এমন প্রেম, যা মাখোমাখো বাজারে খাবে।
জানালার পাশে বসে,
বাগানের প্লুমেরিয়া ফুলের মুখে তাকিয়ে আছি–
ভাবছি সারা সকাল।
যদি ভ্রমরের মতো মধুর হদিস পাই।
প্লুমেরিয়ার রূপ শরতের ভোরের মতো।
বারবার তোমার স্নিগ্ধ মুখটা
শিশিরসিক্ত সফেদ পাপড়িরা মেলে ধরছে।
লিখতে হবে– নারী-প্রেম-মাখোমাখো। বায়না আছে।
ওদিকে বেলা গড়ালে– দুধওলা এসে বেল দেবে,
কাজের মাসীর দরজা খুলতে হবে,
কাগজওলাকে টাকা দিতে হবে,
টাইম কলের জল পাবো না...শেষ নেই।
শুধু তোমার মুখটার সাথে–
কামিনী পাতার মতো চিবুক, সহর্ষ স্তন,
কিংবা ফুলদানির মতো নিতম্ব…
বা আরও আরও কিছু উত্তেজক উপাদান
যা বায়না করা আছে,
আমার দৃষ্টিতে ঝাপসা হয়ে আছে।
বর্ষার প্লুমেরিয়া যেমন শরতের স্পর্শ,
তেমনই হাজারো বায়নাক্কার মাঝেও
তুমি ঐ প্লুমেরিয়া হয়েই ছুঁয়ে রইলে।
বায়না বিফলে যাক্।
দুধওলা, কাজের মাসী...সবাই আসুক।
তুমি বায়নার বেসাতি নও।
কেউ জানুক না জানুক, আমি জানি–
তুমি ভোরের প্লুমেরিয়া।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন