এমনটা হতে পারে কল্পনাতেও ছিল না। আজ বিজয়া দশমীর
পূণ্যলগ্নে পুকুর ঘাটে দাঁড়িয়ে নিয়তির সারা শরীর জুড়ে শিহরণ খেলে গেল।
-কেমন আছো নিয়তি? প্রচন্ড অবাক হলে আমাকে দেখে? দু-বছর অতিক্রান্ত, কতকিছুই বদলে গেছে চারিদিকে।
-কে? কে তুমি?
-আমি অনিকেত, তোমার অনি, বুঝেছি তুমি আশা হারিয়ে ফেলেছিলে। স্বাভাবিক, ওরকম ভয়াবহ দূর্ঘটনায় বেঁচে যাবো সেটা আমি নিজেই কি
জানতাম!
নিয়তির মনের মধ্যে আশার আলো জ্বলে উঠলেও আবার দপ্
করে নিভে গেল।
- তাহলে অনির মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে এসে যাকে পোড়ালাম সে কে?
- মৃতদেহ?
-হ্যাঁ, মৃতদেহ, যদিও সবকিছু থেঁতলে গিয়েছিল, শুধুমাত্র হাতের কব্জিতে আমার নাম দেখেই শনাক্ত করা হয়েছিল।
- ঠিক বলেছ নিয়তি, শুধু হাতটাই আমার ছিল। বাকিটা নয়। বর্তমানে আমার বাঁ হাতটা নকল লাগানো
আছে, এই দেখো।
একটু পরে সিঁদুর খেলা শুরু হবে, মাইকে ভেসে আসছে তার ঘোষণা। ঈশ্বরের পরমলীলায় ফিরে
এসেছে নিয়তির স্বামী অনিকেত।
দুই বছরের বৈধব্য জীবনের ইতি ঘটে আবার সিঁথিতে উঠবে
সিঁদুর। তার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে প্রকৃতি, চারিদিকে লাল আভা ছড়িয়ে পড়ছে। এক সুর্য অস্ত যাওয়ার আগে ফিরিয়ে দিয়ে গেল আর এক
সুর্য। নিয়তির অনিকেত।
বেশ ভালো। হাসিন দিলরুবা সিনেমাটার কথা মনে পড়ল।
উত্তরমুছুনএকটি মন্তব্য পোস্ট করুন