আগের সংখ্যায় আমরা সদ্যজাতের জন্ডিস সংক্রান্ত কারণ, উপসর্গ ও লক্ষণ সমূহ আলচনা করেছিলাম। আজ পরবর্তী কিছু বিশেষ বিষয় সম্পর্কে অবগত করানো হল
নির্ণয় এবং পরীক্ষা:
শিশুর জন্মের পরমুহূর্ত
থেকেই শিশু বিশেষজ্ঞরা জন্ডিসের পরীক্ষা করে থাকেন। অর্থাৎ রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা
নির্ণয় করা হয়। সাধারণত জন্মের পর তিনদিন থেকে পাঁচদিন শিশুকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়,কারণ এই সময়ের মধ্যে
নবজাতকের বিলিরুবিনের মাত্রা সর্বোচ্চ হতে পারে।বিশেষ কিছু পরীক্ষার
মাধ্যমে জন্ডিস হয়েছে কিনা তা নির্ধারণ করা হয়।
১. দেখার মাধ্যমে পরীক্ষা – জন্ডিস নির্ণয় করার জন্য ব্যবহৃত এটাই প্রথম
এবং সবচেয়ে সাধারণ পদ্ধতি। ডাক্তার শিশুকে অনাবৃত করেন এবং তীব্র আলোর তলায় তার ত্বক
পরীক্ষা করেন।এর সাথে চোখ এবং মাড়িও
পরীক্ষা করে দেখা হয়। শিশুর প্রস্রাব এবং মলের রঙও জন্ডিসের
প্রাথমিক উপসর্গরূপে বিবেচিত হয়।
২. বিলিরুবিন টেস্ট – যদি ডাক্তারের সন্দেহ থাকে যে শিশুর জন্ডিস আছে, তবে তিনি সন্দেহ নিরসন করার জন্য রক্ত পরীক্ষার
নির্দেশ দেবেন। দুই ধরনের রক্ত পরীক্ষা আছে:
(ক)ট্রান্সকিউটেনিয়াস
বিলিরুবিনোমেট্রি (transcutaneous bilirubinometry) – এই পরীক্ষায়, একটি বিশেষ যন্ত্র ব্যবহার করা হয়। যার নাম
বিলিরুবিনোমিটার। এই যন্ত্রের মাধ্যমে, আলোর একটি রশ্মি শিশুর ত্বকে ফেলা হয়। এই
যন্ত্র, শিশুর
ত্বকে আলোর প্রতিফলন বা ত্বকে আলোর শোষণের পরিমাণের উপর নির্ভর করে শিশুর রক্তে
বিলিরুবিনের মাত্রা গণনা করে।
(খ) রক্তের একটি নমুনা ব্যবহার
করে – শিশুর থেকে রক্তের নমুনা গ্রহণ করে সিরামের
বিলিরুবিন মাত্রা নিরীক্ষা
করা হয়।
নবজাতকদের মধ্যে বিলিরুবিনের মাত্রা
নবজাতকদের বিলিরুবিন
পরীক্ষা করে বিলিরুবিনের মাত্রা নির্ধারণ করা হয়। নবজাতক শিশুদের বিলিরুবিনের
স্বাভাবিক মাত্রা ৫ মিগ্রা /ডেসিলিটার থেকে কম হয়। এই স্বাভাবিক
মানের চেয়ে যদি বিলিরুবিনের মাত্রা বেশি হয়, তাহলে শিশুটির
জন্ডিস আছে বলে নির্ণয় করা হয়।
চিত্রসুত্রঃ www.caringforkids.cps.ca
সুস্থ নবজাত শিশুর শরীরে বিলিরুবিনের মাত্রা
নিম্নোক্ত বিলিরুবিন
চার্ট থেকে স্বাস্থ্যকর নবজাত শিশুদের সিরাম বিলিরুবিনের স্বাভাবিক মাত্রা জানতে পারা যায়।এই মাত্রার
গড়মিলে জন্ডিস রোগে আক্রান্ত বলে ধরা হয়।
শিশুর বয়স |
সিরাম বিলিরুবিন মাত্রা ( TSB level) |
২৪ ঘন্টার কম |
১০ মিলিগ্রামের উপরে |
১৪ - ৪৮ ঘন্টা |
১৫ মিলিগ্রামের উপরে |
৪৯ - ৭২ ঘন্টা |
১৮ মিলিগ্রামের উপরে |
৭২ ঘন্টা চেয়ে বেশি |
২০ মিলিগ্রামের উপরে |
নবজাতক শিশুর
বিলিরুবিন মাত্রা
নিচের বিলিরুবিন
চার্টটি নবজাত শিশুদের মধ্যে সিরাম বিলিরুবিনের মাত্রার ইঙ্গিত দেয় যাদের
জন্ডিসের জন্য চিকিৎসা দরকার:
শিশুর বয়স |
সিরাম বিলিরুবিন মাত্রা |
২৪ ঘন্টা বয়সী |
৮ মিলিগ্রাম / ডিএল বা উচ্চতর |
৪৮ ঘন্টা বয়সী |
১৩ এমজি / ডিএল বা উচ্চতর |
৭২ ঘন্টা বয়সী |
১৬ এমজি / ডিএল বা উচ্চতর |
৯৬ ঘন্টা বয়সী |
১৭ এমজি / ডিএল বা উচ্চতর |
অন্যান্য পরীক্ষা – যদি শিশু চিকিৎসক মনে করেন যে বিলিরুবিনের উচ্চমাত্রার
উপর ভিত্তি করে আরো
পরীক্ষার প্রয়োজন, তবে রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে নিম্নলিখিত পরীক্ষাগুলি করা হয়:
১. রক্তের গ্রুপের সামঞ্জস্যতা
২. শিশুর সম্পূর্ণ রক্ত গণনা
৩. উৎসেচকের অভাব বা সংক্রমণ
নির্ধারণ
৪. লোহিত রক্ত কণিকা
(RBC Count) পরীক্ষা করা এবং তাদের সাথে অ্যান্টিবডি সংযুক্ত কিনা
পরীক্ষা করা
ঝুঁকির কারণঃ
যদিও নবজাতকের জন্ডিস খুবই সাধারণ একটি রোগ, তবে অনেক সময় কিছু ঝুঁকিপূর্ণ উপাদানের উপস্থিতিতে নবজাতকের জন্ডিস শঙ্কাপূর্ণ হতে পারে। ঝুঁকির কিছু কারণের মধ্যে রয়েছেঃ
- যে শিশুদের মায়েরা ডায়াবেটিক হয়।গর্ভাবস্থায় বা গর্ভ ধারণের পূর্বে যদি মায়ের রক্তে শর্করার পরিমান বৃদ্ধি পায়।
- আভ্যন্তরীণ রক্তপাত ( hemorrhage)
- মা–শিশুর রক্তের গ্রুপে অসঙ্গতি।
- যকৃতের স্বাভাবিক ক্রিয়া ব্যহত হলে ( liver malfunction)।
- কনজেনিটাল সংক্রমণ অর্থাৎ জন্মের পূর্বে কোনও কারণবশত শিশুর শরীরে সংক্রমণ ঘটে থাকলে (sepsis)।
- অন্য কোনও প্রকারের ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস বাহিত সংক্রমণ ঘটলে।
- শিশুটির ভাইবোনের যদি নবজাতক জন্ডিস হয়ে থাকে।
- তারা যদি গর্ভধারণের 37 সপ্তাহ আগে জন্মগ্রহণ করেন তবে তারা দ্রুত বিলিরুবিন প্রক্রিয়া করতে সক্ষম হবে না। তারা কম খেতে পারে এবং এতে অন্ত্রের চলন কম হতে পারে, যা বিলিরুবিন নিঃসরণের পরিমাণ কমিয়ে দেয়।
- যে বাচ্চাদের খাওয়ার সমস্যা আছে।যে সমস্ত সদ্যজাত জন্মের পর দুধ পান করতে অক্ষম হয়।
- বিলিয়ারি আরটেসিয়া(Biliary atresia) হলে অর্থাৎ কোনোভাবে পিত্তনালী ক্ষতিগ্রস্ত হলে বা পিত্তনালী বাধাপ্রাপ্ত হলে।
- প্রয়োজনীয় উৎসেচকের ঘাটতি ঘটে থাকলে।
- গর্ভমধ্যস্থ দশায় বা প্রসব্কালীন সময়ে আঘাতপ্রাপ্ত বাচ্চারা বা সেফালোহেমাটোমা বিশিষ্ট শিশুরা। যদি প্রসবের সময় বাচ্চা আঘাতপ্রাপ্ত হয়, তাহলে তার জন্ডিস হবার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।
- শিশুর শরীরে জলের ঘাটতি কম হলে অর্থাৎ ডিহাইড্রেশনের কারণে জন্ডিসের সূত্রপাত হতে পারে।
নবজাতকের জন্ডিসের সম্ভাব্য ঝুঁকি এবং জটিলতা
অনেকসময় নবজাতক জন্ডিসের ক্ষেত্রে জটিলতা বৃদ্ধি পেয়ে সংকটপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। সেই সমস্ত ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করা এবং সেই অনুযায়ী সময়মত চিকিৎসা করা একান্তই প্রয়োজন।নিম্নলিখিত কিছু জটিলতা, যা শিশুর হতে পারেঃ
১. অ্যাকিউট বিলিরুবিন এনসেফালোপ্যাথি
(acute bilirubin encephalopathy)
বিলিরুবিন
মস্তিষ্কের কোষের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর একটি উপাদান।রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা
অতিরিক্ত বৃদ্ধি পেলে মস্তিষ্কের পেশিতে বিলিরুবিন জমা হতে শুরু করে। ফলে শিশুর মস্তিস্ক বিকল হওয়া ও শ্রবনশক্তি নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। এই অবস্থাকে
অ্যাকিউট বিলিরুবিন এনসেফ্যালোপ্যাথি বলা হয়।সঠিক সময়ে চিকিৎসা না করলে, এর দ্বারা মস্তিষ্কের অপূরণীয়
ক্ষতি হতে পারে।
2. কার্নিকটেরাস
রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা
অতিরিক্ত বৃদ্ধি পেলে মস্তিষ্কের পেশিতে বিলিরুবিন জমা হতে শুরু করে এবং
হলুদ বর্ণ ধারন করে। এই অবস্থায় শিশুর স্থায়ীভাবে মস্তিস্কের ক্ষতিসাধন হয়। যাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানে
কার্নিকটেরাস ( Kernicterus) বলা হয়।এই রোগে আক্রান্ত শিশুদের স্থায়ী উর্ধ্বগামী দৃষ্টি, অনিয়ন্ত্রিত এবং অনিচ্ছাকৃত
শারীরিক আন্দোলন অর্থাৎ ‘আথেটয়েড
সেরিব্রাল পলসি’, দাঁতের এনামেলের অযথাযথ বিকাশ ও শ্রবণ ক্ষমতা নষ্ট হওয়ার মত শারীরিক সমস্যা হয়।
নবজাতকের জন্ডিসের জন্য চিকিৎসা পদ্ধতি
জন্ডিস হালকা থাকলে, এটি দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে ঠিক হয়ে যায়। যদি অবস্থা মাঝারি বা গুরুতর হয়, তাহলে শিশুর বিলিরুবিনের মাত্রা হ্রাস করার জন্য অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী শিশুর চিকিৎসা করা উচিত। কিছু চিকিৎসাপদ্ধতি হলঃ
১. ফোটোথেরাপি
যদি শিশুর মাঝারি মানের সদ্যজাত জন্ডিস হয়, তাহলে সাধারণত ফোটোথেরাপি দেওয়া হয়। এই চিকিৎসাতে বিলিরুবিনের মাত্রা নিরসনে আলো ব্যবহার করা হয়। এই আলো চিকিৎসার কারণে, ফটো–অক্সিডেশন ঘটে। ফোটো–অক্সিডেশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিলিরুবিনে অক্সিজেন যোগ করে একে জলে দ্রবীভূত হতে সাহায্য করে। এর ফলে লিভার বিলিরুবিন বিপাকে সাহায্য করে এবং দেহ থেকে তা নির্গত করতে সক্ষম হয়। শিশুর জন্য ফটোথেরাপি সবথেকে নিরাপদ চিকিৎসা পদ্ধতি। প্রতি তিন চার ঘন্টা অন্তর এর প্রয়োগ করা হয় এবং এটি দুই থেকে তিন দিনের জন্যই প্রয়গ করা হয় ।চিকিৎসাচলাকালীন শিশুকে স্বাভাবিক খাদ্য গ্রহন করানো যায়। বিলিরুবিনের মাত্রা ক্রমাগত নিরীক্ষণ করা হয়। কখনও কখনও, শিশুর চামড়ায় দাগ দেখা যেতে পারে, কিন্তু শীঘ্রই তা অদৃশ্য হয়ে যায়। দুই ধরনের ফটোথেরাপি আছে:
প্রচলিত
ফোটোথেরাপিতে, শিশুকে হ্যালোজেন
আলো বা উজ্বল আলোর নীচে রাখা হয়। এই চিকিৎসা পদ্ধতির সময়, শিশুদের চোখ ভাল করে
ঢেকে রাখা হয়।
(খ) ফাইবার – অপটিক ফোটোথেরাপি
ফাইবার অপটিক
ফটোথেরাপিতে, শিশুদের একটি
কম্বলের মধ্যে আবৃত করা হয় যাকে বিলিব্ল্যাংকেট বলা হয়, জার মধ্যে ফাইবার অপটিক তার বর্তমান থাকে। আলো এই তারের
মাধ্যমে শিশুর শরীরে পড়ে। এই চিকিৎসাও এক থেকে দুই দিন প্রয়োজন হয়। ডিহাইড্রেশন
এড়ানোর জন্য শিশুকে দুই ঘন্টা অন্তর একবার মাতৃদুগ্ধ পান করানো
হয়।
২. নবজাতকের
জন্ডিসের জন্য এক্সচেঞ্জ ট্রান্সফিউশন
যদি শিশুর বিলিরুবিনের
মাত্রা ফোটোথেরাপি দ্বারা হ্রাস না পায়, তাহলে এক্সচেঞ্জ ট্রান্সফিউশান পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। এই পদ্ধতিতে শিশুর শরীর
থেকে স্বল্প পরিমাণ রক্ত বের করে নতুন রক্ত দান করা হয়। দান করা রক্তে বিলিরুবিন না থাকায়, প্রতিস্থাপনের পরে শিশুর রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা
হ্রাস পায়। নবজাতকের জন্ডিসের জন্য এক্সচেঞ্জ ট্রান্সফিউশান একটি দীর্ঘ
প্রক্রিয়া। শিশুকে সাবধানে নিরীক্ষণ করা হয়। প্রক্রিয়াটির দুই ঘন্টা পরে, প্রক্রিয়া সফল
হয়েছে কিনা তা নির্ধারণের জন্য রক্ত পরীক্ষা করা হয়।
বাড়িতে নবজাতক শিশুর জন্ডিস চিকিৎসা
হালকা জন্ডিসের ক্ষেত্রে, শিশু বিশেষজ্ঞরা নবজাতকদের জন্ডিসের জন্য ঘরোয়া প্রতিকারের পরামর্শ দিয়ে থাকেন।যেমন -
- ঘন ঘন খাওয়ানো অতিরিক্ত বিলিরুবিনকে নির্গমনের মাধ্যমে অপসারণে সহায়তা করে। স্তন্যপান করছে এমন শিশুদের অবশ্যই প্রতিদিন ৮ থেকে ১২ বার স্তন্যপান করানো উচিত।
- মাতৃদুগ্ধ পানে শিশুটির সমস্যায হলে, দুধ বের করে খাওয়ানো বা ফরমূলা দুধ খাওয়াতে হয়।
- সূর্যালোকও এই ক্ষেত্রে শিশুকে সুস্থতা প্রদান করে।এর জন্য রৌদ্রজ্বল ঘরের মধ্যে শিশুকে রেখে তাকে
- উষ্ণতা দিতে হয়।তবে সরাসরি সূর্যালোকে উন্মুক্ত করা যাবে না।
- যদি স্তনদুগ্ধের কারণে জন্ডিস দেখা দেয়, তবে এক বা দুই দিনের জন্য দুধ পান বন্ধ করতে পরামর্শ দেওয়া হয়।
প্রতিরোধঃ
সদ্যোজাত শিশুদের জন্ডিস হওয়া খুবই স্বাভাবিক ঘটনা, তাই একে প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। তবে, সঠিক স্ক্রীনিং, পর্যবেক্ষণ এবং চিকিৎসা দ্বারা এটিকে গুরুতর হয়ে ওঠা থেকে আটকানো যায়।এক্ষেত্রে কিছু বিষয়ের উপর নজর রাখা আবশ্যক –
- গর্ভবতী মায়ের রক্তের গ্রুপ নির্ধারণ এবং অস্বাভাবিক অ্যান্টিবডির উপস্থিতি নির্ধারণের জন্য রক্তপরীক্ষা করা আবশ্যক। আর.এইচ. নেগেটিভ রক্ত সমৃদ্ধ মাদের ক্ষেত্রে শিশুটি প্রভাবিত কিনা তা পরীক্ষা করে দেখে নেওয়া উচিৎ।
- উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ শিশুদের ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করা উচিত এবং জটিলতা প্রতিরোধ করার জন্য চিকিৎসা করা আবশ্যক।
- জন্ম পরবর্তী সময়ে শিশুর ত্বকের রঙ এবং জন্ডিসের অন্যান্য উপসর্গের প্রতি লক্ষ্য রাখা আবশ্যক যাতে শিশুর সময়মত চিকিৎসা করা যায়।
- শিশুর জন্মের প্রথম কয়েক দিনের মধ্যে শিশুর শরীরে ভালোমত তরলের যোগান দেওয়া উচিত যাতে অতিরিক্ত বিলিরুবিন শরীর থেকে নির্গত হওয়ার সুবিধা হয়।
কলমে - শ্বেতা মিত্র
চিত্র সৌজন্যঃ অন্তরজাল
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন