জীবনের নানা টানা পোড়েনে বহুদিন অযত্ন পেতে পেতে গাছের পাতাগুলোয় কখন যে হলদেটে রক্তাল্পতা দেখা দিয়েছিলো তা লক্ষ করবার মতো মনের অবস্থা ছিলো না কুসুমের। মনের রোদ-আলো, হাতের উষ্ণতা পেয়েই তো ওরা পল্লবিত হয়েছিল একদিন। আজ স্নেহ বঞ্চিত হয়ে যেন জীবন থেকে মুখ ফিরিয়ে ঝিমিয়ে নেতিয়ে মাটির আশ্রয় পেতে চাইছে কুসুমের অতি সাধের ব্যালকনিতে সাজানো ছোটো ছোটো টবের পরনির্ভরশীল গাছগুলো।
দীর্ঘ আড়াই বছর কোর্টে লড়াইয়ের পরে গতকাল অতনুর সঙ্গে দমবন্ধ যন্ত্রণাময় এক সম্পর্ক থেকে চিরমুক্তি পেয়ে অনেক দিন পরে আজ অনেকটা ভারমুক্ত অনুভব করে কুসুম। চারপাশে অক্সিজেনের পরিমাণ যেন হঠাৎই বেড়ে গেছে। মানসিকভাবেও নিজেকে স্বাধীন স্বাবলম্বী মনে করে আচমকা একটা ভালোলাগায় আচ্ছন্ন হয় সে, নতুন কিছু একটা করতে চায় । মনে আজ নতুন উদ্যম নতুন উৎসাহ।
মরণোন্মুখ গাছগুলিকে পরম মমতায় মুক্তি দেয় কুসুম। গাছশূন্য টবের মাটি নতুন করে তৈরি করে। কাল অফিস ফেরতা কিছু ক্যাকটাস কিনে আনবে নার্সারি থেকে। প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও দিব্যি টিকে থাকে।
বেশ লিখেছেন
উত্তরমুছুনএকটি মন্তব্য পোস্ট করুন