কবি জাগে-
এ জাগা সাধারণের মতো জাগা নয়,
পৃথিবী তো রাতের আঁধারে ঘুমায়
আর গা ঝাড়া দিয়ে ওঠে
সূর্য্য লাল হলে রাগে।
কবি নিজেকে রাখে
আজীবন প্ৰতিনিয়ত সূক্ষ্ম চেতনার ভাগে।
কবি চলে-
এ চলা সাধারণের মতো চলা নয়,
পৃথিবী তো চলে- পথে পা ফেলে,
কখনো পথের ক্লান্তিতে থামে-
শান্তি পায় গন্তব্য পেলে।
কবির পথ পাঠকের হৃদয়ের আঙিনা,
শব্দের সিঁড়ি বেয়ে কবি চলে
সময়ের তালে।
কবি ভালোবাসে-
এ ভালোবাসা সাধারণের মতো ভালোবাসা নয়,
পৃথিবী তো ভালোবাসাকে রাখে
হৃদয়ে স্বাৰ্থের মিশ্ৰণে,
মন ভোলানো দ্ৰবণে ওপ্ৰান্ত হাসে।
কবির ভালোবাসায় স্বাৰ্থের স্থান পরিধি পারে,
লোভের আঁধারে হারায় না কবির হৃদয়-
পৃথিবীর জন্য কবি ত্যাগের সাগরে ভাসে।
কবি হাসে-
এ হাসি সাধারণের মতো হাসি নয়,
পৃথিবীর হাসি দু'মুখো অৰ্থ বহে,
মুখের হাসি নিৰ্ভেজাল রহে-
অন্তর যেন অন্য কথা কহে ।
কবির উদ্দেশ্য পৃথিবীর সুখ,
তাই পেলে কবি প্ৰাণ খুলে দেয় -সূর্য্যের প্ৰকাশে।
এ তো সরল হাসি-
যেভাবে শিশিরবিন্দু লেগে থাকে
মাঠের সবুজ কোমল ঘাসে।
কবি কাঁদে-
এ কাঁদা সাধারণের মতো কাঁদা নয়,
পৃথিবী তো কাঁদে কিছু না পাওয়ার অবসাদে।
আর খাদে- পিছলিয়ে পড়লে পা
জীবনপথে চলার সুবাদে।
কবি কাঁদে, যখন তাকে
স্বদেশ মাতৃর অন্তরব্যথা জড়িয়ে বাঁধে।
কবি দেখে-
এ দেখা সাধারণের মতো দেখা নয়,
পৃথিবী তো প্ৰকৃতি দেখে চোখ মেলে,
আসলে আকাশ, নদী, সাগর, পাহাড় দেখে
দৃষ্টিরেখার সামনে পেলে।
কবির দৃষ্টি পরিধি ভেঙে
যেকোনো কিছুর কেন্দ্রে যায়,
জীবই হোক- জড়ই হোক, হৃদয়ে পৌঁছায়।
তাই তো কবি ধরার আগে
অধরা সব অৰ্থ রাখে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন