাঙ্গুলিসহ আরও অনেকেই কৃতিত্বের দাবীদার।

এই যুগে ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েরাও পিছিয়ে নেই। বিশ্ব তথা ভারতের আঙিনায় অনেক মহিলা দাবাড়ুর উজ্জ্বল উপস্থিতিই এর প্রমাণ।

লুডো খেলার মতো দাবা খেলাও বর্তমানে অনেকটা আটপৌরে চেহারা নিয়েছে। ঘরে ঘরে এখন দাবার বোর্ড পাতা হয়। উত্তর কলকাতার বাড়ির রকগুলিতেও, সন্ধ্যাবেলায় আসর বসে। অফিস ফেরতা মানুষজন খানিকক্ষণ দাঁড়িয়ে কিছুটা সময় সে খেলা উপভোগ করে যান।

খেলাটির ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা, বর্তমানে বেশ ক’টি দাবা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রেরও জন্ম দিয়েছে, তার অন্যতম কারণ দাবা যে কেবলমাত্র একটি মনোরঞ্জনকারী খেলা, তা নয়, পাশাপাশি মননশীলতা এবং ধৈর্যশীলতারও অনুশীলন, তাই বোধহয় দাবাকে ‘মস্তিষ্কের জিমন্যাস্টিকস’ নামে অভিহিত করা হয়। এই খেলায় মনঃসংযোগের পাশাপাশি বুদ্ধির প্রয়োগও অত্যন্ত জরুরি।

 সত্যজিৎ রায়ের 'শতরঞ্জ কি খিলাড়ি' সিনেমার একটি  দৃশ্য

একটি প্রচলিত ধারণা আছে, যে নিয়মিত দাবা খেলায়, বিশেষ করে শিশুদের স্মৃতিশক্তি, ‘আই কিউ’, চিন্তাশক্তি এবং বিশ্লেষণী ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। দাবা খেলায়, খেলোয়াড়দের যে প্রতি পদে মানসিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়, সম্মুখীন হতে হয় তীব্র বৌদ্ধিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার, তার ফলে প্রতিপক্ষের পরবর্তী পদক্ষেপের পূর্বাভাস অনুমান করার শক্তি বৃদ্ধি পায় তো বটেই, সেইসঙ্গে স্মৃতিশক্তি, দ্রুত অনুমান করার ক্ষমতা এবং সৃজনশীল চিন্তা ভাবনা করার ক্ষমতাও নিঃসন্দেহে বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও গবেষকরা প্রমাণ পেয়েছেন নিয়মিত দাবা খেলা, বয়সজনিত স্মৃতিভ্রম, অর্থাৎ ডিমেনশিয়ার প্রভাব কিছুটা রুখে দিতে সাহায্য করে।

এই খেলা একদিকে যেমন শিশুদের ক্ষেত্রে ‘হাইপারএক্টিভিটি ডিসঅর্ডার’ এবং অমনোযোগীতা রুখে দিতে সহায়তা করে, ঠিক তেমনই বিশেষ করে বয়স্কদের প্যানিক এ্যাটাকের প্রকোপ থেকেও উদ্ধার পেতে সাহায্য করে।

অতএব কেবলমাত্র মনোরঞ্জনের তাগিদে নয়, দাবা খেলা অতীতে যেভাবে দেশ থেকে দেশান্তরে ছড়িয়ে পড়েছে, ভবিষ্যতেও, নানা পরিবর্তন এবং এক্সপেরিমেন্টের মাধ্যমে পরিবর্তিত রূপে মানবসভ্যতায় মননশীলতার অনুশীলন রূপে কাল থেকে কালান্তরে বিভিন্ন বাঁক এবং মোড় নিতে থাকবে, সে বিষয়ে সন্দেহ নেই।

'হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য চেম্বার্স অব সিক্রেট' সিনেমার বিখ্যাত দাবাঘরের দৃশ্য




Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন